'হিতকরী' পত্রিকা কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া থেকে কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়?
A
১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে
B
১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে
C
১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে
D
১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে
উত্তরের বিবরণ
'হিতকরী' পত্রিকা ও মীর মশাররফ হোসেন
হিতকরী পত্রিকা:
'হিতকরী' পত্রিকা ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে কুষ্টিয়ার লাহিনীপাড়া থেকে মীর মশাররফ হোসেনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে পত্রিকার সম্পাদক হন মোসলেম উদ্দীন খান।
পত্রিকায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় বাঙালি মুসলিমদের মাতৃভাষা বাংলাচর্চা এবং হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়গুলিতে। সংবাদ ও প্রবন্ধগুলিতে এ বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ প্রতিফলিত হয়।
মীর মশাররফ হোসেন:
-
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
ছাত্রাবস্থায় তিনি সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকার মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন।
-
তিনি 'আজিজননেহার' এবং 'হিতকরী' নামে দুটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন।
-
মীর মশাররফ বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী এবং উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত।

0
Updated: 1 day ago
উদাসী বাউলের জীবনদর্শনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় মীর মশাররফ হোসেনের কোন রচনায়?
Created: 3 weeks ago
A
উদাসীন পথিকের মনের কথা
B
বেহুলা গীতাভিনয়
C
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
D
বসন্তকুমারী
‘গাজী মিয়াঁর বস্তানী’ আত্মজৈবনিক উপন্যাস
-
রচয়িতা: মীর মশাররফ হোসেন
-
প্রকৃতি: আত্মজৈবনিক ও উপন্যাসজাতীয় রস-রচনা।
-
প্রকাশ: প্রথম অংশ ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে। দ্বিতীয় অংশ পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়নি; এর অংশসমূহ তাঁর ‘আমার জীবনী’-তে মুদ্রিত।
-
ছদ্মনাম: প্রকাশক হিসেবে লেখা হয়েছে ‘উদাসীন পথিক’।
-
বিষয়বস্তু:
-
উদাসী বাউলের জীবনদর্শনের প্রভাব।
-
তৎকালীন সমাজের অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, মানুষের নৈতিক অবক্ষয় ও বর্বর আচরণ।
-
উপন্যাসে প্রধান ঘটনা: দুই বিধবা মহিলা, সোনাবিবি ও মনিবিবি’র জমিদার দ্বন্দ্ব।
-
চরিত্র ও স্থান: অভিনব নামকরণ যেমন—অরাজকপুর, যমদ্বার, নচ্ছারপুর, পয়জারন্নেসা, সবলোট চৌধুরী, ভেড়াকান্ত, জয়ঢাক। ভেড়াকান্ত চরিত্রে লেখকের নিজের ছায়াপাত রয়েছে।
-
-
ব্যঙ্গরসের ব্যবহার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
-
অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় মন্তব্য: “গাজী মিয়াঁর বস্তানী একখানি বিচিত্র সমাজচিত্র, সুশোভিত, সুলিখিত উপন্যাস।”
মীর মশাররফ হোসেনের অন্যান্য রচনাসমূহ
-
নাটক: বসন্তকুমারী, জমীদার দর্পণ, বেহুলা গীতাভিনয়
-
উপন্যাস: বিষাদ-সিন্ধু
-
আত্মজীবনীমূলক রচনা: উদাসীন পথিকের মনের কথা, গাজী মিয়াঁর বস্তানী, আমার জীবনী, কুলসুম জীবনী

0
Updated: 3 weeks ago
'বেহুলা গীতাভিনয়'- নাটকটি কে রচনা করেন?
Created: 1 week ago
A
নবীনচন্দ্র সেন
B
মীর মশাররফ হোসেন
C
দীনবন্ধু মিত্র
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
‘বেহুলা গীতাভিনয়’ মীর মশাররফ হোসেন রচিত একটি নাটক। তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক—বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একজন পথিকৃৎ মুসলমান সাহিত্যিক।
-
মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক বলা হয়।
-
তাঁর সাহিত্যগুরু ছিলেন গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ।
-
তাঁর প্রথম গ্রন্থ হলো ‘রত্নাবতী’।
-
ছাত্রাবস্থায় তিনি সংবাদ প্রভাকর ও গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকার মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন, এখান থেকেই তাঁর সাহিত্যজীবনের সূচনা।
-
তিনি আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
-
তিনি বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচিত।
রচিত নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
রচিত প্রহসন:
-
টালা অভিনয়
-
এর উপায় কি
-
ফাঁস কাগজ
-
ভাই ভাই এইতো চাই
রচিত উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
আত্মজীবনীমূলক রচনা:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী

0
Updated: 1 week ago
মীর মশাররফ হোসেনের কোন গ্রন্থের উপজীব্য হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ?
Created: 1 week ago
A
গো-জীবন
B
ইসলামের জয়
C
এর উপায় কী
D
বসন্তকুমারী নাটক
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন একজন প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং প্রাবন্ধিক, যিনি উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম পথিকৃৎ।
তার সাহিত্যিক যাত্রা শুরু হয়েছিল সাংবাদিকতার মাধ্যমে, যখন তিনি ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর (১৮৩১) এবং কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা (১৮৬৩)-এর মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বঙ্কিমযুগের গদ্যশিল্পী হিসেবে পরিচিত।
-
তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ হলো 'রত্নাবতী' (গল্পগ্রন্থ)।
-
তিনি প্রহসনও রচনা করেছেন, যার মধ্যে প্রধান হলো 'এর উপায় কি?'
-
তার নাটকগুলো হলো:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
গো জীবন (১৮৮৯) একটি প্রবন্ধ পুস্তিকা, যার মূল বক্তব্য হলো কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে যেকোনো কারণে গোরহত্যা অনুচিত। মীর মশাররফ হোসেন এই প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন হিন্দু ও মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করার মানস থেকে।
তবে এ গ্রন্থের কারণে তিনি মামলায় জড়িয়ে পড়েন এবং অবশেষে মৌলবাদীদের প্রবল চাপের মুখে প্রবন্ধটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন।

0
Updated: 1 week ago