উদ্ভিদের পাতা হলদে হয়ে যায় কিসের অভাবে?
A
নাইট্রোজেনের
B
ফসফরাসের
C
ইউরিয়ার
D
পটাসিয়ামের
উত্তরের বিবরণ
🔹 নাইট্রোজেনের অভাব
-
নাইট্রোজেন পাতায় সবুজ রঙ (ক্লোরোফিল) তৈরি করতে সাহায্য করে।
-
এর ঘাটতি হলে পাতার সবুজ রঙ ফিকে হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়।
-
এই হলুদ হওয়াকে বলা হয় ক্লোরোসিস।
🔹 ফসফরাসের অভাব
-
ফসফরাসের অভাবে পাতায় বেগুনি রঙ দেখা যায়।
-
পাতায় শুকিয়ে যাওয়া অংশ বা মৃত দাগ তৈরি হয়।
-
ফল, ফুল এমনকি পাতাও ঝরে পড়তে পারে।
-
গাছের বৃদ্ধি থেমে যেতে পারে।
🔹 পটাশিয়ামের অভাব
-
পটাশিয়ামের অভাবে পাতার মাথা ও ধারে হলুদ ছোপ দেখা দেয়।
-
পরে সেসব জায়গায় পোড়া দাগের মতো বাদামি রঙ হয় এবং পাতা কুঁকড়ে যায়।
-
গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং ফুল বা ফলের কুঁড়ি শুকিয়ে যেতে পারে।
বুঝে রাখার মতো বিষয়:
-
নাইট্রোজেনের অভাবে সাধারণত পুরনো পাতা পুরোপুরি হলুদ হয়।
-
আর পটাশিয়ামের অভাবে পাতার ধারে পোড়া দাগের মতো চিহ্ন দেখা যায়, পুরো পাতা না।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বই।
0
Updated: 3 months ago
কোন ধাতু পানিতে ফেললে আগুন ধরে যায়?
Created: 1 month ago
A
সোডিয়াম
B
ম্যাগনেসিয়াম
C
রেডিয়াম
D
ইউরেনিয়াম
যখন সোডিয়াম ধাতু পানিতে ফেলা হয়, তখন তা সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড বিক্রিয়া করে এবং আগুন ধরে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সোডিয়ামের অতিরিক্ত সক্রিয়তা এবং পানির সঙ্গে দ্রুত প্রতিক্রিয়া। নিচে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো—
-
সোডিয়াম একটি সক্রিয় ধাতু, যা সহজেই রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয়।
-
এটি পানির সঙ্গে দ্রুত বিক্রিয়া করে প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে এবং সেই সঙ্গে হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গত করে।
-
প্রতিক্রিয়াটি এত দ্রুত হয় যে নির্গত হাইড্রোজেন গ্যাস তাপের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে জ্বলে ওঠে।
-
সোডিয়াম সাধারণ অবস্থায়ও বাতাসের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে এবং বিশেষত আর্দ্রতা বা জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিতে দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
-
বাতাসের সংস্পর্শে এলে সোডিয়ামের উপর একটি সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH) এর আস্তরণ তৈরি হয়। এটি পরবর্তীতে বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং সোডিয়াম বাইকার্বোনেটে (NaHCO₃) রূপান্তরিত হয়।
-
সোডিয়ামকে সাধারণত কেরোসিন বা ন্যাপথার মতো inert তরলে সংরক্ষণ করা হয়, কারণ এগুলোর সঙ্গে এটি বিক্রিয়া করে না এবং সোডিয়ামকে স্থিতিশীল রাখে।
-
তরল অবস্থায় সোডিয়াম কঠিন অবস্থার চেয়ে বেশি সক্রিয়, এবং প্রায় ১২৫ °C (২৫৭ °F) তাপমাত্রায় সহজেই জ্বলে উঠতে পারে।
অন্য উপাদানগুলোর ক্ষেত্রে—
-
ম্যাগনেসিয়াম সাধারণত +2 oxidation state এ থাকে। এটি জীবনের জন্য অপরিহার্য এবং DNA, RNA এবং ATP-এর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ইউরেনিয়াম একটি তেজস্ক্রিয় উপাদান, যা প্রধানত পারমাণবিক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
রেডিয়াম অত্যন্ত তেজস্ক্রিয় এবং এর যৌগসমূহ অন্ধকারে হালকা নীল রঙের আলো নির্গত করে।
0
Updated: 1 month ago
The term PC means-
Created: 2 months ago
A
Private Computer
B
Prime Computer
C
Personal Computer
D
Professional Computer
ক্ষুদ্র কম্পিউটার (Micro Computer):
- পূর্বে কম্পিউটার তৈরি করতে অসংখ্য ট্রানজিস্টর, রেজিষ্ট্যান্স, ডায়োড ইত্যাদি ব্যবহার করা হতো।
- কিন্ত ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে ইনটেল নামক একটি প্রতিষ্ঠান ইনটেল-৪০০৪ (Intel 4004) নামক প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর বা ক্ষুদ্র প্রক্রিয়াকারক (Microprocessor) তৈরি করে।
- এই ক্ষুদ্রাকৃতি মাইক্রোপ্রসেসর দিয়ে তৈরি ক্ষুদ্রাকারের কম্পিউটারকে মাইক্রোকম্পিউটার নামে অভিহিত করা হয়।
- ক্ষুদ্র প্রক্রিয়াকারকের সাথে স্মৃতি অংশ এবং ইনপুট-আউটপুট অংশের সংযোগ সাধন করা হয়।
- এই কম্পিউটার সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করা যায় এবং একজন ব্যবহারকারী একাই একটি কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন।
- এজন্য এই কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer) বা সংক্ষেপে পিসি (PC) বলা হয়।
- IBM 486, IBM Pentium প্রভৃতি মাইক্রোকম্পিউটারের উদাহরণ।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর কোন ঘটনাটি ঘটে?
Created: 1 week ago
A
প্রতিসরণ
B
বিচ্ছুরণ
C
অপবর্তন
D
অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
অপটিক্যাল ফাইবার হলো খুবই সরু ও চিকন কাঁচের সুতো, যা মানুষের চুলের মতো দেখতে এবং সহজে বাঁকানো যায়। এর কাজ হলো আলোক রশ্মি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া।
যখন আলো ফাইবারের ভেতরে প্রবেশ করে, তখন তা কাঁচতন্তুর দেয়ালে লেগে বারবার পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটায়। এভাবে প্রতিফলিত হতে হতে আলো শেষ প্রান্তে গিয়ে বের হয়।
👉 এই প্রক্রিয়ার জন্য আলো মাঝপথে বাইরে বের হয়ে যায় না এবং অনেক দূর পর্যন্ত একই শক্তি নিয়ে পৌঁছাতে পারে।
অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার
-
চিকিৎসা ক্ষেত্রে: ডাক্তাররা শরীরের ভেতরের অংশ যেমন পাকস্থলী, কোলন ইত্যাদি দেখার জন্য যে আলোক নল ব্যবহার করেন, সেটি অনেকগুলো অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে তৈরি।
-
টেলিযোগাযোগে: টেলিফোন বা ইন্টারনেট সিগন্যাল বহনে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার হয়। এর মাধ্যমে একসাথে অসংখ্য সংকেত পাঠানো যায় এবং সংকেত দুরত্বে গেলেও শক্তি হারায় না।
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি
0
Updated: 1 week ago