'বিলাতি > বিলিতি' কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
A
অপিনিহিতি
B
স্বরসঙ্গতি
C
অন্তর্হতি
D
অভিশ্রুতি
উত্তরের বিবরণ
স্বরসঙ্গতি ও সংশ্লিষ্ট ধ্বনিগত পরিবর্তন:
স্বরসঙ্গতি:
একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলা হয়।
উদাহরণ:
-
দেশি → দিশি
-
বিলাতি → বিলিতি
-
মুলা → মুলো
অপিনিহিতি:
পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে অথবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলা হয়।
উদাহরণ:
-
আজি → আইজ
-
সাধু → সাউধ
-
রাখিয়া → রাইখ্যা
-
বাক্য → বাইক্য
-
সত্য → সইত্য
-
চারি → চাইর
-
মারি → মাইর
অন্তর্হতি:
পদের মধ্যে কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি লোপ পেলে তাকে অন্তর্হতি বলা হয়।
উদাহরণ:
-
ফাল্গুন → ফাগুন
-
ফলাহার → ফলার
-
আলাহিদা → আলাদা
অভিশ্রুতি:
অপিনিহিতির প্রভাবজাত ই বা উ ধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সঙ্গে মিলে শব্দের পরিবর্তন ঘটালে তাকে অভিশ্রুতি বলা হয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক ভাষায় এর প্রচুর উদাহরণ দেখা যায়।
উদাহরণ:
-
মানিয়া → মাইন্যা → মেনে
-
করিয়া → কইর্যা → করে
-
বাছিয়া → বাইছ্যা → বেছে

0
Updated: 1 day ago
'পদ্ম > পদ্দ' - এটি কোন ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 3 weeks ago
A
অন্যোন্য সমীভবন
B
পরাগত সমীভবন
C
ব্যঞ্জনদ্বিত্ব
D
প্রগত সমীভবন
প্রগত সমীভবন হলো ধ্বনিগত প্রক্রিয়া, যেখানে পূর্ববর্তী ধ্বনির প্রভাবে পরবর্তী ধ্বনি তার মতো পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ:
-
চক্র → চক্ক
-
পক্ব → পক্ক
-
পদ্ম → পদ্দ
-
লগ্ন → লগ্গ

0
Updated: 3 weeks ago
’রাখিয়া > রাইখ্যা’- কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
অপিনিহিতি
B
অন্ত্যস্বরাগম
C
অসমীকরণ
D
স্বরসঙ্গতি
অপিনিহিতি
পরের ই-কারের আগে অথবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার/উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।
উদাহরণ: আজি → আইজ, সাধু → সাউধ, রাখিয়া → রাইখ্যা, বাক্য → বাইক্য, সত্য → সইত্য, চারি → চাইর, মারি → মাইর।
অন্ত্যস্বরাগম
কিছু ক্ষেত্রে শব্দের শেষে অতিরিক্ত স্বরধ্বনি যুক্ত হয়। একে বলা হয় অন্ত্যস্বরাগম।
উদাহরণ: দিশ্ → দিশা, পোখত্ → পোক্ত, বেঞ্চ → বেঞ্চি, সত্য → সত্যি।
অসমীকরণ
একই স্বরের পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য মাঝখানে নতুন স্বরধ্বনি যুক্ত হলে তাকে অসমীকরণ বলে।
উদাহরণ: ধপ ধপ → ধপাধপ, টপ টপ → টপাটপ।
স্বরসঙ্গতি
একটি স্বরের প্রভাবে অন্য স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে।
উদাহরণ: দেশি → দিশি, বিলাতি → বিলিতি, মুলা → মুলো।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ৯ম-১০ম শ্রেণি, ২০২৫ সালের সংস্করণ

0
Updated: 1 month ago
'আখো > আখুয়া > এখো' কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
Created: 1 day ago
A
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি
B
প্রগত স্বরসঙ্গতি
C
পরাগত স্বরসঙ্গতি
D
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি
স্বরসঙ্গতি হলো একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দের অন্য স্বরের পরিবর্তন।
প্রধান ধরনের স্বরসঙ্গতি:
-
প্রগত স্বরসঙ্গতি: আদিস্বর অনুযায়ী অন্ত্যস্বর পরিবর্তিত হলে হয়। উদাহরণ: মুলা → মুলো, শিকা → শিকে, তুলা → তুলো।
-
পরাগত স্বরসঙ্গতি: অন্ত্যস্বরের কারণে আদ্যস্বর পরিবর্তিত হলে হয়। উদাহরণ: আখো → আখুয়া → এখো, দেশি → দিশি।
-
মধ্যগত স্বরসঙ্গতি: আদ্যস্বর ও অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বর পরিবর্তিত হলে হয়। উদাহরণ: বিলাতি → বিলিতি, জিলাপি → জিলিপি।
-
অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি: আদ্য ও অন্ত্য দুই স্বরই একে অপরকে প্রভাবিত করলে হয়। উদাহরণ: মোজা → মুজো।
-
চলিত বাংলায় স্বরসঙ্গতি: দৈনন্দিন ভাষায় ব্যবহৃত। উদাহরণ: গিলা → গেলা, মিলামিশা → মেলামেশা, মিঠা → মিঠে, ইচ্ছা → ইচ্ছে।
বিশেষ নিয়ম: পূর্বস্বর উ-কার হলে পরবর্তী স্বর ও-কার হয়। উদাহরণ: মুড়া → মুড়ো, চুলা → চুলো। তবে কিছু ক্ষেত্রে exceptions আছে যেমন: উড়ুনি → উড়নি, এখনি → এখুনি।

0
Updated: 1 day ago