'সদাশয়' এর সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
A
সদা + আশয়
B
সদ + আশয়
C
সৎ + আশয়
D
সদা + শয়
উত্তরের বিবরণ
‘সদাশয়’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ হলো ‘সৎ + আশয়’। এখানে ‘সৎ’ শব্দের ‘ৎ’ এবং ‘আশয়’-এর ‘আ’ মিলে স্বরসন্ধির মাধ্যমে ‘সদাশয়’ রূপ গ্রহণ করেছে।
কয়েকটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ:
(এগুলো এমন সন্ধি, যেগুলো নিয়ম দ্বারা নয়, প্রচলিত রূপে সিদ্ধ বা গ্রহণযোগ্য হয়েছে।)
-
বন + পতি = বনস্পতি
-
আ + চর্য = আশ্চর্য
-
গো + পদ = গোস্পদ
-
পর + পর = পরস্পর
-
ষট্ + দশ = ষোড়শ
-
এক + দশ = একাদশ
-
পতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলি

0
Updated: 1 day ago
'জঙ্গম' এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
দুর্গম
B
মসৃণ
C
স্থাবর
D
সুগম
'জঙ্গম' শব্দের অর্থ হলো গতিশীল, চলমান, সচল, এবং এর বিপরীতার্থক শব্দ হলো স্থাবর, যার অর্থ স্থানান্তরিত করা যায় না এমন, নিশ্চল, স্থির। এর পাশাপাশি আরও কিছু বিপরীতার্থক শব্দ রয়েছে।
-
সুগম: দুর্গম
-
মসৃণ: বন্ধুর
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
ব্যাসবাক্যের প্রয়োজন হয় না কোন সমাসে?
Created: 1 day ago
A
প্রাদি সমাস
B
অলুক সমাস
C
দ্বন্দ্ব সমাস
D
নিত্য সমাস
নিত্য সমাস এমন এক ধরনের সমাস যেখানে সমস্যমান পদগুলো সর্বদা একত্রে ব্যবহৃত হয় এবং তাদের দ্বারা আলাদা করে পূর্ণার্থ প্রকাশ করা যায় না। অর্থাৎ, এই সমাসে ব্যাসবাক্য (সমাসবিহীন রূপ) তৈরি করতে গেলে ‘অন্য’ বা ‘কেবল’ প্রভৃতি শব্দ যোগ করতে হয়।
সংজ্ঞা:
যে সমাসে সমস্যমান পদ দ্বারা সমাসবাক্য হয় না, বরং অন্য পদের সহায়তায় পূর্ণার্থ প্রকাশ করতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে।
উদাহরণ:
-
অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর
-
অন্য দেশ = দেশান্তর
-
কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র
-
কেবল যাওয়া = যাওয়ামাত্র
-
কেবল বলা = বলামাত্র
উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:
-
সমস্যমান পদগুলো সর্বদা একত্রে ব্যবহৃত হয়।
-
ব্যাসবাক্য তৈরি করতে গেলে ‘অন্য’, ‘কেবল’ ইত্যাদি শব্দ প্রয়োজন হয়।
-
এ ধরনের শব্দগুচ্ছ অর্থে সংক্ষিপ্ত হলেও ভাবের দিক থেকে সম্পূর্ণ।

0
Updated: 1 day ago
'যাহারা সত্য বলে, তাহারা সম্মানিত হয়।' – এখানে 'যাহারা, তাহারা' কী?
Created: 1 day ago
A
বিশেষণ
B
অব্যয়
C
যোজক অব্যয়
D
সর্বনাম
বাক্য “যাহারা সত্য বলে, তাহারা সম্মানিত হয়।”– এখানে ‘যাহারা’ ও ‘তাহারা’ একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত; অর্থাৎ একটির উপস্থিতি অন্যটির উপর নির্ভরশীল। তাই এগুলোকে বলা হয় সাপেক্ষ সর্বনাম। সাপেক্ষ সর্বনাম ব্যবহারে বাক্যের দুটি অংশ পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করে।
তথ্যসমূহ:
-
সর্বনাম পদ হলো সেই পদ যা বিশেষ্য পদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়।
-
বাংলা ভাষার সর্বনাম পদগুলোকে ব্যবহারিক অর্থ ও প্রয়োগ অনুযায়ী কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়।
সর্বনামের শ্রেণিবিন্যাস:
১. ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম: আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।
২. আত্মবাচক সর্বনাম: স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি।
৩. সামীপ্যবাচক সর্বনাম: এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি ইত্যাদি।
৪. দূরত্ববাচক সর্বনাম: ঐ, ঐসব।
৫. সাকুল্যবাচক সর্বনাম: সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ।
৬. প্রশ্নবাচক সর্বনাম: কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে।
-
উদাহরণ: “কী দিয়ে ভাত খায়?”
৭. অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম: কোন, কেহ, কেউ, কিছু।
৮. ব্যতিহারিক সর্বনাম: আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর ইত্যাদি।
৯. সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম: যে, যিনি, যাঁরা, যারা, যাহারা ইত্যাদি।
১০. অন্যাদিবাচক সর্বনাম: অন্য, অপর, পর ইত্যাদি।
১১. সাপেক্ষ সর্বনাম: দুটি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত অংশে ব্যবহৃত সর্বনাম। যেমন— যারা–তারা, যে–সে, যেমন–তেমন, যেমন কর্ম তেমন ফল ইত্যাদি।
অতিরিক্ত তথ্য:
সাপেক্ষ সর্বনাম বাক্যের দুই অংশকে নির্ভরতা বা শর্তের সম্পর্কে যুক্ত করে। উদাহরণ— “যে পরিশ্রম করে, সে সফল হয়।” এখানে ‘যে’ ও ‘সে’ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে শর্ত ও ফলাফলের ধারণা প্রকাশ করছে।

0
Updated: 1 day ago