গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত 'চিলেকোঠার সেপাই' উপন্যাসের প্রধান চরিত্র -
A
সুদীপ্ত শাহিন
B
ওসমান
C
আজাদ
D
অধ্যাপক রায়হান
উত্তরের বিবরণ
‘চিলেকোঠার সেপাই’ আধুনিক বাংলা উপন্যাসের ইতিহাসে এক মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এই উপন্যাসে স্বাধীনতা-পূর্ব বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলন, সামাজিক বৈষম্য এবং জনগণের চেতনার উন্মেষকে গভীর বাস্তবতা ও শিল্পসৌকর্যে তুলে ধরেছেন। এটি শুধু রাজনৈতিক উপন্যাস নয়, বরং এক মহাকাব্যোচিত রূপকথা—যেখানে এক সাধারণ মানুষের আত্মসচেতনতা জাতির মুক্তিসংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
চিলেকোঠার সেপাই উপন্যাস সম্পর্কে তথ্য:
-
রচয়িতা: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।
-
প্রকাশকাল: ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত।
-
প্রকৃতি: এটি একটি মহাকাব্যোচিত উপন্যাস, যেখানে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রচেতনা একসূত্রে গাঁথা।
-
প্রধান চরিত্র: ওসমান — এক নিম্নবিত্ত মানুষ, যে এক বাড়ির চিলেকোঠায় বাস করেও স্বাধীনতার আন্দোলনের জোয়ারে নিজেকে সম্পৃক্ত করে ফেলে।
-
বিষয়বস্তু: বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পূর্বভূমি, সমাজে শ্রেণি-বৈষম্য, এবং ইতিবাচক রাজনৈতিক চেতনার উন্মোচন।
-
উপন্যাসে ইতিবাচক রাজনীতির প্রতিফলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের অব্যবহিত পূর্বরূপ চিত্রিত হয়েছে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
জন্ম: ১৯৪৩ সালে, গাইবান্ধা জেলায়।
-
তিনি ছিলেন একাধারে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও সমাজসচেতন লেখক।
-
তাঁর লেখায় সামাজিক বাস্তবতা, শ্রেণি-চেতনা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষণ গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়।
-
তিনি ‘চিলেকোঠার সেপাই’ এবং ‘খোয়াবনামা’ — এই দুই মহাকাব্যোচিত উপন্যাসের স্রষ্টা।
তাঁর রচনা:
-
উপন্যাস: চিলেকোঠার সেপাই, খোয়াবনামা।
-
ছোটগল্প: অন্য ঘরে অন্য স্বর, খোয়ারি, দুধভাতে উৎপাত, দোজখের ওম।

0
Updated: 1 day ago
শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কোন যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়?
Created: 2 months ago
A
কোলন
B
সেমিকোলন
C
কমা
D
হাইফেন
• কমা (,) এর ব্যবহার:
- কমা সামান্য বিরতি নির্দেশ করে। শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কমার ব্যবহার হয়।
যেমন:
- গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত বাংলাদেশ এই ছয়টি ঋতুর দেশ।
- নিবিড় অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রম ও সময়নিষ্ঠ থাকলে সাফল্য আসবে।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, "পাপকে ঠেকাবার জন্যে কিছুনা করাই তো পাপ।"

0
Updated: 2 months ago
নিচের কোন বাক্যটি প্রয়ােগগত দিক থেকে শুদ্ধ?
Created: 3 weeks ago
A
আমি কারও সাতেও নেই, সতেরােতেও নেই।
B
আপনি স্বপরিবারে আমন্ত্রিত।
C
তার দু'চোখ অশ্রুতে ভেসে গেল।
D
সারা জীবন ভূতের মজুরি খেটে মরলাম ।
প্রশ্নের অপশন গ) তে থাকা বাক্য "তার দু'চোখ অশ্রুতে ভেসে গেল।" পুরোপুরি শুদ্ধ এবং প্রয়োগের দিক থেকে সঠিক। অন্যান্য অশুদ্ধ বাক্যগুলোর শুদ্ধরূপ নিম্নরূপ:
-
অশুদ্ধ: আমি কারও সাতেও নেই, সতেরােতেও নেই।
শুদ্ধ: আমি কারও সাতেও নেই, পাঁচেও নেই। -
অশুদ্ধ: আপনি স্বপরিবারে আমন্ত্রিত।
শুদ্ধ: আপনি সপরিবারে আমন্ত্রিত। -
অশুদ্ধ: সারা জীবন ভূতের মজুরি খেটে মরলাম।
শুদ্ধ: সারা জীবন ভূতের বেগার খেটে মরলাম।

0
Updated: 3 weeks ago
বর্ণদ্বিত্বের উদাহরণ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
গলদা > গল্লা
B
স্বর্ণ > সন্ন
C
ছোট > ছোট্ট
D
রাজ্য > রাজ্জ
বর্ণদ্বিত্ব বা দ্বিত্ব ব্যঞ্জন হল একটি ভাষাগত বৈশিষ্ট্য, যেখানে কোনো শব্দের উচ্চারণ বা অর্থের গুরুত্ব অনুযায়ী একটি ব্যঞ্জনধ্বনি দ্বিগুণ উচ্চারিত হয় এবং তাই তার বানানেও দ্বিত্ববর্ণ দেখা যায়। এটি বর্ণদ্বিত্ব, দ্বিত্ব ব্যঞ্জন বা ব্যঞ্জনদ্বিত্বতা নামে পরিচিত।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
সকাল > সক্কাল
-
মুলুক > মুল্লুক
-
বড় > বড্ড
-
ছোট > ছোট্ট
-
কিছু > কিচ্ছু
-
পাকা > পাক্কা
-
অন্যদিকে, প্রগত সমীভবন হলো এমন প্রক্রিয়া যেখানে পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের প্রভাবে পরবর্তী অসম ব্যঞ্জনধ্বনি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সমান উচ্চারণে রূপান্তরিত হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ:
-
চন্দন > চন্নন
-
গলদা > গল্লা
-
স্বর্ণ > সন্ন
-
পদ্ম > পদ্দ
-
রাজ্য > রাজ্জ
-
চক্র > চক্কর
-
লগ্ন > লগ্ন
-

0
Updated: 2 weeks ago