A
১২০৬ খ্রিঃ
B
১৩১০ খ্রিঃ
C
১৫২৬ খ্রিঃ
D
১৬১০ খ্রিঃ
উত্তরের বিবরণ
• ঢাকায় সর্বপ্রথম বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় — ১৬১০ খ্রিঃ।
• রাজধানী হিসেবে ঢাকা:
- এটি বাংলাদেশের বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত বৃহত্তম শহর।
- মুঘল সম্রাট আকবরের সময় বাংলার রাজধানী ছিল বিহারের রাজমহল।
- মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ইচ্ছানুযায়ী ১৬১০ সালে ঢাকাকে সর্বপ্রথম সুবাহ বাংলার রাজধানী ঘোষণা করা হয়।
- সম্রাট জাহাঙ্গীর-এর নাম অনুসারে রাজধানীর নাম 'জাহাঙ্গীরনগর' রাখা হয়।
উল্লেখ্য,
- ১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার শাহ সুজা রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজার পতনের পর ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মীর জুমলা আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
- ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন।
- বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে আসাম ও বাংলার রাজধানী করা হয়।
- কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নেয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান এবং স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব বাংলা নামে নতুন প্রদেশের রাজধানী হওয়ায় ঢাকার উথানে অধিকতর স্থায়ী উন্নয়ন সাধিত হয়।
- ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঢাকা রাজনৈতিক , প্রশাসনিক কার্যকলাপ এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্ররূপে মর্যাদা লাভ করে।
উৎস: ঢাকা জেলা, dhaka.gov.bd.জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 months ago
বাংলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথা প্রবর্তন করা হয় কোন সালে?
Created: 2 months ago
A
১৭০০ সালে
B
১৭৭২ সালে
C
১৭৬৫ সালে
D
১৭৯৩ সালে
• চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত:
- ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
- ঐদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব পরিশোধের বিনিময়ে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার জমিদারদের নিজ নিজ জমির উপর চিরস্থায়ী মালিকানা প্রদান করে যে বন্দোবস্ত করা হয় তা-ই ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত’ নামে পরিচিত।
- চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে বাংলার কৃষকরা জমির উপর তাদের মালিকানা হারায়।
- ১৯৫০ সালের ‘পূর্ববঙ্গ জমিদার অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনে’র ফলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথার বিলুপ্তি হয়।
তাছাড়া,
- ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পর প্রকৃতপক্ষে ইংরেজরাই বাংলার সত্যিকার শাসকরূপে আত্মপ্রকাশ করে।
- ক্লাইব প্রবর্তিত দ্বৈতশাসন ১৭৬৫ থেকে ১৭৭২ সাল পযর্ন্ত বিস্তৃত ছিল।
- ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ সালে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা বাতিল করেন।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন-
Created: 2 months ago
A
উ থান্ট
B
ট্রিগভেলি
C
দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
D
কুট ওয়াল্ডহেইম
• জাতিসংঘের মহাসচিবগণ:
জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব:
- নরওয়ের ট্রিগভেলাই।
- তিনি ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬ থেকে নভেম্বর ১৯৫২ মেয়াদে জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
- দ্বিতীয় মহাসচিব ছিলেন — দ্যাগ হ্যামারশোল্ড। তিনি সুইডেনের অধিবাসী ছিলেন। ১৯৬১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আফ্রিকার জাম্বিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। ১৯৬১ সালে তিনি মরণোত্তর নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
- তৃতীয় মহাসচিব — মিয়ানমারের উ থান্ট। তিনি ছিলেন জাতিসংঘের তৃতীয় মহাসচিব। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন জাতিসংঘের মহাসচিব পদে ছিলেন।
- চতুর্থ মহাসচিব — অস্ট্রিয়ার কুর্ট ওয়ার্ল্ডহেইম (তার সময়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে)।
- পঞ্চম মহাসচিব — পেরুর জাভিয়ার পেরেজ দ্য কুয়েলার (প্রথম আমেরিকান)। ষষ্ঠ মহাসচিব মিশরের ড. বুট্রোস ঘালি (প্রথম আফ্রিকান)।
- সপ্তম মহাসচিব — ঘানা'র কফি আনান (২০০১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী)।
- অষ্টম মহাসচিব — দক্ষিণ কোরিয়ার বান কি মুন।
- নবম ও বর্তমান মহাসচিব — পর্তুগালের অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
----------------------
• জাতিসংঘ সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- নামকরণ করেন — রুজভেল্ট।
- সনদ স্বাক্ষরিত হয় — ২৬ জুন, ১৯৪৫ সালে (সানফ্রানসিস্কো শহরে)।
- জাতিসংঘ সনদ কার্যকর হয় — ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫ সালে।
- প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিল — ৫১ টি।
- জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর না করেও প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত হয় — পোল্যান্ড (৫১ তম দেশ)।
- সদর দপ্তর — নিউইর্য়ক, যুক্তরাষ্ট্র।
- ইউরোপীয় সদর দপ্তর — জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
- জাতিসংঘের মহাসচিব — ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
- জাতিসংঘের দুইজন মহাসচিব নোবেল পুরস্কার পান।
- নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত মহাসচিবরা হলেন — দ্যাগ হ্যামারশোল্ড (১৯৬১) ও কফি আনান (২০০১)।
উৎস: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
সার্ক-এর প্রথম শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়-
Created: 2 months ago
A
১৯৮৪ সালে
B
১৯৮৭ সালে
C
১৯৮৫ সালে
D
১৯৮৬ সালে
• সার্ক-এর প্রথম শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় — ১৯৮৫ সালে।
----------------------
• সার্ক (SAARC):
- South Asian Association for Regional Cooperation (SAARC).
- সার্ক হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর একটি বহুপাক্ষিক আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম।
- ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
- এর সদরদপ্তর নেপালের কাঠমুন্ডু শহরে অবস্থিত।
- সার্কের প্রথম মহাসচিব ছিলেন বাংলাদেশের আবুল আহসান।
- তিনি ১৯৮৭ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৯৮৯ সালের ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সার্কের প্রথম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
- প্রথম সার্ক সম্মেলন ১৯৮৫ সালের ৭-৮ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
- সর্বশেষ ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ২০১৪ সালের ২৬-২৭ নভেম্বর নেপালের কাঠমুন্ডু শহরে অনুষ্ঠিত হয়।
- ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ২০১৬ সালের ১৫-১৯ নভেম্বর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাক্যাম্পে হামলার জের ধরে ভারতের কারণে বিরোধিতায় সেই সম্মেলন বাতিল হয়। তারপর থেকে আর কোন সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।
• সার্কের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৮টি।
এগুলো হলো:
- বাংলাদেশ,
- ভারত,
- পাকিস্তান,
- নেপাল,
- শ্রীলংকা,
- ভুটান,
- মালদ্বীপ,
- আফগানিস্তান।
এদের মধ্যে আফগানিস্তান সর্বশেষ সদস্য হিসেবে ২০০৭ সালের ৩ এপ্রিল সার্কে যোগ দেয়। বাকি সাতটি দেশ সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
তথ্যসূত্র: সার্ক ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago