কোন বানানটি অশুদ্ধ?
A
ফণী
B
নির্নিমেষ
C
গভর্ণর
D
চক্ষুষ্মান
উত্তরের বিবরণ
‘গভর্ণর’ শব্দটি একটি বিদেশি (অতৎসম) শব্দ। অতএব, প্রমিত বাংলা বানান অনুসারে এর শুদ্ধ রূপ হবে ‘গভর্নর’— এখানে ‘ণ’ নয়, ‘ন’ ব্যবহার করা সঠিক।
প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম:
-
অতৎসম শব্দে ‘ণ’ ব্যবহার করা হয় না।
-
এই নিয়ম বিদেশি, আরবি, ফারসি বা ইংরেজি উৎসের শব্দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
উদাহরণ:
-
অঘ্রান
-
ঝরনা
-
গভর্নর
-
হর্ন
উল্লেখ্য, প্রদত্ত অন্যান্য শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ।

0
Updated: 1 day ago
কাকে 'চলিষ্ণু অভিধান' বলা হয়?
Created: 1 day ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
চন্দ্রকুমার দে
C
দীনেশচন্দ্র সেন
D
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের এক অসাধারণ বাঙালি ব্যক্তিত্ব— একজন বহুভাষাবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষক, দার্শনিক ও গবেষক। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যচর্চায় যুগান্তকারী অবদান রাখেন এবং ভাষাতত্ত্বে তাঁর অনুসন্ধানমূলক কাজ তাঁকে সর্বজনস্বীকৃত মর্যাদা এনে দেয়।
জীবনপরিচয়:
-
জন্ম: ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে।
-
তিনি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর অনুরাগী একজন গবেষক ছিলেন।
-
ভাষা, সাহিত্য ও দর্শনের গভীর অধ্যয়নের জন্য তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ নামে পরিচিতি পান।
-
তাঁকে আরও বলা হয় ‘চলিষ্ণু অভিধান’, কারণ তিনি অসংখ্য ভাষায় পারদর্শী ছিলেন এবং তাঁর জ্ঞানের পরিধি ছিল অত্যন্ত বিস্তৃত।
ভাষা ও জাতিসত্তা বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি:
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি আজও স্মরণীয়—
“আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।”
এই বক্তব্যে তিনি ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে জাতিসত্তার ঐক্য ও মানবতার বার্তা প্রকাশ করেছিলেন।
গবেষণা ও সাহিত্যকর্ম:
-
১৯৫৯ সালে তিনি রচনা করেন অমূল্য ভাষাতাত্ত্বিক গ্রন্থ ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’, যা বাংলা ভাষার উৎপত্তি, বিকাশ ও ধ্বনিগত বিশ্লেষণে এক প্রামাণ্য দলিল।
-
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
বাংলা সাহিত্যের কথা
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
-
অন্যান্য অবদান:
-
তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন, যা বাংলা উপভাষার সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 1 day ago
শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে কোন যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
সেমিকোলন
B
কমা
C
হাইফেন
D
কোলন
যতিচিহ্ন (Punctuation Marks) ও তাদের ব্যবহার
১. কমা (,)
-
ব্যবহার: সামান্য বিরতি নির্দেশ করতে, শব্দ, বর্গ ও অধীন বাক্যকে আলাদা করতে।
-
উদাহরণ:
-
গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত বাংলাদেশ এই ছয়টি ঋতুর দেশ।
-
নিবিড় অধ্যবসায়, কঠোর পরিশ্রম ও সময়নিষ্ঠ থাকলে সাফল্য আসবে।
-
সুজন, দেখ তো কে এসেছে।
-
কাল তুমি যাকে দেখেছ, তিনি আমার বাবা।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, "পাপকে ঠেকাবার জন্যে কিছুনা করাই তো পাপ।"
-
২. হাইফেন (-)
-
ব্যবহার: একাধিক পদকে সংযুক্ত করতে।
-
উদাহরণ:
-
মা-বাবার কাছে সন্তানের গৌরব সবচেয়ে বড়ো গৌরব।
-
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক।
-
৩. সেমিকোলন (;)
-
ব্যবহার:
-
স্বাধীন অথচ ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত বাক্যকে একত্রিত করতে।
-
একই ধরনের বর্গকে পাশাপাশি সাজাতে।
-
-
উদাহরণ:
-
সোহাগ ক্রিকেট পছন্দ করে; আমি ফুটবল পছন্দ করি।
-
আমরা ভ্রমণে যাবো: কক্সবাজার; সিলেট; সুন্দরবন।
-
৪. কোলন (:)
-
ব্যবহার:
-
প্রথম অংশে উল্লেখিত বিষয়ের ব্যাখ্যা বা উদাহরণ প্রদর্শনে।
-
-
উদাহরণ:
-
ভাষার দুটি রূপ: কথ্য ও লেখ্য।
-
আমাদের জাতীয় চার নেতা: সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও কামারুজ্জামান।
-

0
Updated: 3 weeks ago
"যদি কাব্য ম্যাজিক হয়, তবে সমালোচনা লজিক হতে বাধ্য।" - কোন ধরনের বাক্য?
Created: 1 week ago
A
সরল বাক্য
B
যৌগিক বাক্য
C
জটিল বাক্য
D
আশ্রিত খণ্ডবাক্য
“যদি কাব্য ম্যাজিক হয়, তবে সমালোচনা লজিক হতে বাধ্য।” — এটি একটি জটিল বাক্য।
জটিল বাক্য হলো এমন বাক্য, যেখানে একটি মূল বাক্যের অধীনে এক বা একাধিক আশ্রিত বাক্য বা বাক্যাংশ থাকে।
উদাহরণ—
-
যদি তোমার কিছু বলার থাকে, তবে এখনই বলে ফেলো।
-
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে।
-
যদি কাব্য ম্যাজিক হয়, তবে সমালোচনা লজিক হতে বাধ্য।
জটিল বাক্য গঠনে ব্যবহৃত সাপেক্ষ সর্বনাম ও যোজক—
-
সাপেক্ষ সর্বনাম: যে-সে, যিনি-তিনি, যারা-তারা, যা-তা ইত্যাদি।
-
সাপেক্ষ যোজক: যদি-তবে, যেহেতু-সেহেতু, যখন-তখন, যত-তত, যেমন-তেমন ইত্যাদি।
এগুলো ব্যবহার করে সরল বাক্যকে জটিল বাক্যে রূপান্তর করা যায়।
(উৎস:

0
Updated: 1 week ago