'ঊর্মিল' কোন ধরনের প্রত্যয় সাধিত শব্দ?
A
বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়
B
সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
C
বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়
D
সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়
উত্তরের বিবরণ
কিছু সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় এবং তাদের ব্যবহার নিম্নরূপ:
ইল্-প্রত্যয়: উপকরণজাত বিশেষণ গঠনে ব্যবহৃত হয়।
যেমন:
-
পঙ্ক + ইল্ = পঙ্কিল
-
ঊর্মি + ইল্ = ঊর্মিল
-
ফেন + ইল্ = ফেনিল
ইত-প্রত্যয়: উপকরণজাত বিশেষণ গঠনে ব্যবহৃত হয়।
যেমন:
-
কুসুম + ইত = কুসুমিত
-
তরঙ্গ + ইত = তরঙ্গিত
-
কণ্টক + ইত = কণ্টকিত
ইমন্-প্রত্যয়: বিশেষ্য গঠনে ব্যবহৃত হয়।
যেমন:
-
নীল + ইমন = নীলিমা
-
মহৎ + ইমন = মহিমা

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোন শব্দটি প্রত্যয়যোগে গঠিত হয়নি?
Created: 1 month ago
A
সভাসদ
B
শুভেচ্ছা
C
ফলবান
D
তন্বী
‘শুভেচ্ছা’ শব্দটি প্রত্যয়যোগে গঠিত নয়। এটি সন্ধি সাধিত শব্দ।
-
সন্ধি নিয়ম অনুসারে, ‘অ’ বা ‘আ’-কারের পরে ‘ই’ বা ‘ঈ’-কার এলে, উভয় মিলিত হয়ে ‘এ’-কার তৈরি করে।
উদাহরণ:-
শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা
-
অন্যদিকে:
-
তন্বী (তনু + ঈ) — এটি প্রত্যয় ও সন্ধি উভয় সাধিত শব্দ।
-
সভাসদ (সভা + সদ), ফলবান (ফল + বান) — এগুলো শুধুমাত্র প্রত্যয়যোগে গঠিত শব্দ।
সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য উত্তর: ‘শুভেচ্ছা’
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
‘শ্রবণ’ শব্দটির প্রকৃতি ও প্রত্যয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
শ্রবণ+অ
B
√শ্রী + অন
C
√শ্ৰু + অন
D
√শ্রব + অন
অন - প্রত্যয়ান্ত শব্দগুলো সাধারণ ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন: শ্রবণ = √শ্রু + অন (কৃৎ প্রত্যয়)

0
Updated: 1 month ago
'সর্বাঙ্গীণ' শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয়-
Created: 1 month ago
A
সর্বঙ্গ + ঈন
B
সর্ব + অঙ্গীন
C
সর্ব + ঙ্গীন
D
সর্বাঙ্গ + ঈন
শব্দের প্রত্যয় ও তাৎপর্য
শব্দের উদাহরণ:
-
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী,
-
‘সর্বাঙ্গীণ’ শব্দের গঠন হলো সর্বাঙ্গ + ঈন।
-
অর্থ: সর্বাঙ্গব্যাপী (প্রতি দিকে ছড়িয়ে থাকা বা সব অংশে উপস্থিত)।
-
প্রত্যয় (Suffix):
-
শব্দ বা ধাতুর পরে এমন কিছু অংশ যুক্ত হলে যা নিজে কোনো অর্থ বহন করে না কিন্তু নতুন শব্দ তৈরি করে, সেটাকে প্রত্যয় বলে।
-
উদাহরণ:
-
বাঘ + আ → বাঘা
-
দিন + ইক → দৈনিক
-
দুল্ + অনা → দোলনা
-
কৃ + তব্য → কর্তব্য
-
তদ্ধিত প্রত্যয় (Taddhita Suffix):
-
কোনো শব্দের পরে যুক্ত প্রত্যয় যদি মূল শব্দের অর্থের সাথে নতুন অর্থ যোগ করে, তবে তাকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে।
-
তদ্ধিত প্রত্যয় দ্বারা তৈরি শব্দকে বলা হয় তদ্ধিতান্ত শব্দ।
-
উদাহরণ:
-
‘আ’ এবং ‘ইক’ হলো তদ্ধিত প্রত্যয়।
-
তাই ‘বাঘা’ ও ‘দৈনিক’ হলো তদ্ধিতান্ত শব্দ।
-
কৃৎপ্রত্যয় (Krit Suffix):
-
ধাতুর পরে যুক্ত যে প্রত্যয়গুলি মূল ক্রিয়ার অর্থকে নতুনভাবে বাস্তবায়িত করে, সেগুলোকে কৃৎপ্রত্যয় বলে।
-
কৃৎপ্রত্যয় দিয়ে তৈরি শব্দকে বলা হয় কৃদন্ত শব্দ।
-
উদাহরণ:
-
‘অনা’ এবং ‘তব্য’ হলো কৃৎপ্রত্যয়।
-
তাই ‘দোলনা’ ও ‘কর্তব্য’ হলো কৃদন্ত শব্দ।
-
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান, প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মাণ (৯ম–১০ম শ্রেণি, ২০২১).

0
Updated: 1 month ago