ধূসরতার কবি বলা হয় কাকে?
A
বিষ্ণু দে
B
নির্মলেন্দু গুণ
C
জীবনানন্দ দাশ
D
সমর সেন
উত্তরের বিবরণ
জীবনানন্দ দাশ বাংলা আধুনিক কবিতার এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর কবিতায় প্রকৃতি, সময়, একাকিত্ব ও অস্তিত্বের গভীর অনুভূতি মিশে আছে। বাংলা কাব্যের ঐতিহ্যে তিনি এমন এক কবি, যিনি রোমান্টিক সৌন্দর্য ও বাস্তব জীবনের বেদনাকে একসূত্রে গেঁথে এক নতুন কাব্যভাষা সৃষ্টি করেছেন।
জীবনানন্দ দাশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালে, বরিশালে।
-
তাঁকে বলা হয় “ধূসরতার কবি”, কারণ তাঁর কবিতায় জীবনের নিঃসঙ্গতা ও ম্লান বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটে।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতাকে বলেছেন “চিত্ররূপময় কবিতা”।
-
তাঁর প্রসিদ্ধ কাব্যগ্রন্থ ‘বনলতা সেন’ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা।
-
এ গ্রন্থের ‘বনলতা সেন’ কবিতা বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিতাগুলির একটি, যা সময় ও ক্লান্ত মানবমনের শান্তির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।
জীবনানন্দ দাশের প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
ঝরাপালক (প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ)
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
বেলা অবেলা কালবেলা

0
Updated: 1 day ago
'বেদান্তগ্রন্থ' - গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
Created: 2 weeks ago
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
উইলিয়াম কেরি
C
রামমোহন রায়
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
‘বেদান্তগ্রন্থ’ ১৮১৫ সালে রাজা রামমোহন রায় কর্তৃক ব্রহ্মসূত্রের অনুবাদ ও টীকা হিসেবে রচিত হয়। বাংলাগদ্যের ইতিহাসে এর গুরুত্ব অসাধারণ। এই গ্রন্থে তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে হিন্দুধর্মের মূল ভিত্তি পৌত্তলিকতা নয়, বরং ব্রহ্মই একমাত্র তত্ত্ব ও উপাস্য। এর ফলে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রবল বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
রামমোহন রায় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ হলো—
-
তিনি বাংলার নবজাগরণের আদি পুরুষ। জন্মগ্রহণ করেন ১৭৭২ সালের ২২ মে হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে।
-
১৮৩০ সালে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর তাঁকে ‘রাজা’ উপাধি প্রদান করেন এবং ব্রিটিশ রাজ ও পার্লামেন্টে পক্ষে ওকালতির জন্য ইংল্যান্ডে পাঠান।
-
২০ আগস্ট ১৮২৮ সালে তিনি প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় কলকাতায় ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
তিনি শিব প্রসাদ রায় ছদ্মনামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
-
তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৩০টি।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
'পরানের গহীন ভেতর' সৈয়দ শামসুল হক রচিত-
Created: 1 week ago
A
কাব্যগ্রন্থ
B
নাটক
C
উপন্যাস
D
গল্পগ্রন্থ
‘পরানের গহীন ভেতর’ সৈয়দ শামসুল হক রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ, যা তাঁর কাব্যসাহিত্যের গভীর ভাবনা, মানবিক অনুভূতি এবং জীবনদর্শন প্রকাশ করে। এই গ্রন্থে কবি মানুষের অন্তর্গত আবেগ, মনস্তত্ত্ব এবং সমাজের বহুমাত্রিক বাস্তবতার সঙ্গে ব্যক্তিগত অনুধাবনের সংমিশ্রণ তুলে ধরেছেন।
সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন ১৯৩৫ সালে কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণকারী একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক। তিনি মূলত লেখক হিসেবে পরিচিত, তবে তাঁর কর্মজীবনে কাব্য, কাব্যনাট্য এবং গল্পকাহিনাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
তাঁর রচিত কাব্যনাট্যসমূহ
-
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
-
নূরলদীনের সারাজীবন
-
এখানে এখন
সৈয়দ শামসুল হক রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
একদা এক রাজ্যে
-
বৈশাখে রচিত পঙ্ক্তিমালা
-
পরানের গহীন ভিতর
-
বেজান শহরের জন্য কোরাস
-
কাননে কানে তোমারই সন্ধানে
-
আমি জন্মগ্রহণ করিনি
তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থসমূহ
-
তাস
-
শীত বিকেল
-
আনন্দের মৃত্যু
-
প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান
-
জলেশ্বরীর গল্পগুলো

0
Updated: 1 week ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে মৃত্যবরণ করেন?
Created: 2 weeks ago
A
১৮৬১ সালে
B
১৯৬১ সালে
C
১৯৪১ সালে
D
১৯৬০ সালে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক, যিনি বাংলা ও বিশ্বসাহিত্যে অমর অবদান রেখেছেন।
তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো হলো:
-
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
-
পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
-
এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
-
১৯১৫ সালে তিনি ইংরেজি কর্তৃক প্রদত্ত ‘নাইট’ উপাধি পান, যা ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের কারণে ফিরিয়ে দেন।
-
১৯৪০ সালে তাকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট উপাধি প্রদান করা হয়।
-
১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago