'যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়'- এই উক্তিটি কার?
A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
কাজী মোতাহার হোসেন
C
প্রমথ চৌধুরী
D
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
উত্তরের বিবরণ
‘যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়’ — এই গভীর তাৎপর্যপূর্ণ উক্তিটি করেছেন প্রমথ চৌধুরী। বাংলা সাহিত্যে তিনি ছিলেন চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক, আধুনিক গদ্য ভাষার নির্মাতা এবং ব্যঙ্গপ্রবন্ধের অগ্রদূত। তাঁর সাহিত্যচিন্তা ও ভাষার ব্যবহার বাঙালি মানসকে আধুনিকতার পথে নিয়ে গেছে।
প্রমথ চৌধুরীর বিখ্যাত উক্তিসমূহ:
-
“সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।”
-
“ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়।”
-
“যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়।”
-
“বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, আর নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে।”
প্রমথ চৌধুরী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রুপাত্মক প্রবন্ধ রচনাকারী এবং গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত।
-
ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক বাংলায় তিনিই।
-
তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
তিনি সবুজপত্র (১৯১৪), বিশ্বভারতী, রূপ ও রীতি, এবং অলকা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
প্রমথ চৌধুরীর রচনা:
-
কাব্যগ্রন্থ: সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ।
-
গল্পগ্রন্থ: চার ইয়ারি কথা, আহুতি, নীল্লোহিত ও গল্পসংগ্রহ।
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: তেল-নুন-লাকড়ি, বীরবলের হালখাতা (চলিত রীতির প্রথম গদ্য রচনা), নানাকথা, আমাদের শিক্ষা, রায়তের কথা, নানাচর্চা।

0
Updated: 1 day ago
কোন দুটি তৎসম উপসর্গ?
Created: 1 week ago
A
নির, দুর
B
ইতি, ঊন
C
অজ, অনা
D
ভর, রাম
বাংলা ভাষায় উপসর্গ দুটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত, যথা তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ এবং বাংলা উপসর্গ। প্রতিটি উপসর্গের সংখ্যা ও উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো।
-
তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ: মোট ২০টি।
-
উদাহরণ: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।
-
-
বাংলা উপসর্গ: মোট ২১টি।
-
উদাহরণ: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
-

0
Updated: 1 week ago
‘দহন’ শব্দের বিশেষণ রূপ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
দহনকারী
B
দাহ্য
C
দাহ্যনীয়
D
দগ্ধ
দহন [দহোন্] একটি বিশেষ্য।
শব্দের অর্থ—
-
দগ্ধকরণ; জ্বালা; পোড়া; দাহ।
-
অগ্নি (যেমন: বেহান বিকাল যায় দহন সেবনে—কবি কঙ্কণ কুমুন্দরাম চক্রবর্তী)।
-
আলঙ্কারিক অর্থে যন্ত্রণা (যেমন: হিয়ায় লইতে দহন দ্বিগুণ হয়—চণ্ডীদাস)।
সম্পর্কিত পদ ও অর্থ—
-
দাহক (বিশেষণ) : দহনকারী বা দাহ সৃষ্টিকারী।
-
দহনকারী : বিশ্বদহন ক্রোধ।
-
দহনক্রিয়া (বিশেষ্য) : জ্বলনের কাজ; দহনক্রিয়ার অর্থ দ্রুতবেগে অক্সিজেনের সঙ্গে মিলন।
-
দাহ্য / দহনীয় (বিশেষণ) : দহনের উপযুক্ত বা দহনযোগ্য।

0
Updated: 1 week ago
বিবৃত স্বরধ্বনি বলতে বোঝায় -
Created: 3 weeks ago
A
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণে ঠোঁট বেশি খোলে
B
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণে জিভ উঁচু হয়
C
যে স্বরধ্বনি অবিকৃতভাবে উচ্চারিত হয়
D
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণে বিকৃতি ঘটে
বিবৃত স্বরধ্বনি হলো এমন স্বরধ্বনি যাকে উচ্চারণ করার সময় ঠোঁট বেশি খোলে। স্বরধ্বনির উচ্চারণের সময় ঠোঁট কতটা খোলা বা বন্ধ থাকে, তার ভিত্তিতে স্বরধ্বনিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়:
-
সংবৃত: [ই], [উ] – উচ্চারণের সময় ঠোঁট কম খোলা থাকে।
-
অর্ধ-সংবৃত: [এ], [ও] – মাঝারি খোলা ঠোঁটের স্বরধ্বনি।
-
অর্ধ-বিবৃত: [অ্যা], [অ] – তুলনামূলক বেশি খোলা ঠোঁট।
-
বিবৃত: [আ] – উচ্চারণের সময় ঠোঁট সবচেয়ে বেশি খোলা থাকে।
উচ্চারণের সময়ে জিভের অবস্থান অনুযায়ীও স্বরধ্বনি চার ভাগে বিভক্ত:
-
উচ্চ স্বরধ্বনি: [ই], [উ] – জিভ উপরে থাকে।
-
উচ্চ-মধ্য স্বরধ্বনি: [এ], [ও] – জিভ মাঝারি অবস্থানে থাকে।
-
নিম্ন-মধ্য স্বরধ্বনি: [অ্যা], [অ] – জিভ কিছুটা নিচে থাকে।
-
নিম্ন স্বরধ্বনি: [আ] – জিভ নিচে থাকে।
উচ্চ স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভ উপরে ওঠে এবং নিম্ন স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভ নিচে নামে।

0
Updated: 3 weeks ago