"কথাটা আমার স্মৃতিপটে জাগরূক আছে।" - বাক্যটি কোন বিবেচনায় অশুদ্ধ?
A
প্রত্যয়সাধিত শব্দের ভুল প্রয়োগ
B
অসঙ্গতিপুর্ণ অশুদ্ধ শব্দের প্রয়োগ হয়েছে
C
বানান ভুল আছে
D
বিশেষ্য-বিশেষণের অপপ্রয়োগ ঘটেছে
উত্তরের বিবরণ
বাক্যটি “কথাটা আমার স্মৃতিপটে জাগরূক আছে।”-এ অশুদ্ধ শব্দপ্রয়োগ ঘটেছে। এখানে “জাগরূক” শব্দটি ব্যবহার করা অনুচিত, কারণ এর অর্থ সজাগ বা হুঁশিয়ার, যা স্মৃতির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়।
স্মৃতির ক্ষেত্রে উপযুক্ত শব্দ হলো “অঙ্কিত”, যার অর্থ খোদিত, গভীরভাবে মনে গেঁথে থাকা। ফলে বাক্যটির শুদ্ধ রূপ হবে—
“কথাটা আমার স্মৃতিপটে অঙ্কিত আছে।”
অন্য অপশনসমূহের বিশ্লেষণ:
-
প্রত্যয়সাধিত শব্দের ভুল প্রয়োগ: নেই
-
বানান ভুল: নেই
-
বিশেষ্য-বিশেষণের অপপ্রয়োগ: নেই

0
Updated: 1 day ago
'ইতরবিশেষ’ বলতে বােঝায়—
Created: 3 weeks ago
A
দুর্বৃত্ত
B
চালাকি
C
পার্থক্য
D
অপদার্থ
ইতরবিশেষ শব্দটি সংস্কৃত থেকে আগত এবং এর অর্থ হলো সামান্য পার্থক্য। এটি সাধারণত কোনো বিষয় বা ব্যক্তির বিশেষ দিককে বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। বাংলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা ও তাদের অর্থ হলো:
-
গভীর জলের মাছ: খুব চালাক বা চতুর ব্যক্তি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
ঘটিরাম/অকাল কুষ্মান্ড: অপদার্থ বা অযোগ্য ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
-
বকধার্মিক: ভণ্ড বা দু-faced ব্যক্তির জন্য ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 3 weeks ago
'লেখক' শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি?
Created: 1 day ago
A
√ লেখ্ + অক
B
√ লিখ্ + অক
C
√ লেখ + অক
D
√ লিখ্ + য়ক
স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট কতটা খোলা বা বন্ধ থাকে, তার ওপর ভিত্তি করে স্বরধ্বনিগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। ঠোঁটের উন্মুক্ততা যত কম, ধ্বনি তত সংবৃত; আর ঠোঁটের উন্মুক্ততা যত বেশি, ধ্বনি তত বিবৃত হয়।
তথ্যসমূহ:
-
সংবৃত স্বরধ্বনি: [ই], [উ] — এই স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট সবচেয়ে কম খোলে।
-
অর্ধ-সংবৃত স্বরধ্বনি: [এ], [ও] — এই স্বরধ্বনি উচ্চারণে ঠোঁট কিছুটা খোলে, তবে সম্পূর্ণ নয়।
-
বিবৃত স্বরধ্বনি: [আ] — উচ্চারণের সময় ঠোঁট সম্পূর্ণভাবে খোলা থাকে।
-
অর্ধ-বিবৃত স্বরধ্বনি: [অ্যা], [অ] — এখানে ঠোঁট তুলনামূলকভাবে কম খোলে, কিন্তু সংবৃত স্বরের চেয়ে বেশি।
অতিরিক্ত তথ্য:
সংবৃত স্বরধ্বনিতে বায়ুপ্রবাহ মুখগহ্বরের সংকীর্ণ অংশ দিয়ে বের হয়, ফলে ধ্বনি সংক্ষিপ্ত ও তীক্ষ্ণ হয়। অন্যদিকে বিবৃত স্বরধ্বনিতে বায়ুপ্রবাহ মুক্তভাবে বের হয়, ফলে ধ্বনি স্পষ্ট ও প্রসারিত হয়।

0
Updated: 1 day ago
বাংলা ভাষার প্রথম ও সম্পূর্ণ ব্যাকরণ গ্রন্থ রচনা করেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
রাজা রামমোহন রায়
B
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড
C
মানোএল দা আসুম্পসাঁউ
D
উইলিয়ম কেরী
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড ছিলেন একজন ইংরেজ প্রাচ্যবিদ ও বৈয়াকরণ। ওয়ারেন হেস্টিংসের অনুরোধে তিনি বাংলা ভাষার ব্যাকরণ রচনায় উদ্যোগী হন এবং এর মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড ছিলেন বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণগ্রন্থ রচয়িতা।
-
তাঁর রচিত A Grammar of the Bengal Language গ্রন্থটি ১৭৭৮ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এটি বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণগ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
-
বাংলা সংস্কৃতি ও ভাষার ইতিহাসে হ্যালহেডের সবচেয়ে বড় অবদান হলো তাঁর এই ব্যাকরণগ্রন্থ রচনা।
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago