নিচের কোন বানানটি ভুল?
A
গার্হস্থ্য
B
অধঃগতি
C
স্তূপ
D
পিপীলিকা
উত্তরের বিবরণ
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে ‘অধঃগতি’ শব্দটির শুদ্ধ রূপ হলো ‘অধোগতি’। এটি একটি সংস্কৃত ভাষার শব্দ, যার অর্থ নিম্নগতি বা দুর্দশা। শব্দটি এমন অবস্থাকে নির্দেশ করে, যেখানে কোনো ব্যক্তি, সমাজ বা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে বা নীচে নেমে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, নিম্নোক্ত শব্দগুলোর বানানও শুদ্ধ বলে অভিধানে নির্দিষ্ট করা হয়েছে—
-
স্তূপ
-
পিপীলিকা
-
গার্হস্থ্য
এসব শব্দের ক্ষেত্রে বানানে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন নেই, কারণ এগুলো প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুযায়ী সঠিকভাবে লেখা।

0
Updated: 1 day ago
'যাহারা ভালো, তাহারা পুরস্কৃত হইবে' – এখানে 'যাহারা, তাহারা' কী?
Created: 1 month ago
A
অব্যয়
B
বিশেষণ
C
সর্বনাম
D
যোজক অব্যয়
সর্বনাম পদ
‘যাহারা ভালো, তাহারা পুরস্কৃত হইবে’ – এখানে যাহারা ও তাহারা হলো সাপেক্ষ সর্বনামের উদাহরণ।
সংজ্ঞা:
বাক্যে বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে।
বাংলা ভাষায় সর্বনামকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা হয়—
-
ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম
-
আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।
-
-
আত্মবাচক সর্বনাম
-
স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি।
-
-
সামীপ্যবাচক সর্বনাম
-
এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি ইত্যাদি।
-
-
দূরত্ববাচক সর্বনাম
-
ঐ, ঐসব।
-
-
সাকুল্যবাচক সর্বনাম
-
সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ।
-
-
প্রশ্নবাচক সর্বনাম
-
কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে?
-
[প্রশ্ন করার জন্য প্রশ্নবাচক সর্বনাম ব্যবহৃত হয়। যেমন: কী দিয়ে ভাত খায়?]
-
-
অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম
-
কোন, কেহ, কেউ, কিছু।
-
-
ব্যতিহারিক সর্বনাম
-
আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর ইত্যাদি।
-
-
সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম
-
যে, যিনি, যাঁরা, যারা, যাহারা ইত্যাদি।
-
-
অন্যাদিবাচক সর্বনাম
-
অন্য, অপর, পর ইত্যাদি।
-
-
সাপেক্ষ সর্বনাম
-
যেমন: যারা–তারা, যে–সে, যেমন–তেমন (যেমন কর্ম, তেমন ফল)।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ ও ২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
'বিভূতি' শব্দের অর্থ কী?
Created: 2 weeks ago
A
রাত
B
ধন
C
চাঁদ
D
বক্র
বাংলা ভাষায় ‘বিভূতি’ শব্দটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এর একাধিক অর্থ রয়েছে। একইভাবে ‘ধন’ শব্দটিরও বিভিন্ন সমার্থক শব্দ পাওয়া যায়। নিচে সেগুলো দেওয়া হলো।
-
বিভূতি (বিশেষ্য পদ) এর অর্থ:
১. ঈশ্বরের ঐশ্বর্য বা ভগবানের শক্তি
২. ভস্ম বা ছাই (উদাহরণ: বিভূতি ভূষিত দেহ — মাইকেল মধুসূদন দত্ত)
৩. সমৃদ্ধি বা উন্নতি
৪. সম্পত্তি বা ধন
৫. অণিমা, লঘিমা, ব্যাপ্তি, প্রকাম্য, মহিমা, ঈশিত্ব, বশিত্ব ও কামাবসায়িতা—এই অষ্ট বিভূতি বা ঐশ্বর্য -
‘ধন’ এর সমার্থক শব্দ:
বিত্ত, অর্থ, সম্পদ, বিভব, বৈভব, বিভূতি, নিধি, ঐশ্বর্য
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
'যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়'- এই উক্তিটি কার?
Created: 1 day ago
A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
কাজী মোতাহার হোসেন
C
প্রমথ চৌধুরী
D
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
‘যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়’ — এই গভীর তাৎপর্যপূর্ণ উক্তিটি করেছেন প্রমথ চৌধুরী। বাংলা সাহিত্যে তিনি ছিলেন চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক, আধুনিক গদ্য ভাষার নির্মাতা এবং ব্যঙ্গপ্রবন্ধের অগ্রদূত। তাঁর সাহিত্যচিন্তা ও ভাষার ব্যবহার বাঙালি মানসকে আধুনিকতার পথে নিয়ে গেছে।
প্রমথ চৌধুরীর বিখ্যাত উক্তিসমূহ:
-
“সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।”
-
“ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়।”
-
“যে জাতি মনে বড় নয়, সে জাতি জ্ঞানেও বড় নয়।”
-
“বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, আর নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে।”
প্রমথ চৌধুরী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
বাংলা সাহিত্যে প্রথম বিদ্রুপাত্মক প্রবন্ধ রচনাকারী এবং গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত।
-
ইতালীয় সনেটের প্রবর্তক বাংলায় তিনিই।
-
তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
তিনি সবুজপত্র (১৯১৪), বিশ্বভারতী, রূপ ও রীতি, এবং অলকা পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
প্রমথ চৌধুরীর রচনা:
-
কাব্যগ্রন্থ: সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ।
-
গল্পগ্রন্থ: চার ইয়ারি কথা, আহুতি, নীল্লোহিত ও গল্পসংগ্রহ।
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: তেল-নুন-লাকড়ি, বীরবলের হালখাতা (চলিত রীতির প্রথম গদ্য রচনা), নানাকথা, আমাদের শিক্ষা, রায়তের কথা, নানাচর্চা।

0
Updated: 1 day ago