যে যন্ত্রের সাহায্যে পরবর্তী উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে এবং নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তরিত করা হয় তার নাম কি?
A
ট্রান্সফরমার
B
মোটর
C
জেনারেটর
D
ডায়নামো
উত্তরের বিবরণ
ট্রান্সফরমার
-
ট্রান্সফরমার একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র।
-
এটি তাড়িতচৌম্বক আবেশের মাধ্যমে কাজ করে।
-
এতে সাধারণত দুটি তারের কুণ্ডলী (কয়েল) থাকে।
-
এই কুণ্ডলীগুলো একটি লোহার ফ্রেম বা কোরের ওপর জড়ানো থাকে, যাতে বেশি চৌম্বক বলরেখা তৈরি হয়।
-
এক কুণ্ডলীতে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালালে অন্য কুণ্ডলীতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি বিদ্যুৎচালক শক্তি (EMF) তৈরি হয়।
-
ট্রান্সফরমারের কাজ হলো উচ্চ ভোল্টেজকে কম ভোল্টেজে বা কম ভোল্টেজকে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করা।
-
তবে এতে বিদ্যুৎ শক্তির পরিমাণ একই থাকে, শুধু ভোল্টেজ ও কারেন্টের পরিমাণ পাল্টে যায়।
-
যখন ভোল্টেজ বাড়ে, তখন কারেন্ট কমে যায়; আবার ভোল্টেজ কমলে কারেন্ট বাড়ে।
-
এইভাবে ট্রান্সফরমার বৈদ্যুতিক শক্তির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
তামার সাথে নিচের কোনটি মেশালে পিতল হয়?
Created: 3 months ago
A
নিকেল
B
টিন
C
সিসা
D
দস্তা (জিঙ্ক)
সংকর ধাতু, এমন ধাতু যেগুলো এক বা একাধিক ধাতু বা অধাতুর সঙ্গে মিশ্রিত করে তৈরি করা হয়। এই মিশ্রণে প্রধানত একটি ধাতু প্রধান হিসেবে থাকে, আর বাকিগুলো অপ্রধান ধাতু বা অধাতু হিসেবে যোগ করা হয়।
সাধারণত সংকর ধাতু তৈরিতে সব ধাতুকে সমান পরিমাণে মেশানো হয় না। সংকর ধাতুর নামকরণ প্রধান ধাতুর নাম অনুসারে করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, পিতল হলো কপার ও জিংকের সংকর ধাতু, যেখানে কপার প্রধান ধাতু হিসেবে প্রায় ৬৫% এবং জিংক অপ্রধান হিসেবে ৩৫% থাকে। এজন্য পিতলকে কপারের সংকর ধাতু বলা হয়। স্টিলের ক্ষেত্রে লোহা প্রধান ধাতু (প্রায় ৯৯%) এবং কার্বন অপ্রধান অধাতু (প্রায় ১%) থাকে, তাই স্টিলকে লোহার সংকর ধাতু হিসেবে গণ্য করা হয়।
অন্যদিকে, কাঁসা বা ব্রোঞ্জ কপার ও টিনের সংকর ধাতু, যেখানে কপার থাকে ৯০% এবং টিন থাকে ১০%। সুতরাং, কপারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংকর ধাতু হলো পিতল (ব্রাস) ও কাঁসা (ব্রোঞ্জ)।
উৎস: রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 3 months ago
যেসব নিউক্লিয়াসের নিউট্রন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা সমান নয় তাদের বলা হয়-
Created: 3 months ago
A
আইসোটোপ
B
আইসোমার
C
আইসোটোন
D
আইসোবার
• আইসোটোন:
যেসব নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা এক হলেও ভরসংখ্যা আলাদা, তাদের আইসোটোন বলা হয়।
• আইসোটোপ:
যেসব নিউক্লিয়াসের প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন, সেগুলোকে আইসোটোপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
• আইসোবার:
যেসব নিউক্লিয়াসের ভরসংখ্যা একই হলেও প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন হয়, তারা আইসোবার নামে পরিচিত।
• আইসোমার:
যেসব নিউক্লিয়াসে পারমাণবিক সংখ্যা ও ভরসংখ্যা উভয়ই একই থাকে, সেগুলোকে আইসোমার বলা হয়ে থাকে।
সূত্র: নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন পাঠ্যপুস্তক।
0
Updated: 3 months ago
উড়োজাহাজের গতি নির্ণয়াক যন্ত্র-
Created: 3 months ago
A
ক্রনোমিটার
B
ট্যাকোমিটার
C
হাইগ্রোমিটার
D
ওডোমিটার
উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র - ট্যাকোমিটার।
- সমুদ্রের দ্রাঘিমা পরিমাপক যন্ত্র - ক্রনোমিটার।
- মোটর গাড়ির গতি নির্ণায়ক যন্ত্র - ওডোমিটার।
- বায়ুর আর্দ্রতা মাপার যন্ত্র - হাইগ্রোমিটার।
উৎস: ব্রিটানিকা
0
Updated: 3 months ago