‘রাইফেল রোটি আওরাত’ হলো আনোয়ার পাশা রচিত এক অনন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস, যেখানে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের ভয়াবহতা, ত্যাগ, মানবিক বোধ এবং স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামী মানুষের জীবনচিত্র বাস্তবধর্মীভাবে ফুটে উঠেছে।
-
‘রাইফেল রোটি আওরাত’ মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রচিত হয় এবং ১৯৭৩ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
উপন্যাসটির অন্যতম প্রধান চরিত্র অধ্যাপক সুদীপ্ত শাহীন, যিনি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের বিবেকের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপিত।
-
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের মধ্যে রয়েছে ড. খালেক, ড. মালেক, ছাবেদ আলী, হাসমত ও জামাল সাহেব।
-
উপন্যাসটি মূলত মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজের মানসিক দ্বন্দ্ব, দেশপ্রেম ও সংগ্রামী চেতনার প্রতিফলন ঘটায়।
আনোয়ার পাশা ছিলেন একজন বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক।
-
জন্ম: ১৯২৮ সালের ১৫ এপ্রিল, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের ডাবকাই গ্রামে।
-
তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অন্যতম।
তাঁর উপন্যাসসমূহ—
-
নিশুতি রাতের গাথা
-
নীড় সন্ধানী
-
রাইফেল রোটি আওরাত (মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক)
তাঁর কাব্যগ্রন্থসমূহ—
-
নদী নিঃশেষিত হলে
-
সমুদ্র শৃঙ্খলাতা উজ্জয়িনী
-
অন্যান্য কবিতা
অন্যদিকে, মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর সময় ও জাতীয় আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস হলো—
-
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘চিলে কোঠার সেপাই’ (১৯৮৭), যার পটভূমি উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান।
-
জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’, যার পটভূমি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও পরবর্তী ঢাকা শহরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।