টেলিভিশনে রঙিন ছবি উৎপাদনের জন্যে কয়টি মৌলিক রং- এর ছবি ব্যবহার করা হয়?
A
১ টি
B
২ টি
C
৩ টি
D
৪ টি
উত্তরের বিবরণ
রঙিন টেলিভিশন
রঙিন টেলিভিশন এবং সাদাকালো টেলিভিশনের মধ্যে অনেক যন্ত্রপাতি এক হলেও, রঙিন টেলিভিশনে বাড়তি কিছু যন্ত্র লাগে রঙ দেখানোর জন্য।
রঙিন টেলিভিশনের ক্যামেরা রঙিন ছবি তোলার জন্য তিনটি মূল রঙ — লাল, সবুজ ও নীল — আলাদাভাবে ধরতে পারে। এজন্য ক্যামেরায় থাকে তিনটি আলাদা ইলেকট্রন টিউব।
একইভাবে, রঙিন টেলিভিশনের ভিতরে (যেটা আমরা দেখি) তিনটি ইলেকট্রন গান থাকে — প্রতিটি গান একটি নির্দিষ্ট রঙ (লাল, সবুজ, নীল) তৈরি করে।
পর্দার পেছনে থাকে তিন ধরনের ফসফর দানা। ইলেকট্রন গান থেকে আসা রশ্মি যখন নির্দিষ্ট ফসফর দানায় লাগে, তখন সেই দানাটি আলোকিত হয় এবং নির্দিষ্ট একটি রঙ তৈরি হয়।
এইভাবে, পর্দায় একসাথে ছোট ছোট লাল, সবুজ আর নীল রঙের বিন্দু তৈরি হয়। এদের মিলিয়ে নানা রকম রঙ তৈরি হয়, আর আমাদের চোখে তা রঙিন ছবি হিসেবে দেখা যায়।
0
Updated: 3 months ago
অ্যালুমিনিয়াম সালফেটকে চলতি বাংলায় কী বলে?
Created: 3 months ago
A
চুন
B
সেভিং সোপ
C
ফিটকিরি
D
কস্টিক সোডা
ফিটকিরি (পটাশ অ্যালাম)
-
ফিটকিরি হচ্ছে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যার বৈজ্ঞানিক নাম পটাশ অ্যালাম।
-
এর রাসায়নিক সংকেত হলো: K₂SO₄.Al₂(SO₄)₃.24H₂O।
-
এটি একটি দ্বি-লবণ, অর্থাৎ দুটি লবণের মিশ্রণ – পটাসিয়াম সালফেট এবং অ্যালুমিনিয়াম সালফেট।
-
ফিটকিরিকে সাধারণত আমরা পানি পরিশোধনের (পরিষ্কার করার) কাজে ব্যবহার করি।
-
এটি শক্ত অবস্থায় একধরনের নির্দিষ্ট আকৃতির স্ফটিক বা কেলাস আকারে থাকে।
-
প্রতিটি কেলাসে ২৪টি পানির অণু থাকে, যাকে বলে কেলাস পানি।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন বই এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি রসায়ন প্রোগ্রাম।
0
Updated: 3 months ago
নিচের কোনটির বিদ্যুৎ পরিবাহিতা সবচেয়ে বেশি?
Created: 2 months ago
A
তামা
B
রূপা
C
সোনা
D
কার্বন
পরিবাহিতা
স্থির তাপমাত্রায় কোন নির্দিষ্ট পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সমানুপাতিক।
অর্থাৎ, কোনো পরিবাহীর স্থির তাপমাত্রায় দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V থাকা অবস্থায় এর ভিতর দিয়ে I পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহ হলে ও'মের সূত্রানুসারে,
I ∝ V
বা, I = GV
এখানে, G একটি সমানুপাতিক ধ্রুবক।
- একে পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা (conductance) বলে।
- পরিবাহীতায় একক সিমেন্স (Siemens)। একে সংক্ষেপে S দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
- একই বিভব পার্থক্যে যে পরিবাহীর ভিতর দিয়ে যত বেশি তড়িৎ প্রবাহিত হবে সে পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা তত বেশি।
- আবার একই বিভব পার্থক্যে যে পরিবাহীর ভিতর দিয়ে যত কম তড়িৎ প্রবাহিত হবে সে পরিবাহীর রোধ তত বেশি।
- প্রকৃতপক্ষে কোনো পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা তার রোধের মানের বিপরীত সংখ্যা।
- উপাদান, তাপমাত্রা এবং আকার আকৃতির উপর পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা নির্ভর করে।
- তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সকল পরিবাহীর তড়িৎ পরিবাহিতা হ্রাস পায়।
- সকল ধাতুই উত্তম পরিবাহী কিন্তু একই আকার আকৃতির সকল ধাতুর তড়িৎ পরিবাহিতা সমান নয়।
যেমন- রূপার তড়িৎ পরিবাহিতা সবচেয়ে বেশি।
- অপরদিকে জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদির তড়িৎ পরিবাহিতা সাধারণ তাপমাত্রায় খুবই কম।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
রাসায়নিক অগ্নি নির্বাপক কাজ করে অগ্নিতে -
Created: 2 months ago
A
হাইড্রোজেন সরবরাহ করে
B
নাইট্রোজেন সরবরাহ করে
C
অক্সিজেন সরবরাহ করে
D
অক্সিজেন সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে
ড্রাই কার্বন-ডাই-অক্সাইড একটি নিরাপদ অগ্নিনির্বাপণ উপাদান।
যখন এটি ব্যবহার করার যন্ত্রের ভালব খোলা হয়, তখন এটি গ্যাসে পরিণত হয়। এই গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং আগুনের চারপাশ থেকে অক্সিজেনকে সরিয়ে দেয়।
কারণ, কার্বন-ডাই-অক্সাইড অক্সিজেনের চেয়ে ভারী, তাই এটি নিচে জমে গিয়ে আগুনের কাছে থাকা অক্সিজেনকে বাধা দেয়। আর অক্সিজেন না থাকলে আগুন জ্বলতে পারে না।
রাসায়নিক অগ্নিনির্বাপকও ঠিক একইভাবে কাজ করে—এটি আগুনের অক্সিজেন পেতে বাধা দেয়, ফলে আগুন নিভে যায়।
উৎস: National Emergency Service website এবং Britannica.
0
Updated: 2 months ago