এক গ্রাম পানির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি হতে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বৃদ্ধির জন্যে কত তাপের প্রয়োজন?
A
১০ ক্যালরি
B
২ ক্যালরি
C
৩ ক্যালরি
D
৪ ক্যালরি
উত্তরের বিবরণ
তাপ
-
তাপ হলো এমন একটি শক্তি যা কোনো বস্তুর বা পদার্থের ভেতরের অণুগুলোর গতি থেকে তৈরি হয়। এই তাপই আমাদের কাছে ঠাণ্ডা বা গরম লাগার অনুভূতি দেয়।
-
তাপ হলো শক্তির একটি ধরনের রূপ।
-
তাই, তাপের পরিমাপের এককও শক্তির এককের মতোই হয়।
-
আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী, তাপের SI একক হলো জুল (J)।
-
আগে তাপ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হতো ক্যালরি নামের একক।
-
১ গ্রাম পানির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়াতে বা কমাতে যে পরিমাণ তাপ লাগে, তাকে ১ ক্যালরি বলা হয়।
-
আর ১ ক্যালরি তাপ শক্তি প্রায় ৪.২ জুল শক্তির সমান।
-
অর্থাৎ,
১ ক্যালরি = ৪.২ জুল -
উদাহরণস্বরূপ, ১ গ্রাম পানি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম করতে ৪.২ জুল তাপ দরকার।
-
আবার, যদি পানি ২০ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গরম হয়, অর্থাৎ ১০ ডিগ্রি বেড়ে যায়, তখন মোট ১০ ক্যালরি তাপ দরকার হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
মস্তিষ্ক কোন তন্ত্রের অঙ্গ?
Created: 3 weeks ago
A
স্নায়ুতন্ত্রের
B
রেচনতন্ত্রের
C
পরিপাকতন্ত্রের
D
শ্বাসতন্ত্রের
স্নায়ুটিস্যু বা নার্ভ টিস্যু
প্রাণীদেহে এমন এক বিশেষ কলা আছে, যা বাইরের বা ভেতরের পরিবেশ থেকে আসা উদ্দীপনা অনুভব করে এবং তার উপযুক্ত সাড়া প্রদান করে। একে বলা হয় স্নায়ুটিস্যু (Nervous tissue)।
উদাহরণ: মস্তিষ্ক, সুষুম্না কাণ্ড।
-
স্নায়ুটিস্যুর মৌলিক একক হলো নিউরন (স্নায়ুকোষ)।
-
মস্তিষ্ক অসংখ্য নিউরনের সমষ্টি।
-
প্রতিটি নিউরন আবার তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত—
-
কোষদেহ (Cell body)
-
ডেনড্রন (Dendron)
-
অ্যাক্সন (Axon)
-
স্নায়ুটিস্যুর কাজ
✔️ দেহের বিভিন্ন ইন্দ্রিয় ও সংবেদন অঙ্গ থেকে পাওয়া উদ্দীপনা মস্তিষ্কে প্রেরণ করে।
✔️ মস্তিষ্ক সেই সংকেত গ্রহণ করে এবং দেহের কার্যকর অঙ্গকে সাড়া দিতে বলে।
যেমন: মশা কামড়ালে ত্বক সেই সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায় → মস্তিষ্ক হাতকে জানায় → হাত মশা মারতে নড়ে।
✔️ প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা বা উদ্দীপনাকে স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে।
✔️ দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে সমন্বয় সাধন করে।
উৎস: বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণি

0
Updated: 3 weeks ago
ডায়োড সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়-
Created: 1 month ago
A
ক্যাপাসিটর হিসেবে
B
ট্রান্সফরমার হিসেবে
C
রেজিস্টর হিসেবে
D
রেক্টিফায়ার হিসেবে
ডায়োড হলো এমন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা বিদ্যুতের প্রবাহকে একদিকে যেতে দেয়, কিন্তু উল্টো দিকে যেতে দেয় না।
এটি নানা কাজে ব্যবহৃত হয়।
সাধারণ ডায়োড ছাড়াও Light Emitting Diode (LED) নামে ছোট ছোট রঙিন আলোও আছে।
ডায়োড তৈরি হয় যখন একটি p-টাইপ অর্ধপরিবাহী এবং একটি n-টাইপ অর্ধপরিবাহী একসাথে যুক্ত হয়। একে বলা হয় p-n জাংশন ডায়োড।
ডায়োড মূলত রেকটিফায়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। রেকটিফায়ারের কাজ হলো AC (অলটারনেটিং কারেন্ট) কে DC (ডাইরেক্ট কারেন্ট) এ পরিবর্তন করা।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
আকাশে রংধনু সৃষ্টির কারণ-
Created: 2 weeks ago
A
ধুলিকণা
B
বায়ুস্তর
C
বৃষ্টির কণা
D
অতিবেগুনি রশ্মি
সূর্যের আলো দেখতে সাদা রঙের হলেও আসলে এর ভেতরে সাতটি ভিন্ন রঙ লুকিয়ে থাকে—বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। এই সাদা আলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। যখন এটি কোনো প্রিজমের ভেতর দিয়ে যায়, তখন আলোটি ভেঙে সাত রঙে আলাদা হয়ে যায়।
আকাশে বৃষ্টি হলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো ছোট ছোট প্রিজমের মতো কাজ করে। সূর্যের আলো ফোঁটার এক পাশ দিয়ে প্রবেশ করে এবং বের হওয়ার সময় সাত রঙের বর্ণালী তৈরি করে। ফোঁটা থেকে বের হওয়া এই রঙিন আলো আমাদের চোখে পৌঁছায় বলেই আমরা রংধনু দেখতে পাই। অর্থাৎ বৃষ্টির ফোঁটার ভেতরের প্রতিফলন ও প্রতিসরণের কারণে আকাশে সুন্দর রংধনু গঠিত হয়।
এছাড়া আলো যখন ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে যায়, আর যদি আপতন কোণ মাধ্যম দুটির সংকট কোণের চেয়ে বড় হয়, তখন পুরো আলোকরশ্মিই প্রতিফলিত হয়ে ঘন মাধ্যমের ভেতরেই ফিরে আসে। এই ঘটনাকে বলা হয় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago