আবু ইসহাকের উপন্যাস নয় কোনটি?
A
সূর্য-দীঘল বাড়ী
B
পদ্মার পলিদ্বীপ
C
জাল
D
মহাপতঙ্গ
উত্তরের বিবরণ
“মহাপতঙ্গ” আবু ইসহাক রচিত একটি গল্পগ্রন্থ, উপন্যাস নয়। এই গ্রন্থে লেখক সমাজজীবনের বাস্তবতা, মানবিক টানাপোড়েন ও নৈতিক অবক্ষয়কে গভীরভাবে চিত্রিত করেছেন। আবু ইসহাকের গল্পগুলোতে সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রাম ও সামাজিক বৈষম্যের তীব্র প্রতিফলন দেখা যায়।
আবু ইসহাক ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও অভিধান প্রণেতা। তিনি ১৯২৬ সালের ১ নভেম্বর শরীয়তপুর জেলার শিরঙ্গল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাহিত্য জীবনের সূচনালগ্নে তিনি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত নবযুগ পত্রিকায় তাঁর “অভিশাপ” নামের গল্প প্রকাশ করেন। বাংলা ভাষার বিকাশ ও সংরক্ষণে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য—তিনি রচনা করেন দুই খণ্ডে প্রকাশিত সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধান (প্রকাশকাল: ১৯৯৩ ও ১৯৯৮), যা বাংলা কোষগ্রন্থ সাহিত্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
সাহিত্যচর্চায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একাধিক সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করেন, যেমন:
-
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৩)
-
সুন্দরবন সাহিত্য পদক (১৯৮১)
-
বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ সাহিত্য পদক (১৯৯০)
-
একুশে পদক (১৯৯৭)
-
স্বাধীনতা পদক (মরণোত্তর, ২০০৪)
-
শিশু একাডেমি পদক (মরণোত্তর, ২০০৬)
তিনি ২০০৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
উপন্যাসসমূহ:
-
সূর্য-দীঘল বাড়ী
-
পদ্মার পলিদ্বীপ
-
জাল
গল্পগ্রন্থসমূহ:
-
হারেম
-
মহাপতঙ্গ

0
Updated: 1 day ago
কোনটি আবু ইসহাক রচিত গল্পগ্রন্থ?
Created: 3 weeks ago
A
জাল
B
মহাপতঙ্গ
C
পদ্মার পলিদ্বীপ
D
ক ও খ উভয়ই
আবু ইসহাক ছিলেন একজন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও অভিধান-প্রণেতা, যিনি ১৯২৬ সালের ১ নভেম্বর শরিয়তপুর জেলার শিরঙ্গল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে সমকালীন বাংলা ভাষার অভিধানের পরিধি সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, বিশেষ করে দুই খণ্ডের সমকালীন বাংলা অভিধান (১৯৯৩, ১৯৯৮) রচনার মাধ্যমে। তাঁর সাহিত্যিক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৩), সুন্দরবন সাহিত্য পদক (১৯৮১) এবং অন্যান্য সম্মাননা।
আবু ইসহাকের সাহিত্যকর্মে উল্লেখযোগ্য হলো:
গল্পগ্রন্থ:
-
হারেম
-
মহাপতঙ্গ
উপন্যাস:
-
সূর্য দীঘল বাড়ী
-
পদ্মার পলিদ্বীপ
-
জাল

0
Updated: 3 weeks ago
আবু ইসহাক রচিত উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অভিশাপ
B
জাল
C
হারেম
D
মহাপতঙ্গ
‘জাল’ উপন্যাস
‘জাল’ হলো আবু ইসহাক রচিত একটি গোয়েন্দা-ভিত্তিক উপন্যাস।
এটি তাঁর তৃতীয় উপন্যাস।
উপন্যাসটি রচিত হয়েছে বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে।
১৯৫০ সালে সরকারি কর্মকর্তা থাকাকালীন সময়ে লেখকের ওপর ‘জাল নোট’ মামলার তদন্ত করার দায়িত্ব পড়ে। সেই অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটিয়েই এই উপন্যাসটি রচিত হয়।
ফলে ‘জাল’ কেবল কল্পকাহিনি নয়, বরং তদন্ত-অভিজ্ঞতা, প্রশাসনিক জটিলতা এবং অপরাধ-চক্রের বাস্তব চিত্রও এতে ফুটে উঠেছে।
আবু ইসহাকের অন্যান্য সাহিত্যকর্ম:
গল্প:
কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদিত নবযুগ পত্রিকায় তাঁর প্রথম প্রকাশিত গল্প ‘অভিশাপ’।
প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ:
হারেম (১৯৬২)
মহাপতঙ্গ (১৯৬৩)
এসব গল্পে উঠে এসেছে—ভূমিহীন কৃষক, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত মানুষ, দুর্ভিক্ষপীড়িত সমাজ ও নানা পেশাজীবী মানুষের জীবনসংগ্রাম।
উপন্যাস:
সূর্য দীঘল বাড়ি (তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস)
পদ্মার পালা
জাল
উৎস: ‘জাল’ উপন্যাস, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
পদ্মা তীরবর্তী চরকেন্দ্রিক অধিবাসীদের চরদখল ও জীবন-সংগ্রাম নিয়ে আবু ইসহাক রচিত উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পদ্মা নদীর মাঝি
B
পদ্মা মেঘনা যমুনা
C
পদ্মাপাড়
D
পদ্মার পলিদ্বীপ
‘পদ্মার পলিদ্বীপ’ উপন্যাস – আবু ইসহাক
-
রচনা ও প্রকাশ: আবু ইসহাক দীর্ঘ সময়ব্যাপী উপন্যাসটি রচনা করেন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে রচনার কাজ শুরু হয় এবং ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার মুক্তধারা প্রকাশ করে।
-
প্রকাশনার ইতিহাস: উপন্যাসের প্রথম ষোলটি অধ্যায় বাংলা একাডেমির 'উত্তরাধিকার' পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে মে ১৯৭৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। তখন এর নাম ছিল ‘মধুর মাটি’।
-
উপন্যাসের বিষয়বস্তু: পদ্মা তীরবর্তী চরকেন্দ্রিক অধিবাসীদের জীবন, চরদখল ও সংগ্রাম উপস্থাপিত।
-
প্রধান চরিত্র: ফজল
-
অন্য চরিত্রসমূহ: এরফান মাতব্বর, আরশেদ মোল্লা, জঙ্গুরুল্লা, জরিনা, রূপজান ইত্যাদি।
অন্য সমসাময়িক ও প্রাসঙ্গিক রচনা:
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’
-
আবু জাফর শামসুদ্দীনের উপন্যাস ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’
-
জসীমউদ্দীনের নাটক ‘পদ্মাপাড়’
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago