'দেওয়ানা মদিনা' পালাটির লেখক-
A
চন্দ্রাবতী
B
দ্বিজ কানাই
C
মনসুর বয়াতি
D
দ্বিজ ঈশান
উত্তরের বিবরণ
‘দেওয়ানা মদিনা’ পালা বাংলা লোকসাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ পালাগান, যা মূলত প্রেম, পারিবারিক সংঘাত ও সামাজিক মূল্যবোধের মিশেলে গঠিত। এটি মৈমনসিংহ গীতিকার অন্যতম জনপ্রিয় পালা। নিচে এর বিষয়বস্তু ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হলো।
‘দেওয়ানা মদিনা’ পালা সম্পর্কে:
-
এ পালাটির রচয়িতা মনসুর বয়াতি।
-
কাহিনিটি বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচঙ্গ উপজেলার দেওয়ান পরিবারকে কেন্দ্র করে রচিত।
-
এতে বানিয়াচঙ্গের দেওয়ান সোনাফরের দুই পুত্র আলাল ও দুলালের জীবনের নানা ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
-
পালার মূল কাহিনি গড়ে উঠেছে দুলাল ও গৃহস্থকন্যা মদিনার প্রেমকে কেন্দ্র করে।
-
এই পালার অপর নাম ‘আলাল-দুলাল’ পালা।
প্রধান চরিত্রসমূহ:
-
আলাল
-
দুলাল
-
মদিনা
-
সোনাফর
‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ সম্পর্কে:
-
এটি ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রাচীন পালাগানের সংকলন, যা বাংলা লোকসাহিত্যের এক অমূল্য ভান্ডার।
-
ড. দীনেশচন্দ্র সেন স্থানীয় সংগ্রাহকদের সহায়তায় এই গীতিগুলো সংগ্রহ ও সম্পাদনা করেন।
-
তাঁর সম্পাদিত সংকলনটি ১৯২৩ সালে “মৈমনসিংহ গীতিকা” নামে প্রকাশিত হয়।
-
এটি কেবল গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রতিফলন নয়, শিল্পগুণ ও বিষয়বৈচিত্র্যে শিক্ষিত সমাজেরও মন জয় করেছে।
-
‘মৈমনসিংহ গীতিকা’-য় মোট ১০টি গীতিকা সংকলিত হয়েছে।
মৈমনসিংহ গীতিকার অন্তর্ভুক্ত গীতিকাসমূহ:
-
চন্দ্রাবতী (নয়ানচাঁদ ঘোষ)
-
দেওয়ানা মদিনা (মনসুর বয়াতি)
-
মহুয়া (দ্বিজ কানাই)
-
মলুয়া (চন্দ্রাবতী)
-
কমলা (দ্বিজ ঈশান)
-
দেওয়ান ভাবনা
-
দস্যু কেনারামের পালা (চন্দ্রাবতী)
-
রূপবতী
-
কাজলরেখা
-
কঙ্ক ও লীলা

0
Updated: 1 day ago
নিত্য মূর্ধন্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান?
Created: 2 months ago
A
কষ্ট
B
উপনিষৎ
C
কল্যাণীয়েষু
D
আষাঢ়
আষাঢ় শব্দে ‘ষ’ ব্যবহারের প্রকৃতি: স্বাভাবিক প্রয়োগ বা ষ-ত্ব বিধান?
ষ-ত্ব বিধান কী?
বাংলা ভাষায় মূর্ধন্য ‘ষ’ ধ্বনি সাধারণভাবে প্রচলিত নয়। দেশি, তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে ‘ষ’ লেখা হয় না। তবে কিছু তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ষ অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এসব ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহারের নির্দিষ্ট নিয়মকেই বলা হয় ষ-ত্ব বিধান।
‘ষ’ ব্যবহারের প্রধান নিয়মাবলি:
১. ঋ অথবা ঋ-কার যুক্ত শব্দে সাধারণত ‘ষ’ হয়। যেমন: ঋষি, উৎকৃষ্ট, কৃষক।
২. ট-বর্গীয় ধ্বনি থাকলে তার সাথে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: কষ্ট, নষ্ট, স্পষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
৩. অ ও আ ব্যতীত অন্য স্বরধ্বনি, এবং ক কিংবা র-এর পরে প্রত্যয়ের ‘স’ → ‘ষ’ হয়। যেমন: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চিকীর্ষা, চক্ষুষ্মান।
৪. ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গযুক্ত কিছু ধাতুর ক্ষেত্রে ‘স’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ষ’ হয়। যেমন: অভিষেক (অভি + সেক), সুষুপ্ত (সু + সুপ্ত), অনুষঙ্গ, সুষমা।
৫. তৎসম শব্দে ‘র’-এর পর অনেক সময় ‘ষ’ হয়। উদাহরণ: বর্ষা, বর্ষণ, ঘর্ষণ।
৬. কিছু শব্দে স্বভাবগতভাবেই মূর্ধন্য ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন: আষাঢ়, ঊষা, রোষ, কোষ, ভাষণ, পৌষ, ষড়ঋতু।
যেসব ক্ষেত্রে ষ-ত্ব বিধান কার্যকর নয়:
-
বিদেশি শব্দ, যেমন আরবি, ফারসি, ইংরেজি থেকে আগত শব্দে ‘ষ’ হয় না। উদাহরণ: মাস্টার, পোশাক, পোস্ট, জিনিস।
-
‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত সংস্কৃত শব্দেও সাধারণত ‘ষ’ ব্যবহৃত হয় না। যেমন: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ।
উপসংহার:
তৎসম শব্দে সঠিক বানান নির্ধারণে মূর্ধন্য-ষ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আষাঢ় শব্দে 'ষ' স্বভাবতই ব্যবহার হয়েছে—এটি ষ-ত্ব বিধান অনুযায়ী নয়, বরং ব্যতিক্রমধর্মী একটি শব্দের উদাহরণ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ

0
Updated: 2 months ago
"পুরষ্কার-বিতরণী অনুষ্ঠানের পরিবেশ এত অপরিস্কার"। -বাক্যটির নিম্নরেখ পদে ষ/স ব্যবহারে-
Created: 1 month ago
A
প্রথমটি অশুদ্ধ, দ্বিতীয়টি শুদ্ধ
B
প্রথমটি শুদ্ধ, দ্বিতীয়টি অশুদ্ধ
C
দুটোই অশুদ্ধ
D
দুটোই শুদ্ধ
প্রদত্ত বাক্যে ‘পুরষ্কার’ ও ‘পরিস্কার’ শব্দ দুটি ভুলভাবে লেখা হয়েছে। সঠিক বানান হলো ‘পুরস্কার’ ও ‘পরিষ্কার’।
কেন এমন হয়:
বাংলায় বিসর্গযুক্ত ধ্বনির সঙ্গে যখন কোনো বর্ণ মিলিত হয় (সন্ধি), তখন সাধারণত নিম্নলিখিত নিয়ম প্রযোজ্য:
-
অ-ধ্বনির সঙ্গে বিসর্গযুক্ত শব্দের মিলন:
-
অ-ধ্বনি বা মুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত ‘স’ যুক্ত হয়।
-
উদাহরণ:
-
পুরঃ + কার = পুরস্কার
-
নমঃ + কার = নমস্কার
-
বনঃ + স্পতি = বনস্পতি
-
-
-
ই-ধ্বনির সঙ্গে বিসর্গযুক্ত শব্দের মিলন:
-
ই-যুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত ‘ষ’ যুক্ত হয়।
-
উদাহরণ:
-
পরি + ই-ধ্বনি → পরিষ্কার
-
বহিঃ + কার = বহিষ্কার
-
নিষ্কলঙ্ক, নিষ্প্রভ, নিষ্পন্ন
-
-
⚠️ তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন স্প / স্ত / স্থ থাকলে ‘ষ’ হয় না। যেমন: নিস্পন্দ, নিস্তব্ধ, দুস্থ।
উৎস:
-
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
'ধুলার মতো যার রং' এর এক কথায় প্রকাশ -
Created: 6 days ago
A
তুলট
B
কুবের
C
উল্লুক
D
পাংশুল
‘পাংশুল’ এবং সম্পর্কিত শব্দগুলোর বিশদ বিশ্লেষণ:
পাংশুল:
-
অর্থ: ধুলার মতো হালকা রঙ, সাধারণত ফর্সা বা মৃদু ধূসর।
-
ব্যবহার: কোনো বস্তুর রঙ বা প্রকৃতির বর্ণনা দিতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: সেই পাখিটির পালক ছিল পাংশুল।
উল্লুক:
-
অর্থ: নীলবর্ণের বানর।
-
ব্যবহার: প্রাণিবিদ্যা বা বর্ণনামূলক প্রবন্ধে বিশেষ প্রজাতি নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: বনাঞ্চলে একটি উল্লুক খেলাধুলা করছিল।
কুবের:
-
অর্থ: ধনের দেবতা।
-
ব্যবহার: পুরাণ, উপাখ্যান বা সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে ধন, সম্পদ বা সমৃদ্ধি নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: তিনি ধন-সম্পদের জন্য কুবের এর আশীর্বাদ প্রার্থনা করলেন।
তুলট:
-
অর্থ: তুলা থেকে তৈরি।
-
ব্যবহার: বস্ত্রশিল্প বা দৈনন্দিন জীবনে তুলা ভিত্তিক বস্তু নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: গরমের জন্য তুলট কাপড় ব্যবহার করা ভালো।

0
Updated: 6 days ago