'মনগড়া' - কোন সমাস?
A
কর্মধারয় সমাস
B
তৎপুরুষ সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
নিত্য সমাস
উত্তরের বিবরণ
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস এমন এক ধরনের সমাস, যেখানে পূর্বপদে থাকা তৃতীয়া বিভক্তি (দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপ পায়। অর্থাৎ, দুটি পদ একত্রিত হয়ে নতুন একটি শব্দ তৈরি করে, তবে বিভক্তিচিহ্ন আর থাকে না। এই সমাসে ক্রিয়ার সঙ্গে করণ বা উপায়ের সম্পর্ক বোঝায়।
তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাসের সংজ্ঞা:
-
পূর্বপদে তৃতীয়া বিভক্তির (যেমন— দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি) লোপে যে সমাস গঠিত হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
মন দিয়ে গড়া → মনগড়া
-
শ্রম দ্বারা লব্ধ → শ্রমলব্ধ
-
মধু দিয়ে মাখা → মধুমাখা
ব্যাখ্যা:
উপরের উদাহরণগুলোয় দেখা যায়, বিভক্তি “দিয়ে” বা “দ্বারা” বাদ দিয়ে দুটি শব্দ যুক্ত হয়েছে। এর ফলে নতুন শব্দ সৃষ্টি হয়েছে, যা মূল বাক্যের ভাব বজায় রেখেছে কিন্তু গঠনগতভাবে সংক্ষিপ্ত হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
'কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ' - গ্রন্থটি রচনা করেন কে?
Created: 2 weeks ago
A
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
B
উইলিয়াম কেরি
C
মনোএল দ্য আসসুম্পসাঁউ
D
নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড
কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ হলো মনোএল দ্য আসসুম্পসাঁউ রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বাংলা গ্রন্থ। এটি মূলত গুরু–শিষ্য কথোপকথনের মাধ্যমে খ্রিষ্টধর্মের মহিমা কীর্তন করার উদ্দেশ্যে রচিত। গ্রন্থটি ১৭৪৩ খ্রিষ্টাব্দে লিসবন শহর থেকে রোমান লিপিতে মুদ্রিত হয়।
মনোএল দা আসসুম্পসাঁউ:
-
একজন পর্তুগিজ খ্রিস্টান ধর্মযাজক।
-
তিনি বাংলা ভাষায় প্রথমবারের মতো ব্যাকরণ রচনা করেন।
-
১৭৪৩ সালে তিনি দুটি বাংলা গ্রন্থ রচনা ও মুদ্রণ করেন।
মনোএল দা আসসুম্পসাঁউ-এর রচিত গ্রন্থ:
-
কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ
-
ভোকাবুলিরও এম ইদিওমা বেনগল্লা ই পোরতুগিজ
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
'ধুলার মতো যার রং' এর এক কথায় প্রকাশ -
Created: 6 days ago
A
তুলট
B
কুবের
C
উল্লুক
D
পাংশুল
‘পাংশুল’ এবং সম্পর্কিত শব্দগুলোর বিশদ বিশ্লেষণ:
পাংশুল:
-
অর্থ: ধুলার মতো হালকা রঙ, সাধারণত ফর্সা বা মৃদু ধূসর।
-
ব্যবহার: কোনো বস্তুর রঙ বা প্রকৃতির বর্ণনা দিতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: সেই পাখিটির পালক ছিল পাংশুল।
উল্লুক:
-
অর্থ: নীলবর্ণের বানর।
-
ব্যবহার: প্রাণিবিদ্যা বা বর্ণনামূলক প্রবন্ধে বিশেষ প্রজাতি নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: বনাঞ্চলে একটি উল্লুক খেলাধুলা করছিল।
কুবের:
-
অর্থ: ধনের দেবতা।
-
ব্যবহার: পুরাণ, উপাখ্যান বা সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে ধন, সম্পদ বা সমৃদ্ধি নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: তিনি ধন-সম্পদের জন্য কুবের এর আশীর্বাদ প্রার্থনা করলেন।
তুলট:
-
অর্থ: তুলা থেকে তৈরি।
-
ব্যবহার: বস্ত্রশিল্প বা দৈনন্দিন জীবনে তুলা ভিত্তিক বস্তু নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: গরমের জন্য তুলট কাপড় ব্যবহার করা ভালো।

0
Updated: 6 days ago
‘সংখ্যাবাচক’ শব্দের সাথে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, তাকে কী সমাস বলে?
Created: 1 week ago
A
দ্বন্দ্ব
B
দ্বিগু
C
কর্মধারয়
D
বহুব্রীহি
‘সংখ্যাবাচক’ শব্দের সাথে বিশেষ্য পদের সমাসকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিগু সমাসে প্রথম পদ হয় সংখ্যাবাচক শব্দ এবং পরের পদ সাধারণত বিশেষ্য পদ হয়।
যেমন—
-
তিনজন → তিন + জন
-
পাঁচটি → পাঁচ + টি
-
একশ টাকা → একশ + টাকা
এখানে সংখ্যাবাচক শব্দ বিশেষ্যকে নির্দিষ্ট বা পরিমাণ বোঝায়। এজন্য এ সমাসকে দ্বিগু সমাস বলা হয়।
সুতরাং, ‘সংখ্যাবাচক’ শব্দ + বিশেষ্য পদের সমাস = দ্বিগু সমাস।

0
Updated: 1 week ago