'আকুঞ্চন' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
A
বিকুঞ্চন
B
প্রসারণ
C
নিষ্পেষণ
D
ক ও খ
উত্তরের বিবরণ
‘আকুঞ্চন’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো ‘বিকুঞ্চন’ ও ‘প্রসারণ’। অর্থাৎ, যেখানে আকুঞ্চন বোঝায় কোনো বস্তুর সংকোচন বা সঙ্কুচিত হওয়া, সেখানে বিকুঞ্চন ও প্রসারণ বোঝায় তার উল্টো প্রক্রিয়া—অর্থাৎ প্রসারিত বা বিস্তৃত হওয়া।
আরও কিছু বিপরীতার্থক শব্দ হলো—
-
ডাগর ↔ ম্লান,
-
তীব্র ↔ লঘু,
-
তেজ ↔ নিস্তেজ,
-
ত্বরা ↔ বিলম্ব।

0
Updated: 1 day ago
‘আবির্ভাব’ এর বিপরীত শব্দ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
অভাব
B
স্বভাব
C
অনুভব
D
তিরোভাব
আবির্ভাব শব্দের অর্থ হলো — প্রকাশ, উপস্থিত হওয়া বা আবিরূপে (দেখা দিয়ে) আগমন।
এই শব্দটি সাধারণত ব্যবহার করা হয় কোনো কিছুর উদয় বা প্রকাশ বোঝাতে, যেমন:
“মঞ্চে অভিনেতার আবির্ভাব ঘটে।”
এর বিপরীত অর্থ হবে — অদৃশ্য হওয়া, লীন হয়ে যাওয়া বা চোখের আড়ালে চলে যাওয়া — অর্থাৎ, তিরোভাব।
বাকিগুলোর ব্যাখ্যা:
-
ক) অভাব – অর্থ: কোনো কিছুর ঘাটতি বা না থাকা (এটি ‘প্রচুরতা’ বা ‘প্রাচুর্য’-এর বিপরীত)।
→ এটি ‘আবির্ভাব’-এর বিপরীত নয়। -
খ) স্বভাব – অর্থ: স্বাভাবিক গুণ বা আচরণ।
→ এটি কোনোভাবেই ‘আবির্ভাব’-এর বিপরীতার্থক শব্দ নয়। -
গ) অনুভব – অর্থ: অনুভুতি পাওয়া বা উপলব্ধি করা।
→ এটিও ‘আবির্ভাব’-এর বিপরীত নয়।
✅ সঠিক উত্তর: ঘ) তিরোভাব

0
Updated: 2 months ago
বাংলা ভাষায় কয়টি খাঁটি বাংলা উপসর্গ আছে?
Created: 2 months ago
A
উনিশ
B
কুড়ি
C
একুশ
D
বাইশ
উপসর্গ
বাংলা ভাষায় যেসব শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে বলে উপসর্গ।
• বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
৩. বিদেশি উপসর্গ।
• খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
[বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যেসকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
• বিদেশি উপসর্গ:
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
• বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
- আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
- ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- উর্দু উপসর্গ: হর।
- ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ এবং মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০২২ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago
সাহিত্য পত্রিকা 'কবিতা' এর সম্পাদক ছিলেন-
Created: 1 month ago
A
দীনেশরঞ্জন দাশ
B
বুদ্ধদেব বসু
C
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
D
বিহারীলাল চক্রবর্তী
সাহিত্য পত্রিকা ‘কবিতা’
-
সম্পাদক: বুদ্ধদেব বসু
-
অন্যান্য সম্পাদকের নাম: প্রেমেন্দ্র মিত্র, সমর সেন
-
প্রকাশকাল: ১৯৩৫ – ১৯৬১
-
বিষয়বস্তু: কবিতা এবং কবিতা সম্পর্কিত গদ্য
-
বিশেষত্ব: আধুনিক বাঙালি কবিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা; এই পত্রিকায় লিখেননি এমন উল্লেখযোগ্য কবি কমই আছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 1 month ago