এক গ্রাম পানির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি হতে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বৃদ্ধির জন্যে কত তাপের প্রয়োজন?
A
১০ ক্যালরি
B
২ ক্যালরি
C
৩ ক্যালরি
D
৪ ক্যালরি
উত্তরের বিবরণ
তাপ
-
তাপ হলো এমন একটি শক্তি যা কোনো বস্তুর বা পদার্থের ভেতরের অণুগুলোর গতি থেকে তৈরি হয়। এই তাপই আমাদের কাছে ঠাণ্ডা বা গরম লাগার অনুভূতি দেয়।
-
তাপ হলো শক্তির একটি ধরনের রূপ।
-
তাই, তাপের পরিমাপের এককও শক্তির এককের মতোই হয়।
-
আধুনিক বিজ্ঞান অনুযায়ী, তাপের SI একক হলো জুল (J)।
-
আগে তাপ পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হতো ক্যালরি নামের একক।
-
১ গ্রাম পানির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়াতে বা কমাতে যে পরিমাণ তাপ লাগে, তাকে ১ ক্যালরি বলা হয়।
-
আর ১ ক্যালরি তাপ শক্তি প্রায় ৪.২ জুল শক্তির সমান।
-
অর্থাৎ,
১ ক্যালরি = ৪.২ জুল -
উদাহরণস্বরূপ, ১ গ্রাম পানি ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম করতে ৪.২ জুল তাপ দরকার।
-
আবার, যদি পানি ২০ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গরম হয়, অর্থাৎ ১০ ডিগ্রি বেড়ে যায়, তখন মোট ১০ ক্যালরি তাপ দরকার হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
জারণ বিক্রিয়ায় ঘটে-
Created: 2 months ago
A
ইলেক্ট্রন বর্জন
B
ইলেক্ট্রন গ্রহণ
C
ইলেক্ট্রন আদান-প্রদান
D
তড়িৎ ধনাত্মক মৌলের বা মূলকের অপসারণ
রেডক্স বিক্রিয়া
-
জারণ-বিজারণ এমন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যেখানে ইলেকট্রন এক পদার্থ থেকে অন্য পদার্থে স্থানান্তরিত হয়।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
"Redox" শব্দটি এসেছে দুটি শব্দ থেকে—Reduction (বিজারণ) এর “Red” এবং Oxidation (জারণ) এর “Ox” অংশ মিলিয়ে। অর্থাৎ, রেডক্স মানে হলো জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া।
-
বিজারণ প্রক্রিয়ায় কোনো পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, আর জারণ প্রক্রিয়ায় পদার্থটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে।
-
এ ধরনের বিক্রিয়ায় মৌলের জারণ সংখ্যা পরিবর্তিত হয়।
-
সব জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া মূলত ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
আইনস্টাইন নােবেল পুরস্কার পান-
Created: 1 month ago
A
আপেক্ষিক তত্ত্বের উপর
B
মহাকর্ষীয় ধ্রুবক আবিষ্কারের জন্য
C
কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কারের জন্য
D
আলোক তড়িৎ ক্রিয়ার ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য
যখন কোনো ধাতুর উপর আলো পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রন নির্গত হয়, তখন সেই ঘটনাকে ফটো-তড়িৎ ক্রিয়া বলা হয়।
১৯০৫ সালে বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে এই ফটো-তড়িৎ ক্রিয়ার সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এ আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
এছাড়াও, তিনি পদার্থবিদ্যার ইতিহাসে বিখ্যাত ভর-শক্তি সম্পর্কের সূত্র প্রবর্তন করেন, যা হলো —
উৎস: উচ্চ মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি)
0
Updated: 1 month ago
ডেঙ্গু জ্বরের বাহক কোন মশা?
Created: 2 months ago
A
কিউলেক্স
B
এডিস
C
অ্যানোফিলিস
D
সব ধরনের মশা
ডেঙ্গু জ্বর
-
ডেঙ্গু জ্বর ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।
-
মূলত দুই ধরনের এডিস মশা ডেঙ্গু ছড়ায়:
-
Aedes aegypti (এডিস এজিপটাই)
-
Aedes albopictus (এডিস এলবোপিকটাস)
-
-
এই মশার কামড়ের পর ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা যায়।
-
ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ হলো:
-
জ্বর
-
মাথাব্যথা
-
বমি
-
পেশি ও গাঁটে ব্যথা
-
ত্বকে ফুসকুড়ি
-
-
সাধারণত ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে রোগী সেরে ওঠে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে
-
ডেঙ্গু রক্তক্ষরী জ্বর:
-
এতে রক্তপাত হয়
-
রক্তের অনুচক্রিকা (platelet) কমে যায়
-
রক্ত থেকে প্লাজমা বের হতে থাকে
-
-
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম:
-
এতে রক্তচাপ অনেক কমে যায়
-
রোগী খুব বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে
-
অন্যদিকে
-
ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায় অ্যানোফিলিস (Anopheles) মশার মাধ্যমে।
-
ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগ ছড়ায় কিউলেক্স (Culex) মশার মাধ্যমে।
উৎস: জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) এবং WHO ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago