নিচের কোন বানানটি অশুদ্ধ?
A
তিরস্কার
B
দুস্কর
C
পরিষ্কার
D
আবিষ্কার
উত্তরের বিবরণ
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী ‘দুস্কর’ বানানটি অশুদ্ধ; এর শুদ্ধ রূপ হলো ‘দুষ্কর’। অর্থাৎ এখানে ‘উ’ ধ্বনির পর বিসর্গ যুক্ত থাকায় ‘ষ’ ব্যবহৃত হওয়া উচিত।
তথ্যসমূহ:
-
অশুদ্ধ বানান: দুস্কর
-
শুদ্ধ বানান: দুষ্কর
অন্যদিকে নিম্নলিখিত শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ:
-
আবিষ্কার
-
পরিষ্কার
-
তিরস্কার
নিয়ম:
-
বিসর্গযুক্ত ই বা উ ধ্বনির পর ‘ষ’ হবে।
উদাহরণ:-
আবিষ্কার = (আবিঃ + কার)
-
পরিষ্কার
-
দুষ্কর
-
-
অ-যুক্ত বা মুক্ত বর্ণের পর ‘স’ হবে।
উদাহরণ:-
তিরস্কার
-
অতিরিক্ত তথ্য:
এই বানাননিয়ম বাংলা শব্দগঠনব্যবস্থায় সংস্কৃতমূল ব্যুৎপত্তি অনুযায়ী নির্ধারিত। বিসর্গ (ঃ) যখন মূল ধাতুর সঙ্গে যুক্ত থাকে, তখন পরবর্তী ধ্বনিতে সাধারণত ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। আর যখন কোনো যুক্তবর্ণ বা বিসর্গ থাকে না, তখন ‘স’ ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 day ago
প্রথম বাংলা ব্যাকরণ কোন ভাষায় প্রকাশিত হয়?
Created: 1 day ago
A
বাংলা ভাষায়
B
ইংরেজি ভাষায়
C
ফরাসি ভাষায়
D
পর্তুগিজ ভাষায়
বাংলা ব্যাকরণ রচনার ইতিহাস শুরু হয় আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে। তখন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য গঠনের প্রাথমিক ধাপ চলছিল। ধীরে ধীরে বিভিন্ন ভাষায় রচিত ব্যাকরণগ্রন্থের মাধ্যমে বাংলা ব্যাকরণের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রথম পর্যায়
-
প্রথম বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশিত হয় ১৭৪৩ সালে।
-
এটি পর্তুগিজ ভাষায় রচিত হয়, লেখক ছিলেন মনোএল দা আসসুম্পসাঁউ।
-
তিনি তাঁর বাংলা-পর্তুগিজ অভিধানের ভূমিকাংশ হিসেবে এই ব্যাকরণ রচনা করেছিলেন।
ইংরেজি ভাষায় বাংলা ব্যাকরণ
-
১৭৭৮ সালে নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড প্রণীত A Grammar of the Bengal Language প্রকাশিত হয়।
-
এটি ইংরেজি ভাষায় রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা ব্যাকরণ হিসেবে পরিচিত।
-
পরবর্তীতে ১৮০১ সালে উইলিয়াম কেরি রচনা করেন A Grammar of the Bengalee Language।
-
এই গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ করেন জন রবিনসন ১৮৪৬ সালে।
বাংলা ভাষায় রচিত ব্যাকরণ
-
১৮৩৩ সালে রামমোহন রায় রচনা করেন গৌড়ীয় ব্যাকরণ।
-
এটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ হিসেবে স্বীকৃত।

0
Updated: 1 day ago
"বৃষ্টি আসে আসুক।" - এই বাক্যে ক্রিয়ার ভাব কোনটি?
Created: 1 week ago
A
সাপেক্ষ ভাব
B
নির্দেশক ভাব
C
অনুজ্ঞা ভাব
D
আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব
বাক্য "বৃষ্টি আসে আসুক" একটি ক্রিয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাবের উদাহরণ, যা বক্তার ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা সরাসরি প্রকাশ করে। ক্রিয়ার ভাব হলো সেই গুণ বা ধরন যা ক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটনার রীতি বা প্রকার নির্দেশ করে। ক্রিয়ার ভাবকে মূলত চার ভাগে বিভক্ত করা যায়।
• নির্দেশক ভাব: সাধারণ ঘটনা নির্দেশ করা বা কোনো বিষয় জিজ্ঞাসা করার সময় ক্রিয়াপদ নির্দেশক ভাব প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: তারা বাড়ি যাবে।
• অনুজ্ঞা ভাব: আদেশ, নিষেধ, উপদেশ, অনুরোধ বা আশীর্বাদ নির্দেশ করার সময় ক্রিয়াপদ অনুজ্ঞা ভাব প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: চুপ করো, মিথ্যা বলবে না, ডেকে দেয় পাষণ্ড!
• সাপেক্ষ ভাব: একটি ক্রিয়ার সংঘটন অন্য ক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল হলে নির্ভরশীল ক্রিয়াপদকে সাপেক্ষ ভাব বলা হয়।
-
উদাহরণ: যদি সে পড়ত, তবে পাস করত।
-
উদাহরণ: আজ বাবা বেঁচে থাকলে আমার এত কষ্ট হতো না।
• আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব: ক্রিয়াপদ যে সরাসরি বক্তার ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে, তাকে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব বলা হয়।
-
উদাহরণ: সে যাক, বৃষ্টি আসে আসুক, তার মঙ্গল হোক।

0
Updated: 1 week ago
'Birds of a feather flock together.' এর বাংলা অনুবাদ -
Created: 6 days ago
A
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে।
B
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা।
C
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।
D
কোনোটিই নয়
‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’ এর ইংরেজি অনুবাদ হলো Birds of a feather flock together। এটি বোঝায় যে একই ধরনের লোক একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়।
অন্যদিকে—
-
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা — Every man is for himself
-
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে — When the cat is away, the mice will play
-
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে — After death comes the doctor

0
Updated: 6 days ago