কোনটি রূঢ়ি শব্দ নয়?
A
সন্দেশ
B
অতিথি
C
প্রবীণ
D
মধুর
উত্তরের বিবরণ
রূঢ়ি শব্দ হলো এমন শব্দ, যার গঠন বা ব্যুৎপত্তিগত অর্থের সঙ্গে প্রকৃত অর্থের মিল থাকে না। অর্থাৎ কোনো শব্দে উপসর্গ বা প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যখন মূল অর্থ পরিবর্তিত হয়ে একেবারে নতুন ও ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে, তখন সেটিকে রূঢ়ি শব্দ বলা হয়। এসব শব্দে প্রাথমিক অর্থ না থেকে অন্য কোনো প্রচলিত বা বিশেষ অর্থ প্রকাশ পায়।
তথ্যসমূহ:
-
সংজ্ঞা: যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গযোগে মূল শব্দের অর্থ অনুসরণ না করে অন্য কোনো বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে।
-
উদাহরণ:
-
অতিথি = √ অত্ + ইথি, অর্থাৎ যার ‘তিথি নেই’ — কিন্তু এর প্রচলিত অর্থ হলো ‘মেহমান’।
-
সন্দেশ: মূল অর্থ — ‘সংবাদ’; পরিবর্তিত অর্থ — ‘মিষ্টান্ন’।
-
চিকন: মূল অর্থ — ‘চকচকে’; পরিবর্তিত অর্থ — ‘সরু’।
-
জ্যাঠামি: মূল অর্থ — ‘জেঠার ভাব’; পরিবর্তিত অর্থ — ‘চাপল্য’।
-
প্রবীণ: মূল অর্থ — ‘প্রকৃষ্ট বীণাবাদক’; পরিবর্তিত অর্থ — ‘বয়স্ক ব্যক্তি’।
-
আরো কিছু রূঢ়ি শব্দ: বাঁশি, তৈল, প্রবীণ, সন্দেশ, বৎস, শুশ্রূষা ইত্যাদি।
অন্যদিকে, যৌগিক শব্দ হলো সেইসব শব্দ যেগুলোর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও প্রচলিত অর্থ এক থাকে। অর্থাৎ শব্দের উপাদানগুলো মিলে যৌথভাবে একই ধরনের অর্থ প্রকাশ করে।
উদাহরণ:
-
গায়ক = গৈ + অক, অর্থ — ‘যে গান করে’।
-
মধুর = মধু + র, অর্থ — ‘মধুর মতো মিষ্টি গুণসম্পন্ন’।
অতিরিক্ত তথ্য:
রূঢ়ি শব্দ সাধারণত দীর্ঘ ব্যবহারের ফলে অর্থগত পরিবর্তনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে, আর যৌগিক শব্দ গঠনগত নিয়ম মেনে তৈরি হয়। তাই রূঢ়ি শব্দের অর্থ বোঝা যায় ব্যবহার দেখে, কিন্তু যৌগিক শব্দের অর্থ বোঝা যায় তার গঠন বিশ্লেষণ করেই।

0
Updated: 1 day ago
'জ্যাঠামি' কোন ধরনের শব্দ?
Created: 1 month ago
A
মৌলিক
B
যৌগিক
C
রূঢ়ি
D
যোগরূঢ়
• রূঢ়ি শব্দ:
যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গযোগে মূল শব্দের অর্থের অনুগামী না হয়ে অন্য কোন বিশিষ্ট অর্থ জ্ঞাপন করে, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে।
যেমন:
-
"অতিথি = √ অত্ + ইথি" বলতে 'মেহমানকে' বুঝায়।
কিন্তু ব্যুৎপত্তিগত অর্থ অনুসারে বোঝায়- যার তিথি নেই। অর্থাৎ প্রকৃত অর্থ না বুঝিয়ে অন্য অর্থ বোঝাচ্ছে, তাই এটি রূঢ়ি শব্দ।
এরূপ:
-
সন্দেশ - সংবাদ (মূল অর্থ) → মিষ্টান্ন (পরিবর্তিত অর্থ)
-
চিকন - চকচকে (মূল অর্থ) → সরু (পরিবর্তিত অর্থ)
-
জ্যাঠামি - জেঠার ভাব (মূল অর্থ) → চাপল্য (পরিবর্তিত অর্থ)
-
প্রবীণ - প্রকৃষ্ট বীণাবাদক (মূল অর্থ) → বয়স্ক ব্যক্তি (পরিবর্তিত অর্থ)
আরো কিছু রূঢ়ি শব্দ: বাঁশি, তৈল, প্রবীণ, সন্দেশ, বৎস, শুশ্রূষা ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
'প্রবীণ' - কোন ধরনের শব্দ?
Created: 2 weeks ago
A
মৌলিক শব্দ
B
রূঢ়ি শব্দ
C
যৌগিক শব্দ
D
যোগরূঢ় শব্দ
প্রবীণ শব্দটি একটি রূঢ়ি শব্দ।
• রূঢ়ি শব্দ:
যে শব্দ প্রত্যয় বা উপসর্গ যোগে মূল শব্দের অর্থের অনুগামী না হয়ে অন্য কোনো বিশিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে, তাকে রূঢ়ি শব্দ বলে।
• উদাহরণসমূহ:
-
হস্তী: হস্ত + ইন, অর্থ “হস্ত আছে যার”; কিন্তু হস্তী বলতে একটি প্রাণী বোঝায়।
-
গবেষণা: গো + এষণা; মূল অর্থ “গরু খোঁজা”, বর্তমান অর্থ “ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা”।
-
বাঁশি: বাঁশ দিয়ে তৈরি কোনো বস্তু নয়, শব্দটি সুরের বিশেষ বাদ্যযন্ত্র বোঝায়।
-
তৈল: শুধুই তিলজাত স্নেহ পদার্থ নয়, যে কোনো উদ্ভিজ্জ স্নেহ পদার্থ বোঝায়, যেমন বাদাম তেল।
-
প্রবীণ: শব্দটির মূল অর্থ “প্রকৃষ্ট রূপে বীণা বাজাতে পারেন এমন ব্যক্তি”; কিন্তু ব্যবহৃত হয় “অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি” অর্থে।
-
সন্দেশ: শব্দ ও প্রত্যয়গত অর্থ “সংবাদ”; কিন্তু রূঢ়ি অর্থে “মিষ্টান্ন বিশেষ”।

0
Updated: 2 weeks ago
'তৈল' কোন ধরনের শব্দ?
Created: 1 week ago
A
মৌলিক শব্দ
B
যৌগিক শব্দ
C
রূঢ়ি শব্দ
D
যোগরূঢ় শব্দ
তৈল হলো একটি রূঢ়ি শব্দ।
রূঢ়ি শব্দ হলো সেই শব্দ, যা মূল শব্দে প্রত্যয় বা উপসর্গ যুক্ত হলেও মূল অর্থের সঙ্গে সরাসরি মিল রেখে না, অন্য কোনো বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ:
-
হস্তী: হস্ত + ইন; মূল অর্থ হস্তযুক্ত; রূঢ়ি অর্থে একটি পশু বোঝায়।
-
গবেষণা: গো + এষণা; মূল অর্থ গরু খোঁজা; বর্তমান অর্থ ব্যাপক অধ্যয়ন ও পর্যালোচনা।
-
বাঁশি: বাঁশ দিয়ে তৈরি কোনো সাধারণ বস্তু নয়, শব্দটি বিশেষ সুরের বাদ্যযন্ত্র বোঝায়।
-
তৈল: শুধু তিলজাত স্নেহ পদার্থ নয়, যে কোনো উদ্ভিজ্জ স্নেহ পদার্থ বোঝায়; যেমন: বাদাম তেল।
-
প্রবীণ: প্রকৃষ্ট রূপে বীণা বাজানো ব্যক্তিকে বোঝানো উচিত; রূঢ়ি অর্থে ‘অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি’।
-
সন্দেশ: শব্দগত অর্থ ‘সংবাদ’; রূঢ়ি অর্থে ‘মিষ্টান্ন বিশেষ’।
-

0
Updated: 1 week ago