স্বরধ্বনির অনুনাসিকতা বোঝাতে কোন চিহ্ন ব্যবহৃত হয়?
A
বিসর্গ (ঃ)
B
য-ফলা (্য)
C
চন্দ্রবিন্দু (ঁ)
D
অনুস্বার (ং)
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনিগুলোর উচ্চারণের সময় সাধারণত বায়ু কেবল মুখ দিয়ে বের হয়, কারণ তখন কোমল তালু (soft palate) স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। কিন্তু যখন উচ্চারণের সময় কোমল তালু কিছুটা নিচে নেমে যায়, তখন বায়ুর একটি অংশ নাক দিয়েও বের হয়। এই অবস্থায় উৎপন্ন স্বরধ্বনিগুলোকে বলা হয় অনুনাসিক স্বরধ্বনি। এই অনুনাসিকতার চিহ্ন হিসেবে বাংলা স্বরবর্ণের উপরে চন্দ্রবিন্দু (ঁ) ব্যবহৃত হয়।
তথ্যসমূহ:
-
মৌলিক স্বরধ্বনি সংখ্যা: ৭টি।
যথা — [ই], [এ], [অ্যা], [আ], [অ], [ও], [উ]। -
অনুনাসিক স্বরধ্বনি সংখ্যা: ৭টি।
যথা — [ইঁ], [এঁ], [অ্যাঁ], [আঁ], [অঁ], [ওঁ], [উঁ]।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
অনুনাসিক স্বরধ্বনির সময় শব্দ উচ্চারণে এক ধরনের নাসিক অনুরণন বা ধ্বনিগত স্পন্দন সৃষ্টি হয়, যা স্বরের স্বাভাবিক ধ্বনি থেকে ভিন্ন শোনায়।
-
অনুনাসিক ধ্বনি ব্যবহারে শব্দে এক প্রকার মাধুর্য ও শ্রুতিমাধুর্যতা যুক্ত হয়, যা বিশেষ করে কবিতা, সংগীত বা আবেগঘন ভাষায় লক্ষ্য করা যায়।

0
Updated: 1 day ago
'কাঁচি' কোন ধরনের শব্দ?
Created: 2 months ago
A
আরবি
B
ফারসি
C
হিন্দি
D
তুর্কি
‘কাঁচি’ শব্দটি তুর্কি ভাষা থেকে আগত।
এটি একটি ধারালো হাতিয়ার, যা মূলত কাগজ, কাপড় বা অনুরূপ বস্তু কেটে ফেলার কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি দুইটি হাতলযুক্ত ইস্পাতের ধারালো ফলা দিয়ে তৈরি, যা একসঙ্গে যুক্ত থাকে।
বাংলা ভাষায় তুর্কি ভাষার প্রভাব লক্ষণীয়।
‘কাঁচি’ ছাড়াও বাংলা ভাষায় আরও কিছু সাধারণ ব্যবহারযোগ্য শব্দ তুর্কি ভাষা থেকে এসেছে। যেমন—তোপ, চাকু, বাবা, বাবুর্চি, মুচলেকা প্রভৃতি শব্দ তুর্কি ভাষা থেকেই গৃহীত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আধুনিক বাংলা অভিধান, বাংলা একাডেমি।

0
Updated: 2 months ago
হাইফেন কোথায় বসে?
Created: 3 weeks ago
A
দুই বাক্যের সংযোগ দেখাতে।
B
দুই শব্দের সংযোগ দেখাতে।
C
বাক্যে উদ্ধৃতি প্রয়োগ করতে।
D
উক্তি বা প্রত্যুক্তি বোঝাতে।
হাইফেন চিহ্ন দিয়ে পাশাপাশি দুই বা ততোধিক শব্দকে জোড়া লাগানো হয়। যেমন : উত্তর-পশ্চিম কোণে ঝড়ের কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। ২. সমাসবদ্ধ পদের সব সমস্যমান পদের অর্থ প্রাধান্য পেলে, তাদের মধ্যে হাইফেন বসে।

0
Updated: 3 weeks ago
কোনটি কর্মবাচ্যের উদাহরণ?
Created: 6 days ago
A
চোরটা ধরা পড়েছে।
B
আমার খাওায়া হলো না।
C
ছাত্ররা অঙ্ক করছে
D
আমাকে এখন যেতে হবে।
কর্মবাচ্য হলো সেই ধরনের বাক্য, যেখানে কর্মের সাথে ক্রিয়ার সম্বন্ধ প্রধানভাবে প্রকাশিত হয়। এই ধরনের বাক্যে কর্মই বাক্যের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয় এবং ক্রিয়া তার সাথে সম্পর্কিত থাকে।
উদাহরণ:
-
আলেকজান্ডার কর্তৃক পারস্য দেশ বিজিত হয়।
-
চোরটা ধরা পড়েছে।
অন্যদিকে—
-
কর্তৃবাচ্য: ছাত্ররা অঙ্ক করছে।
-
ভাববাচ্য: আমার খাওয়ানো হলো না। আমাকে এখন যেতে হবে।

0
Updated: 6 days ago