হাইফেন বা সংযোগ চিহ্ন (-) সবসময় দুই বা ততোধিক শব্দের মধ্যে ব্যবহৃত হয়। বাংলা লেখায় এর ব্যবহার ভাষার অর্থ ও গঠন স্পষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এর ব্যবহারিক দৃষ্টান্তগুলো হলো—

• সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো আলাদা করে দেখানোর জন্য হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
  যেমন— হাট-বাজার, সাত-পাঁচ।

• একই শব্দ পরপর দুবার ব্যবহৃত হলে, তাদের মাঝে হাইফেন বসে।
  যেমন— চলতে-চলতে কোথায় চলে যায়। যেতে-যেতে হয়রান হয়ে পড়েছি।

• দিক, স্থান বা সময় নির্দেশের ক্ষেত্রে হাইফেন ব্যবহৃত হয়।
  যেমন— উত্তর-পশ্চিম কোণে মেঘ জমেছে।

• কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গের পরে হাইফেন বসে।
  যেমন— অ-তৎসম, কু-অভ্যাস, বে-আঙ্কেল।

অর্থ অনুযায়ী শব্দগুলোকে তিনটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। এই শ্রেণিবিভাগে মৌলিক শব্দ অন্তর্ভুক্ত নয়।

• যৌগিক শব্দ

• রূঢ়ি শব্দ

• যোগরূঢ় শব্দ

মৌলিক শব্দ অর্থানুসারে এই শ্রেণিবিভাগের অন্তর্ভুক্ত নয়।

‘প্রাত্যহিক’ শব্দে প্রত্যহ + ইক দ্বারা ‘ইক’ হলো সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়।

• সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়:
  যে তদ্ধিত প্রত্যয় সংস্কৃত বা তৎসম শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় বলা হয়।

• উদাহরণ:

  • মনু + ষ্ণ = মানব

  • লোক + ষ্ণিক বা ইক = লৌকিক

  • দ্বীপ + আয়ন = দ্বৈপায়ন