রেফ্রিজারেটরে কমপ্রেসরের কাজ কি?
A
ফ্রেয়নকে ঘনীভূত করা
B
ফ্রেয়নকে বাষ্পে পরিণত করা
C
ফ্রেয়নকে সংকুচিত করে এর তাপ ও তাপমাত্রা বাড়ানো
D
ফ্রেয়নকে ঠাণ্ডা করা
উত্তরের বিবরণ
রেফ্রিজারেটরের শীতলীকরণ অংশের চারপাশে তামার তৈরি ফাঁপা নলের কুণ্ডলী থাকে, যাকে বাষ্পীভবন কুণ্ডলী বলা হয়। এই কুণ্ডলীর মধ্যে ফ্রেয়ন নামের একটি পদার্থ থাকে। ফ্রেয়ন আসলে ডাইক্লোরোডাইফ্লোরো মিথেন।
কমপ্রেসরের কাজ হলো গ্যাস বা বায়ুর অণুগুলো সংকুচিত করে চাপ বাড়ানো। যখন কমপ্রেসর ফ্রেয়ন গ্যাসকে সংকুচিত করে উচ্চচাপে নিয়ে যায়, তখন গ্যাসের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
এরপর এই গরম গ্যাস কনডেনসারে যায়, যেখানে এটি ঠান্ডা হয়ে তরল আকারে পরিবর্তিত হয়। এর ফলে রেফ্রিজারেটরের শীতলীকরণের পুরো চক্র সম্পন্ন হয়।
0
Updated: 3 months ago
আইসোটোপের ক্ষেত্রে কোনটি সঠিক?
Created: 2 months ago
A
ভর সংখ্যা সমান থাকে
B
নিউট্রন সংখ্যা সমান থাকে
C
প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যা সমান থাকে
D
প্রোটন সংখ্যা সমান থাকে
যেসব পরমাণুর প্রোটনের সংখ্যা (পারমাণবিক সংখ্যা) এক হলেও ভর সংখ্যা আলাদা হয়, সেগুলোকে একে অপরের আইসোটোপ বলা হয়।
-
যেসব পরমাণুর ভর সংখ্যা একই থাকে কিন্তু প্রোটনের সংখ্যা ভিন্ন হয়, সেগুলোকে একে অপরের আইসোবার বলা হয়।
-
যেসব পরমাণুর নিউট্রনের সংখ্যা সমান থাকে, অথচ প্রোটন সংখ্যা ও ভর সংখ্যা আলাদা হয়, সেগুলোকে একে অপরের আইসোটোন বলা হয়।
সহজভাবে বললে,
-
প্রোটন সমান → আইসোটোপ
-
ভর সংখ্যা সমান → আইসোবার
-
নিউট্রন সমান → আইসোটোন
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোন জেলায় কন্দ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে?
Created: 2 months ago
A
মৌলভীবাজার
B
বান্দরবান
C
কক্সবাজার
D
রাঙ্গামাটি
কন্দ
-
কন্দ বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তাদের আদিনিবাস ভারতের উড়িষ্যা রাজ্য।
-
উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে তারা চা ও রেল শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশে আসে এবং রেললাইন নির্মাণের কাজে যোগ দেয়। রেললাইন নির্মাণ শেষে একাংশ স্থায়ীভাবে থেকে যায় এবং চা-বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে।
-
বর্তমানে তারা মূলত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া, উদনাছড়া, পুটিয়া, লাখাউড়া এবং কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমাছড়া চা-বাগানে বসবাস করছে।
-
অন্যান্য জনগোষ্ঠী তাদের স্থানীয়ভাবে ‘কুই’ নামে ডাকে; আবার কোথাও কোথাও তারা ‘উড়িয়া’ নামেও পরিচিত।
-
তাদের সঙ্গে মধ্যভারতের ভীল, কোল, মুন্ডা প্রভৃতি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সাদৃশ্য রয়েছে।
-
কন্দ জনগোষ্ঠী পাঁচটি দলে বিভক্ত, আর প্রতিটি দল ভিন্ন ভিন্ন গোত্র বা বংশে ভাগ করা।
-
তাদের সমাজ পুরুষ-প্রধান; পরিবারের পুত্রসন্তানেরাই পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
-
কন্দরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতো বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করে।
-
নিজেদের ভাষায় দেবতাদের বিশেষ নাম রয়েছে, যেমন: ময়মুরুবিব, ত্রিনাথ প্রভৃতি; এগুলো তাদের পারিবারিক দেবতা।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
প্রবল জোয়ারের কারণ, যখন-
Created: 2 months ago
A
সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর সঙ্গে সমকোণে অবস্থান করে
B
চন্দ্র পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে অবস্থান করে
C
পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকে
D
সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী যথাক্রমে এক সরলরেখায় অবস্থান করে
জোয়ার-ভাটা ও তার কারণ
-
সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফুলে ওঠা ও নামার ঘটনাকে জোয়ার-ভাটা বলা হয়। পানি ফুলে ওঠাকে জোয়ার এবং নামাকে ভাটা বলা হয়।
-
এই ঘটনার মূল কারণ হলো চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে সৃষ্টি হওয়া কেন্দ্রাতিগ শক্তি।
-
জোয়ার-ভাটা মূলত দুই কারণে ঘটে:
১. মহাকর্ষণ শক্তির প্রভাব
২. কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব -
যখন চন্দ্র, সূর্য এবং পৃথিবী এক সরলরেখায় থাকে, তখন তাদের আকর্ষণের মিলিত প্রভাবের কারণে জোয়ার খুবই প্রবল হয়।
-
বিশেষ করে অমাবস্যার সময়, চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর একই পাশে অবস্থান করে। এই অবস্থায় সূর্যের আকর্ষণ, যদিও চন্দ্রের চেয়ে কম, চন্দ্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে জোয়ারকে আরও শক্তিশালী করে।
উৎস: ভূগোল-১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago