চৌম্বক অক্ষ বরাবর চুম্বকের দুটি মেরুর মধ্যবর্তী দূরত্বকে কী বলে?
A
চৌম্বক মধ্যতল
B
চৌম্বক মেরু
C
ভৌগোলিক মধ্যতল
D
চৌম্বক দৈর্ঘ্য
উত্তরের বিবরণ
চুম্বক:
- চুম্বক হচ্ছে সেই সকল পদার্থ যাদের আকর্ষণ ও দিকদর্শী ধর্ম আছে।
- এ সকল পদার্থ দিয়ে উপযুক্ত পদার্থকে চুম্বক ধর্ম প্রদান করা যায়।
চৌম্বক মেরু (Magnetic pole):
- যেকোনো চুম্বকের যে দুই প্রান্তের আকর্ষণ বল সবচেয়ে বেশি সে প্রান্তকে চৌম্বক মেরু বলে।
- চিত্রে একটি দন্ডচুম্বকের দুটি মেরু N ও S দেখানো হয়েছে।
N = North Pole (উত্তরমেরু),
S = South Pole (দক্ষিণমেরু)।
চৌম্বক অক্ষ (Magnetic axis):
- যেকোনো চুম্বকের মেরু দুটিকে সংযোগ করে যে সরলরেখা পাওয়া যায়, তাকে চৌম্বক অক্ষ বলে।
চিত্রে, AB দন্ড চুম্বকের অক্ষ।
চৌম্বক দৈর্ঘ্য (Magnetic length):
- চৌম্বক অক্ষ বরাবর চুম্বকের দুটি মেরুর মধ্যবর্তী দূরত্বের দৈর্ঘ্যকে চৌম্বক দৈর্ঘ্য বলে।
চিত্রে, NS = চৌম্বক দৈর্ঘ্য।
চৌম্বক মধ্যতল (Magnetic meridian):
- চুম্বকের ভারকেন্দ্র দিয়ে মুক্তভাবে ঝুলড্ কোনো একটি স্থির চুম্বকের চৌম্বক অক্ষের মধ্য দিয়ে কল্পিত তলকে চৌম্বক মধ্যতল বলে।
ভৌগোলিক মধ্যতল (Geographical meridian):
- পৃথিবীর কোনো স্থানে ভৌগোলিক উত্তর ও দক্ষিণমের বরাবর কল্পিত উলম্ব তলকে ঐ স্থানের ভৌগোলিক বা জ্যামিতিক মধ্যতল বলে।
- চৌম্বক মধ্যতল ও ভৌগোলিক মধ্যতলের মধ্যকার কিছুটা কৌণিক ব্যবধান থাকে, যাকে বিচ্যুতি বলে।

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোন পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং চুম্বকে পরিণত করা যায়?
Created: 4 weeks ago
A
দস্তা
B
পিতল
C
অ্যালুমিনিয়াম
D
কোবাল্ট
চৌম্বক পদার্থ হলো সেই সমস্ত পদার্থ যেগুলোকে চুম্বক আকর্ষণ করতে পারে এবং যাদের নিজস্বভাবে চুম্বকে পরিণত করা সম্ভব। অধিকাংশ চৌম্বক পদার্থে লোহা থাকে, আর তাই এদেরকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ বলা হয়। ফেরো শব্দের অর্থ হলো লোহা।
-
যে পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং চুম্বকে রূপান্তর করা যায় তাকে চৌম্বক পদার্থ বলে।
-
বেশিরভাগ চৌম্বক পদার্থে লোহা বিদ্যমান থাকে।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট।
অন্যদিকে যেসব পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করতে পারে না এবং যাদের চুম্বকে পরিণত করাও সম্ভব নয়, তাদের বলা হয় অচৌম্বক পদার্থ।
-
যে পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করতে পারে না এবং চুম্বকে রূপান্তর করা যায় না তাকে অচৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল, সোনা, রূপা, তামা, পিতল, দস্তা।

0
Updated: 4 weeks ago
স্থায়ী চুম্বক কোথায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
কলিং বেল
B
ট্রান্সফরমারে
C
কম্পাসে
D
জেনারেটরে
চুম্বক ও তার প্রকারভেদ:
-
কম্পাসে চুম্বক:
-
দিক নির্ণয়ের জন্য কম্পাসে ছোট ও হালকা স্থায়ী চুম্বক ব্যবহার করা হয়।
-
এটি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সাথে সমান্তরাল অবস্থান করে।
-
-
স্থায়ী চুম্বক:
-
চৌম্বক ক্ষেত্র অপসারিত করলেও চুম্বকত্ব সহজে বিলুপ্ত হয় না।
-
ব্যবহৃত হয়: চৌম্বক কম্পাস, মাইক্রোফোন, স্পিকার ইত্যাদিতে।
-
-
অস্থায়ী চুম্বক:
-
চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে চুম্বকে পরিণত হয়, তবে ক্ষেত্র অপসারিত হলে চুম্বকত্ব চলে যায়।
-
ব্যবহৃত হয়: মোটর, জেনারেটর, ট্রান্সফরমার ইত্যাদিতে।
-
-
তড়িৎ চুম্বক:
-
বৃত্তাকার কুন্ডলী বা সলিনয়েডে তড়িৎ প্রবাহ দিলে চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়।
-
ব্যবহৃত হয়: কলিং বেল ইত্যাদিতে।
-

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোন পদার্থকে চুম্বক আকর্ষণ করে না?
Created: 3 weeks ago
A
প্লাস্টিক
B
ইস্পাত
C
লোহা
D
নিকেল
অচৌম্বক ও চৌম্বক পদার্থ
অচৌম্বক পদার্থ: যে সকল পদার্থ চুম্বকের দ্বারা আকৃষ্ট হয় না এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণত করা যায় না, সেগুলোকে অচৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন, কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, রাবার।
চৌম্বক পদার্থ: যে সকল পদার্থ চুম্বকের দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং যেগুলোকে চুম্বকে রূপান্তর করা যায়, সেগুলোকে চৌম্বক পদার্থ বলা হয়।
-
অধিকাংশ চৌম্বক পদার্থে লোহা থাকে, তাই এগুলোকে ফেরো চৌম্বক পদার্থ বা ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ বলা হয়।
-
"ফেরো" শব্দের অর্থ হলো লোহা।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট।

0
Updated: 3 weeks ago