১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশের কোন ভাস্করের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পায়?
A
শামীম সিকদার
B
সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালেদ
C
হামিদুজ্জামান খান
D
আবদুস সুলতান
উত্তরের বিবরণ
• ১৯৮৮ সালের সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশের হামিদুজ্জামান খান ভাস্করের শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পায়।
---------------------
• হামিদুজ্জামান খান:
- একজন বাংলাদেশী ভাস্কর।
- তিনি ১৯৮১ সালে বঙ্গভবনে 'পাখি পরিবার',
- ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমিতে 'মুক্তিযোদ্ধা',
- ১৯৮৮ সালে আশুগঞ্জ জিয়া সারকারখানায় 'জাগ্রত বাংলা'এবং
- ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল অলিম্পিক পার্কে 'স্টেপস' (সিঁড়ি) নির্মাণ করেন- হামিদুজ্জামান খান।
- "His piece titled ‘Steps’ has found a permanent place in the Seoul Olympic Park in Korea."
• অলিম্পিকে বাংলাদেশ:
- ১৯৮০ সালেই মস্কো অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের।
- কিন্তু শেষ মুহূর্তে গেমস বয়কট করে।
- ১৯৮৪ সালে লস্ অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক গেমসে মার্চ পাস্টে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে মাঠে নামে।
- ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা অংশ নেন।
- এরপর নিয়মিত অলিম্পিক গেমসে লাল-সবুজের পতাকা উড়ছে।
- এখন পর্যন্ত কোনো আসরেই পদক জেতা হয়নি বাংলাদেশের।
উৎস: Bengal Foundation, বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯।

0
Updated: 4 months ago
ঢাকায় সর্বপ্রথম কবে বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয়?
Created: 4 months ago
A
১২০৬ খ্রিঃ
B
১৩১০ খ্রিঃ
C
১৫২৬ খ্রিঃ
D
১৬১০ খ্রিঃ
• ঢাকায় সর্বপ্রথম বাংলার রাজধানী স্থাপিত হয় — ১৬১০ খ্রিঃ।
• রাজধানী হিসেবে ঢাকা:
- এটি বাংলাদেশের বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত বৃহত্তম শহর।
- মুঘল সম্রাট আকবরের সময় বাংলার রাজধানী ছিল বিহারের রাজমহল।
- মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ইচ্ছানুযায়ী ১৬১০ সালে ঢাকাকে সর্বপ্রথম সুবাহ বাংলার রাজধানী ঘোষণা করা হয়।
- সম্রাট জাহাঙ্গীর-এর নাম অনুসারে রাজধানীর নাম 'জাহাঙ্গীরনগর' রাখা হয়।
উল্লেখ্য,
- ১৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার শাহ সুজা রাজধানী আবার রাজমহলে স্থানান্তর করেছিলেন। শাহ সুজার পতনের পর ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মীর জুমলা আবার রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
- ১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে সুবেদার মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন।
- বঙ্গভঙ্গের পর ১৯০৫ সালে ঢাকাকে আসাম ও বাংলার রাজধানী করা হয়।
- কংগ্রেসের বাধার মুখে ব্রিটিশ রাজ আবার ১৯১১ সালে রাজধানী কলকাতায় ফিরিয়ে নেয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান এবং স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব বাংলা নামে নতুন প্রদেশের রাজধানী হওয়ায় ঢাকার উথানে অধিকতর স্থায়ী উন্নয়ন সাধিত হয়।
- ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঢাকা রাজনৈতিক , প্রশাসনিক কার্যকলাপ এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্ররূপে মর্যাদা লাভ করে।
উৎস: ঢাকা জেলা, dhaka.gov.bd.জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 4 months ago
পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহারটি কি নামে পরিচিত ছিল?
Created: 4 months ago
A
সোমপুর বিহার
B
ধর্মপাল বিহার
C
জগদ্দল বিহার
D
শ্রী বিহার
• পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার:
- পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
- পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করেছিলেন।
- ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।
- ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।
- পাহাড়পুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা যেতে পারে।
- আয়তনে এর সাথে ভারতের নালন্দা মহাবিহারের তুলনা হতে পারে।
- এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্মচর্চা কেন্দ্র ছিল।
- বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলার বাদলগাছি উপজেলার পাহারপুর গ্রামে অবস্থিত এই বিহার।
- শুধু উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয়, চীন, তিব্বত, মায়ানমার (তদানীন্তন ব্রহ্মদেশ), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মচর্চা ও ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন।
- খ্রিষ্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।
- পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী পুন্ড্রনগর (বর্তমান মহাস্থান) এবং অপর শহর কোটিবর্ষ (বর্তমান বানগড়)এর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত ছিল সোমপুর মহাবিহার।
- এর ধ্বংসাবশেষটি বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজশাহীর অন্তর্গত নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন, নওগাঁ জেলার সরকারি ওয়েবসাইট এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি ।

0
Updated: 4 months ago
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে জার্মানি আত্মসমর্পণ করে-
Created: 4 months ago
A
১৯৪২ সালের নভেম্বর মাসে
B
১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে
C
১৯৪৫ সালের মে মাসে
D
১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে
• দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ:
- ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জার্মানি কর্তৃক — পোল্যান্ড আক্রমণের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির অন্তর্ভুক্ত ছিলো জার্মানি, জাপান ও ইতালি।
- মিত্রশক্তিতে ছিলো ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস প্রভৃতি দেশ।
- ৮ ডিসেম্বর, ১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সরাসরি যোগদান করে।
- ৭ মে ১৯৪৫ —জার্মানি মিত্রবাহিনীর নিকট নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।
- জাপানের সম্রাট হিরোহিতো — ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট আত্মসমর্পণ ঘোষণা করেন।
- ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ জাপান — কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্রের দুটি ব্যবহার হয়েছিল।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিল মানব ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক সংঘাত; এর ফলে ৭০ থেকে ৮৫ মিলিয়ন প্রাণহানি ঘটে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।
সূত্র: হিস্টোরি ও ব্রিটানিকা.কম।

0
Updated: 4 months ago