কোনটি মৌলিক রাশির একক?
A
ওয়াট
B
জুল
C
কিলোগ্রাম
D
নিউটন
উত্তরের বিবরণ
মৌলিক রাশি হলো এমন রাশি যা স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং অন্য কোনো রাশির উপর নির্ভরশীল নয়, বরং অন্যান্য সব ভৌত রাশি এই মৌলিক রাশিগুলোর উপর নির্ভর করে গঠিত হয়। এগুলো পদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি রাশি হিসেবে বিবেচিত।
-
মৌলিক রাশি মোট সাতটি।
এগুলো হলো:
১। দৈর্ঘ্য (Length)
২। ভর (Mass)
৩। সময় (Time)
৪। তাপমাত্রা (Temperature)
৫। তড়িৎ প্রবাহ (Electric current)
৬। দীপন তীব্রতা (Luminous intensity)
৭। পদার্থের পরিমাণ (Amount of substance)
মৌলিক একক হলো এই মৌলিক রাশিগুলোর পরিমাপক একক, যা আন্তর্জাতিকভাবে এস.আই. একক পদ্ধতিতে (SI Units) নির্ধারিত।
-
দৈর্ঘ্যের একক — মিটার (m)
-
ভরের একক — কিলোগ্রাম (kg)
-
সময়ের একক — সেকেন্ড (s)
-
তাপমাত্রার একক — কেলভিন (K)
-
তড়িৎ প্রবাহের একক — অ্যাম্পিয়ার (A)
-
দীপন তীব্রতার একক — ক্যান্ডেলা (cd)
-
পদার্থের পরিমাণের একক — মোল (mol)
এসব মৌলিক রাশি ও এককের মাধ্যমে অন্যান্য উৎপন্ন রাশি (Derived quantities) যেমন — বেগ, ত্বরণ, বল, কাজ, ক্ষমতা ইত্যাদি নির্ণয় করা হয়।

0
Updated: 1 day ago
রোধের এস.আই একক কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ভোল্ট
B
ও'ম
C
সিমেন্স
D
অ্যাম্পিয়ার
রোধ (Resistance):
-
বিদ্যুৎ প্রবাহ তৈরি হয় ইলেকট্রনের প্রবাহের জন্য।
-
কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য থাকলে এই প্রবাহ শুরু হয়।
-
এ ক্ষেত্রে ইলেকট্রন নিম্ন বিভব থেকে উচ্চ বিভবের দিকে প্রবাহিত হয়।
-
ইলেকট্রন পরিবাহীর ভেতর দিয়ে চলার সময় অণু-পরমাণুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
-
সংঘর্ষের কারণে ইলেকট্রনের গতি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ বিঘ্নিত হয়।
-
পরিবাহীর এই বাধাদানের ধর্মকে রোধ (Resistance) বলে।
-
রোধের এস.আই. একক হলো ওম (Ω)।
-
সংজ্ঞা: কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য ১ ভোল্ট এবং এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ ১ অ্যাম্পিয়ার হলে, ঐ পরিবাহীর রোধ হবে ১ ওম।
অন্যদিকে:
-
তড়িৎ প্রবাহের একক → অ্যাম্পিয়ার (A)
-
তড়িৎ পরিবাহিতার একক → সিমেন্স (S)
-
বিভব পার্থকের একক → ভোল্ট (V)
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
পরিবাহিতার একক কী?
Created: 1 day ago
A
কুলম্ব
B
সিমেন্স
C
ওম
D
ভোল্ট
পরিবাহিতা (Conductance) হলো কোনো পরিবাহীর এমন একটি ধর্ম, যার দ্বারা এটি তড়িৎ প্রবাহকে চলাচলের সুযোগ দেয়। অর্থাৎ, কোনো নির্দিষ্ট বিভব পার্থক্যে কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে যত বেশি তড়িৎ প্রবাহিত হয়, তার পরিবাহিতা তত বেশি হয়। এটি মূলত রোধের বিপরীত ধর্ম।
-
স্থির তাপমাত্রায় কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্য (V) প্রয়োগ করলে এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ (I) ঘটে।
-
ওহমের সূত্র অনুযায়ী, I ∝ V, অর্থাৎ V এবং I পরস্পরের সমানুপাতিক।
-
সমানুপাতিক ধ্রুবক হিসেবে যদি G ধরা হয়, তবে
I = GV, যেখানে G = পরিবাহিতা (Conductance)। -
পরিবাহিতার একক হলো সিমেন্স (Siemens), প্রতীক S।
অর্থাৎ, ১ S = ১ Ω⁻¹ (রোধের বিপরীত একক)। -
পরিবাহিতা ও রোধের মধ্যে সম্পর্ক হলো:
G = 1/R এবং R = 1/G। -
একই বিভব পার্থক্যে যে পরিবাহীর মধ্য দিয়ে বেশি তড়িৎ প্রবাহিত হয়, তার পরিবাহিতা বেশি; আর যে পরিবাহীতে তড়িৎ প্রবাহ কম, তার রোধ বেশি।
-
পরিবাহিতার মান নির্ভর করে—
১। পদার্থের প্রকৃতি (ধাতব বা অধাতব)
২। তাপমাত্রা
৩। আকৃতি ও দৈর্ঘ্য-এর উপর। -
তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সাধারণত ধাতুর তড়িৎ পরিবাহিতা হ্রাস পায়, কারণ তাপ বৃদ্ধি অণুর কম্পন বাড়িয়ে ইলেকট্রনের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।
-
রূপা (Silver) হলো সর্বোত্তম পরিবাহী, যার পরিবাহিতা সবচেয়ে বেশি।
-
অপরদিকে জার্মেনিয়াম ও সিলিকন সাধারণ তাপমাত্রায় খুবই কম পরিবাহী, কারণ এগুলো অর্ধপরিবাহী (Semiconductor) পদার্থ।

0
Updated: 1 day ago