কোন রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি?
A
বেগুনি
B
লাল
C
সবুজ
D
আসমানী
উত্তরের বিবরণ
আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য হলো পরপর দুটি তরঙ্গের শীর্ষ বা গহ্বরের মধ্যবর্তী দূরত্ব, যা আলোর রঙ ও শক্তি নির্ধারণ করে। দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০ ন্যানোমিটার (বেগুনি) থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার (লাল) পর্যন্ত বিস্তৃত। তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তারতম্যের কারণেই আমরা বিভিন্ন বর্ণ দেখতে পাই।
-
দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ক্রম হলো: বেগুনি < নীল < আসমানী < সবুজ < হলুদ < কমলা < লাল।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, আলোর বিক্ষেপণ (dispersion) তত বেশি হয়; অর্থাৎ, কম তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো সহজেই ভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, আলোর বিক্ষেপণ তত কম হয়।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, তাই এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি (deviation) সবচেয়ে কম।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, তাই এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি।
-
যে বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, তার প্রতিসরণ ও বিক্ষেপণ তত কম, কারণ আলো মাধ্যমের মধ্য দিয়ে কম বেঁকে যায়।
-
সূর্যের সাদা আলো যখন প্রিজমের মধ্য দিয়ে যায়, তখন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে এটি সাতটি বর্ণে বিভক্ত হয়, যা বিক্ষেপণের উদাহরণ।
-
দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সীমা সাধারণত:
বেগুনি (≈ ৪০০ nm) থেকে লাল (≈ ৭০০ nm) পর্যন্ত।

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোন বিবৃতিটি গামা রশ্মির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ভুল?
Created: 2 weeks ago
A
এর ভেদন ক্ষমতা খুব বেশি
B
এটি একটি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ
C
এর ফোটনগুলোর শক্তি অনেক কম
D
এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোট
গামা রশ্মি (Gamma Ray)
-
প্রকৃতি: গামা রশ্মি হলো শক্তিশালী বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ।
-
চার্জ ও ভর: গামা রশ্মি চার্জবিহীন এবং ভরহীন, তাই এটি বিদ্যুৎ বা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
-
উৎপত্তি: যখন কোনো নিউক্লিয়াস আলফা বা বিটা কণার বিকিরণ করে 'উত্তেজিত' অবস্থায় থাকে, তখন বাড়তি শক্তি গামা রশ্মি হিসেবে নির্গত হয়।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও শক্তি:
-
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুব ছোট (প্রায় ১০⁻¹² মিটারের নিচে)।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং ফোটনের শক্তি বিপরীতানুপাতিক, তাই ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য মানে উচ্চ শক্তি।
-
-
গতি: গামা রশ্মির বেগ সর্বদা আলোর বেগের সমান।
-
ভেদন ক্ষমতা (Penetrating Power):
-
গামা রশ্মি অত্যন্ত উচ্চ ভেদন ক্ষমতার।
-
এটি কয়েক সেন্টিমিটার পুরু সীসার পাত বা কয়েক মিটার পুরু কংক্রিটও ভেদ করতে পারে।
-
সাধারণত গামা রশ্মি থামাতে কয়েক সেন্টিমিটার সীসার পুরু পাতা ব্যবহার করা হয়।
-
-
আয়নায়ন ক্ষমতা: চার্জ না থাকলেও, গামা রশ্মি অণু ও পরমাণুকে আয়নিত করতে পারে, যা এর অস্তিত্ব শনাক্ত করতে সাহায্য করে।
মূল কারণ: গামা রশ্মির উচ্চ শক্তি তার উচ্চ ভেদন ক্ষমতার মূল কারণ।

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোন বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম?
Created: 2 weeks ago
A
কমলা
B
হলুদ
C
লাল
D
বেগুনি
তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির এক ক্ষুদ্র অংশ আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়, যাকে দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ বা দৃশ্যমান বিকিরণ বলা হয়। এই আলোই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রঙের অনুভূতি প্রদান করে।
-
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসর 4×10⁻⁷ মিটার থেকে 7×10⁻⁷ মিটার।
-
ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে আলোর বিভিন্ন বর্ণ দেখা যায়।
-
দৃশ্যমান আলোকে সাধারণত বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল—এই সাতটি ভাগে বিভক্ত করা হয়।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, তাই এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, তাই এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি হবে, প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম হবে।
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
আলোক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার একটি উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সালোকসংশ্লেষণ
B
বৈদ্যুতিক পাখা ঘোরা
C
চিমনির কাচ গরম হওয়া
D
ট্রান্সফরমারে বিদ্যুৎ রূপান্তর
আলোক শক্তির রূপান্তর:
১. আলোক শক্তি → রাসায়নিক শক্তি:
-
ফটোগ্রাফিক ফিল্মে আলো পড়লে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে চিত্র তৈরি হয়।
-
ফিল্মে থাকা সিলভার ব্রোমাইড (AgBr) বা সিলভার ক্লোরাইড (AgCl) আলোর সংস্পর্শে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়।
-
ফলে আলোক শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
২. আলোক শক্তি → তাপ শক্তি:
-
উদাহরণ: হারিকেনের চিমনির কাঁচে আলো পড়লে তা গরম লাগে।
-
কারণ আলোক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
৩. আলোক শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি:
-
উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য উৎপন্ন করে।
-
পরে সেই খাদ্য গ্রহণকারী প্রাণীর দেহে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটানিকা।

0
Updated: 1 month ago