বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাসে শতকরা কত ভাগ মিথেন থাকে?
A
৬৫-৭০ ভাগ
B
৬০-৬৫ ভাগ
C
৯৫-৯৯ ভাগ
D
৭৫-৮৫ ভাগ
উত্তরের বিবরণ
প্রাকৃতিক গ্যাস হলো এক ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি, যা পৃথিবীর ভূগর্ভে জৈব পদার্থের পচন ও দীর্ঘমেয়াদি রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ফলে গঠিত হয়। এটি শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পরিচিত উৎস, যা গৃহস্থালি, শিল্প এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের মাধ্যমে তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, এবং সেই তাপ ব্যবহার করে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
-
এটি মূলত ভূগর্ভ থেকে উত্তোলিত হয় এবং প্রায়ই পেট্রোলিয়াম কূপের সাথে পাওয়া যায়।
-
পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রচণ্ড তাপ ও চাপের কারণে উদ্ভিদ ও প্রাণীর জৈব পদার্থ দীর্ঘ সময়ে রাসায়নিকভাবে পরিবর্তিত হয়ে এই গ্যাস তৈরি করে।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন (CH₄), যা একে পরিষ্কার জ্বালানি হিসেবে বিশেষভাবে কার্যকর করে তোলে।
-
গ্যাসের উপাদানসমূহ হলো:
• মিথেন (CH₄) – ৮০–৯০%
• ইথেন (C₂H₆) – প্রায় ১৩%
• প্রোপেন (C₃H₈) – প্রায় ৩%
• এছাড়াও অল্প পরিমাণে বিউটেন, ইথিলিন ও নাইট্রোজেন থাকে। -
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসে মিথেনের পরিমাণ ৯৫–৯৯%, যা একে উচ্চমানের জ্বালানি হিসেবে উপযুক্ত করে তোলে।
-
প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো শক্তিগুলোকে একত্রে জীবাশ্ম শক্তি (Fossil Fuel) বলা হয়।
-
এটি তাপ, রান্না, সার উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং শিল্পকারখানার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
পরিবেশগতভাবে এটি তেল ও কয়লার তুলনায় কম দূষণকারী, তাই এটি একটি তুলনামূলকভাবে পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎস।

0
Updated: 1 day ago
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
বিউটেন
B
প্রোপেন
C
ইথেন
D
মিথেন
প্রাকৃতিক গ্যাস
প্রাকৃতিক গ্যাস হলো শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা জীবাশ্ম শক্তির অংশ হিসেবে পরিচিত। এটি মূলত ভূগর্ভ থেকে প্রাপ্ত হয় এবং পৃথিবীর অভ্যন্তরে প্রচন্ড তাপ ও চাপের কারণে সৃষ্ট হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের সাহায্যে তাপশক্তি উৎপন্ন করা যায়, যা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়। এই ধরনের গ্যাস সাধারণত পেট্রোলিয়াম কূপ থেকে আহরিত হয় এবং এর প্রধান উপাদান হলো মিথেন (CH₄)।

0
Updated: 3 weeks ago
গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে?
Created: 1 month ago
A
ওজোন
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
কার্বন মনো-অক্সাইড
পরিবেশ দূষণ (Environmental Pollution)
-
পরিবেশ দূষণ হলো সেই অবস্থা যখন প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট পদার্থ পরিবেশকে বিষময় করে, ফলে জীবজগতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
-
মাটি, পানি, বায়ু প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদানের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব পরিবর্তন পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ।
-
দূষিত পদার্থের বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়।
-
মানব কর্মকাণ্ডের কারণে ধরিত্রী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যেমন:
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়ন
-
অপরিকল্পিত শিল্পায়ন
-
বনজ সম্পদ ধ্বংস
-
বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল
-
নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট
-
ইটভাটা, ভূমিক্ষয়
-
যানবাহন ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক অতিরিক্ত ব্যবহার
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব (Effects of Climate Change)
-
অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।
-
গ্রিনহাউস প্রভাবের কারণে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তাপমাত্রা বাড়ে, হিমালয়ের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
-
ফলে উপকূলবর্তী দেশসমূহ (বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ইত্যাদি) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
-
ভবিষ্যৎ প্রভাব:
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের উঁচু হওয়ার ফলে ভূমি বিলীন হওয়া
-
জীবন ও সম্পদের ক্ষতি
-
খরা, নদীর প্রবাহ হ্রাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস
-
পানযোগ্য পানির অভাব
-
মৎস্য সম্পদ ক্ষয়
-
ফসল উৎপাদন হ্রাস
-
অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মক ক্ষতি
-
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো-
Created: 4 months ago
A
নাইট্রোজেন গ্যাস
B
মিথেন
C
হাইড্রোজেন গ্যাস
D
কার্বন মনোক্সাইড
প্রাকৃতিক গ্যাস
প্রাকৃতিক গ্যাস হলো শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা প্রধানত মিথেন গ্যাস দ্বারা গঠিত। এটি মূলত পেট্রোলিয়াম কূপ বা ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করা হয়। পৃথিবীর গভীরে তাপ ও চাপের প্রভাবে দীর্ঘ সময়ে এই গ্যাস তৈরি হয়।
এই গ্যাস জ্বালিয়ে তাপশক্তি উৎপন্ন করা যায়, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়—বিশেষ করে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। যেহেতু এটি ভূগর্ভে জমে থাকা জীবাশ্ম পদার্থ থেকে তৈরি হয়, তাই একে জীবাশ্ম শক্তির একটি রূপও বলা হয়।

0
Updated: 4 months ago