বর্তনীতে কয় প্রকার রোধ ব্যবহার করা হয়?
A
দুই প্রকার
B
তিন প্রকার
C
চার প্রকার
D
পাঁচ প্রকার
উত্তরের বিবরণ
রোধ হলো পরিবাহীর একটি ধর্ম, যার কারণে এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ, কোনো পরিবাহীর রোধ যত বেশি হবে, তাতে তড়িৎ প্রবাহ তত কম হবে। রোধের মান নির্ভর করে পদার্থের প্রকৃতি, দৈর্ঘ্য, ক্ষেত্রফল ও তাপমাত্রার উপর।
-
রোধের একক হলো ওহম (Ω)।
-
ওহমের সূত্র অনুযায়ী, V = IR, যেখানে V হলো বিভব পার্থক্য, I হলো তড়িৎ প্রবাহ এবং R হলো রোধ।
-
রোধ পদার্থের তাপ উৎপন্ন হওয়ার অন্যতম কারণ; প্রবাহিত তড়িৎ এতে তাপ আকারে শক্তি ক্ষয় করে।
বর্তনীতে মূলত দুই প্রকার রোধ ব্যবহার করা হয়—স্থির রোধ ও পরিবর্তনশীল রোধ।
১. স্থির রোধ:
যেসব রোধের মান নির্দিষ্ট থাকে এবং পরিবর্তন করা যায় না, সেগুলোকে স্থির রোধ বলা হয়।
-
এসব রোধ সার্কিটে নির্দিষ্ট মানের তড়িৎ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়।
-
সাধারণত রোধক (resistor) আকারে সার্কিট বোর্ডে লাগানো হয়।
-
উদাহরণ: ধ্রুব রোধ, কার্বন রোধ, মেটালিক রোধ ইত্যাদি।
২. পরিবর্তনশীল রোধ:
যেসব রোধের মান প্রয়োজন অনুসারে পরিবর্তন করা যায়, সেগুলোকে পরিবর্তনশীল রোধ বলে।
-
এটি তড়িৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ বা বিভব পার্থক্য পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
পরিবর্তনশীল রোধের সাধারণ উদাহরণ হলো রিওস্ট্যাট ও পটেনশিওমিটার।
-
এসব রোধ ব্যবহার করে সার্কিটে প্রবাহের তীব্রতা বাড়ানো বা কমানো যায়।

0
Updated: 1 day ago