কোনটি আড় তরঙ্গ নয়?
A
পানির তরঙ্গ
B
আলোক তরঙ্গ
C
বেতার তরঙ্গ
D
শব্দ তরঙ্গ
উত্তরের বিবরণ
তরঙ্গ হলো কোনো মাধ্যম বা স্থান দিয়ে শক্তির সঞ্চালন প্রক্রিয়া, যেখানে পদার্থের কণাগুলো কেবল দোলন বা স্পন্দন করে কিন্তু স্থানান্তরিত হয় না। তরঙ্গ মূলত দুই প্রকার—যান্ত্রিক তরঙ্গ ও তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
যান্ত্রিক তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য একটি জড় মাধ্যমের প্রয়োজন হয়, যেমন—বায়ু, জল বা কঠিন পদার্থ।
-
তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ সঞ্চারণের জন্য কোনো মাধ্যম প্রয়োজন হয় না; এটি শূন্যস্থানেও চলতে পারে।
-
যান্ত্রিক তরঙ্গ কণাগুলোর স্পন্দনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়, যা দুই ধরনের হতে পারে—অনুপ্রস্থ তরঙ্গ ও অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ।
অনুপ্রস্থ তরঙ্গ:
এ ধরনের তরঙ্গে মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দনের দিক তরঙ্গের অগ্রগতির দিকের সাথে সমকোণে (৯০°) অবস্থান করে। উদাহরণস্বরূপ, পানির পৃষ্ঠে তরঙ্গ সৃষ্টি হলে পানির কণাগুলো উপরে নিচে দোলন করে, কিন্তু তরঙ্গ সামনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
-
অনুপ্রস্থ তরঙ্গে শীর্ষ (crest) ও গভীর (trough) সৃষ্টি হয়।
-
এই তরঙ্গের শক্তি কণার উল্লম্ব দোলনের মাধ্যমে অগ্রসর হয়।
-
একে আড় তরঙ্গও বলা হয় কারণ কণার গতি তরঙ্গের গতির সঙ্গে আড়াআড়ি হয়।
-
উদাহরণ: আলোক তরঙ্গ, বেতার তরঙ্গ, পানির তরঙ্গ ইত্যাদি।
অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ:
এই তরঙ্গে মাধ্যমের কণাগুলোর স্পন্দনের দিক তরঙ্গের অগ্রগতির দিকের সমান্তরাল হয়। যেমন, শব্দ তরঙ্গের ক্ষেত্রে কণাগুলো সামনে ও পেছনে দোলন করে, ফলে তরঙ্গের মধ্যে সংকোচন (compression) ও প্রসারণ (rarefaction) তৈরি হয়।
-
অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ সাধারণত গ্যাস বা তরল মাধ্যমে সহজে সঞ্চারিত হয়।
-
এতে কণাগুলো তরঙ্গের দিকেই দোলন করে, ফলে শক্তি একই রেখায় অগ্রসর হয়।
-
উদাহরণ: স্প্রিং-এর তরঙ্গ, শব্দ তরঙ্গ ইত্যাদি।
-
অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ যান্ত্রিক তরঙ্গের একটি বিশেষ রূপ, যা শ্রবণযোগ্য শব্দ সৃষ্টির প্রধান কারণ।

0
Updated: 1 day ago
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের মধ্যে কোন রঙের বিচ্যুতি ও প্রতিসরণ সবচেয়ে কম?
Created: 1 week ago
A
সবুজ
B
লাল
C
বেগুনি
D
কমলা
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ:
-
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ হলো তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির অতিবেগুনি রশ্মির পরের সেই ক্ষুদ্র অংশ, যা আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়।
-
এই তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় 4×10⁻⁷ m থেকে 7×10⁻⁷ m পর্যন্ত বিস্তৃত। এই পরিসরের বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের জন্য আলোর বিভিন্ন বর্ণ দেখা যায়।
-
আলোর বর্ণগুলো হলো: বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল।
-
এদের মধ্যে বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম এবং লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি।
-
যেই বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি, তার প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম হওয়ায় এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এর বিক্ষেপণ, প্রতিসরণ ও বিচ্যুতি সবচেয়ে কম।

0
Updated: 1 week ago
শব্দের তীব্রতা কীভাবে পরিবর্তিত হয়?
Created: 1 day ago
A
তাপমাত্রার সঙ্গে সমানুপাতিক
B
তরঙ্গের প্রস্থের সঙ্গে সমানুপাতিক
C
তরঙ্গের বিস্তারের বর্গের সঙ্গে সমানুপাতিক
D
তরঙ্গের দৈর্ঘ্যের সঙ্গে সমানুপাতিক
শব্দ হলো এক ধরনের শক্তি, যা আমাদের শ্রবণ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে শোনার অনুভূতি সৃষ্টি করে। এটি একটি তরঙ্গাকার প্রক্রিয়ায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চারিত হয়, যেখানে পদার্থের কণাগুলো সামনের ও পেছনের দিকে দোলন করে শক্তি পরিবহন করে।
শব্দ তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য:
-
শব্দ হলো যান্ত্রিক এবং অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ, যা মাধ্যমের কণার স্পন্দনের দিকের সমান্তরালে অগ্রসর হয়।
-
শব্দ উৎপন্ন হয় কোনো বস্তুর কম্পনের ফলে; অর্থাৎ, কম্পনই শব্দের উৎস।
-
শব্দ তরঙ্গের সঞ্চালনের জন্য জড় মাধ্যম (বায়ু, জল বা কঠিন পদার্থ) প্রয়োজন; শূন্যস্থানে শব্দ চলতে পারে না।
-
শব্দ তরঙ্গের বেগ নির্ভর করে মাধ্যমের প্রকৃতির উপর, যেমন—ঘনত্ব, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা।
উদাহরণস্বরূপ, শব্দের বেগ কঠিনে সর্বাধিক, তরলে কম, এবং বায়ুতে সর্বনিম্ন। -
শব্দের তীব্রতা (Intensity) তরঙ্গের বিস্তার (Amplitude)-এর বর্গের সমানুপাতিক; অর্থাৎ, বিস্তার যত বেশি, শব্দ তত জোরে শোনা যায়।
-
শব্দ তরঙ্গ প্রতিফলন (Reflection), প্রতিসরণ (Refraction) এবং উপরিপাতন (Diffraction) ঘটাতে সক্ষম।
-
শব্দ তরঙ্গের এই বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে আমরা প্রতিধ্বনি শুনতে পাই এবং বাদ্যযন্ত্রের সুর ভিন্নভাবে অনুভব করি।

0
Updated: 1 day ago
তরঙ্গের বেগ (v) নির্ণয় করার সূত্র কোনটি?
Created: 1 month ago
A
v = λ × f × T
B
v = λ × T
C
v = λ / T
D
v = T / λ
-
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য (λ): তরঙ্গ সৃষ্টিকারী কণার একটি পূর্ণ স্পন্দনের সময় তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রম করে, সেটিকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলা হয়।
-
পর্যায়কাল (T): কণার একটি পূর্ণ স্পন্দনের সময়।
-
এক সেকেন্ডে তরঙ্গের অতিক্রান্ত দূরত্বকে বলা হয় তরঙ্গের বেগ (v)।
যেখানে,
-
= তরঙ্গ দৈর্ঘ্য
-
= পর্যায়কাল
-
= কম্পাঙ্ক
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago