অনবায়নযোগ্য শক্তি নয় কোনটি?
A
বায়োগ্যাস
B
খনিজ তেল
C
কয়লা
D
প্রাকৃতিক গ্যাস
উত্তরের বিবরণ
শক্তির উৎস সাধারণভাবে দুই প্রকার—নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ও অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। এ দুটি উৎসের পার্থক্য শক্তির ব্যবহার, পুনঃউৎপাদন ও পরিবেশগত প্রভাবের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।
১। নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস
এ ধরনের শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায় এবং প্রাকৃতিকভাবে পুনরায় উৎপন্ন হয়। এটি পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় একে গ্রীন শক্তিও বলা হয়।
-
নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে পুনরায় সৃষ্টি হয়।
-
এর ব্যবহার দূষণমুক্ত ও টেকসই উন্নয়নের সহায়ক।
-
এই শক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করে।
-
উদাহরণ: সৌর শক্তি, জলবিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস, ভূ-তাপীয় শক্তি ইত্যাদি।
-
নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং কমানো সম্ভব।
২। অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস
এ ধরনের শক্তি একবার ব্যবহার করলে পুনরায় উৎপন্ন করা যায় না বা অত্যন্ত ধীরে সৃষ্টি হয়। প্রকৃতিতে এর পরিমাণ সীমিত।
-
অনবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে খরচ বেশি এবং এটি পরিবেশবান্ধব নয়।
-
এ উৎসগুলো ব্যবহারে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়, যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ।
-
শক্তির এ রূপ মূলত ভূগর্ভস্থ সম্পদ থেকে আহরণ করা হয়।
-
উদাহরণ: কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, নিউক্লিয় শক্তি ইত্যাদি।
-
ভবিষ্যতে এ ধরনের উৎস নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় এর বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে।

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়?
Created: 1 month ago
A
কয়লা
B
প্রাকৃতিক গ্যাস
C
পেট্রোলিয়াম
D
বায়োগ্যাস
জীবাশ্ম জ্বালানি কয়েক মিলিয়ন বছর আগে মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর অবশেষ থেকে গঠিত হয়, যেমন কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোলিয়াম। বায়োগ্যাস জৈব বর্জ্য (গোবর, উদ্ভিজ্জ বর্জ্য ইত্যাদি) পচিয়ে উৎপাদিত হয়, তাই এটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, বরং নবায়নযোগ্য জ্বালানি।
- কোটি কোটি বছর পূর্বে গাছপালা, জীবজন্তু প্রভৃতি প্রচন্ড ভুমিকম্প বা কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে কাদা ও বালির বেশ গভীরে ঢাকা পড়ে। এদেরই দেহাবশেষ এ জীবাশ্ম কঠিন বা তরল আকারে খনি থেকে তুলে তাপ শক্তি উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হয়। এদেরকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে।
• জীবাশ্ম জ্বালানির উদাহরণ:
- কয়লা,
- খনিজ তেল,
- প্রাকৃতিক গ্যাস।
বায়োগ্যাস:
- বায়োগ্যাস হল জৈব পদার্থের পচনের মাধ্যমে উৎপন্ন গ্যাসীয় জ্বালানি।
- এটি মূলত মিথেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মিশ্রণ।
- বায়োগ্যাস নবায়নযোগ্য, কারণ জৈব পদার্থ ক্রমাগত উৎপাদিত হতে থাকে এবং এটি পচিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করা যায়।
- অক্সিজেনবিহীন পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া বর্জ্য ভেঙে মিথেন উৎপন্ন করে।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটানিকা।

0
Updated: 1 month ago
কয়লার দহনের সময় কোন গ্যাস বায়ুতে মিশে এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করে?
Created: 4 weeks ago
A
মিথেন
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
কার্বন মনোক্সাইড
D
সালফার ডাই-অক্সাইড
জ্বালানি বিশুদ্ধ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি দহনের ফলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য উভয়ের জন্য বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ সৃষ্টি হয়। জীবাশ্ম জ্বালানির দহন সাধারণত কার্বন ডাই-অক্সাইড, পানি ও তাপ উৎপন্ন করে, কিন্তু স্বল্প বায়ুতে দহন হলে কিছু পরিমাণ কার্বন মনোক্সাইড (CO) উৎপন্ন হয়, যা একটি বিষাক্ত নীরব ঘাতক গ্যাস।
-
কার্বন মনোক্সাইডের প্রভাব: স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
-
কয়লার বর্জ্য উপাদান: সালফার ও নাইট্রোজেন যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। দহনের সময় সালফার সালফার ডাই-অক্সাইড (SO₂) এবং নাইট্রোজেন বিভিন্ন নাইট্রোজেন অক্সাইড যৌগ হিসেবে বায়ুতে মিশে থাকে।
-
এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি: SO₂ জলীয় বাষ্পের সাথে যুক্ত হয়ে সালফিউরিক এসিড উৎপন্ন করে, আর নাইট্রোজেন অক্সাইড জলীয় বাষ্পের সাথে যুক্ত হয়ে নাইট্রিক এসিড ও নাইট্রাস এসিড উৎপন্ন করে, যা এসিড বৃষ্টি ঘটায়।
-
জ্বালানিতে টেট্রাইথাইল লেড (TEL): ইঞ্জিনের নকিং কমানোর জন্য মিশ্রিত করা হয়। এর দহনের ফলে লেড অক্সাইড (PbO) এবং লেড ডাই অক্সাইড (PbO₂) তৈরি হয়, যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
-
যানবাহনের বর্জ্য ধোঁয়া: কালো ধোঁয়ার মধ্যে কার্বন মনোক্সাইড (CO), নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) এবং অদগ্ধ জ্বালানি যেমন মিথেন বায়ুতে মিশে থাকে।
-
ফটোকেমিক্যাল ধোঁয়া: সূর্যালোকের উপস্থিতিতে বর্জ্য উপাদান পরিবর্তিত হয়ে তৈরি হয় বিষাক্ত ধোঁয়া, যা ওজোন স্তর ক্ষয় করে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখে।
এই সব বিষয় বিবেচনা করে পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত বিশুদ্ধ জ্বালানি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

0
Updated: 4 weeks ago
নিচের কোনটি অনবায়নযোগ্য শক্তির অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 week ago
A
সৌর শক্তি
B
বায়ু শক্তি
C
ভূ-তাপীয় শক্তি
D
কয়লা
শক্তির উৎস প্রধানত দুই প্রকারে বিভক্ত।
-
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস:
-
এই ধরনের শক্তি বারবার ব্যবহার করা যায়।
-
নবায়নযোগ্য শক্তি পরিবেশবান্ধব এবং এটি গ্রীন শক্তি হিসেবেও পরিচিত।
-
উদাহরণ: সমুদ্রস্রোত, বায়ুপ্রবাহ শক্তি, সৌর শক্তি, ভূ-তাপীয় শক্তি ইত্যাদি।
-
-
অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস:
-
এই ধরনের শক্তি পুনরায় ব্যবহার করা যায় না।
-
প্রকৃতিতে এর উৎস সীমিত এবং চাহিদার তুলনায় মজুদ খুব বেশি নয়।
-
অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদন খরচ বেশি এবং অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নয়।
-
উদাহরণ: কয়লা, খনিজ তেল, নিউক্লিয় শক্তি, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি।
-

0
Updated: 1 week ago