অচৌম্বক পদার্থ নয় কোনটি?
A
নিকেল
B
দস্তা
C
রূপা
D
পিতল
উত্তরের বিবরণ
অচৌম্বক পদার্থ হলো এমন পদার্থ যেগুলোকে চুম্বক আকর্ষণ করে না এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণতও করা যায় না। এই পদার্থগুলোর অণুর ভেতরে চৌম্বক মুহূর্ত (magnetic moment) থাকলেও তা এলোমেলোভাবে বিন্যস্ত থাকে, ফলে সামগ্রিকভাবে কোনো চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয় না।
-
অচৌম্বক পদার্থে অণুগুলোর চৌম্বক মুহূর্ত একে অপরকে নিরপেক্ষ করে দেয়।
-
এগুলোর মধ্যে চৌম্বক শক্তি প্রায় শূন্য বা অত্যন্ত দুর্বল হয়।
-
চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলেও এগুলোর মধ্যে স্থায়ী চৌম্বকত্ব সৃষ্টি হয় না।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন, কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, রাবার ইত্যাদি।
-
এসব পদার্থের ব্যবহার বিদ্যুৎ পরিবাহিতা বা তাপ পরিবাহিতার জন্য হলেও চৌম্বক প্রয়োগে ব্যবহৃত হয় না।
অন্যদিকে, চৌম্বক পদার্থ হলো এমন পদার্থ যেগুলোকে চুম্বক আকর্ষণ করে এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণত করা যায়। এসব পদার্থের অণুগুলোর চৌম্বক মুহূর্ত একই দিকে বিন্যস্ত থাকে, ফলে এরা শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করতে সক্ষম।
-
চৌম্বক পদার্থে অণুগুলোর চৌম্বক মুহূর্ত সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো থাকে।
-
এরা বাহ্যিক চৌম্বক ক্ষেত্রে সহজেই স্থায়ী চুম্বক হিসেবে রূপান্তরিত হতে পারে।
-
বেশিরভাগ চৌম্বক পদার্থে লোহা (Fe) বিদ্যমান থাকায় এদেরকে ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ (Ferromagnetic materials) বলা হয়।
-
“ফেরো” শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Ferrum থেকে এসেছে, যার অর্থ লোহা।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
-
চৌম্বক পদার্থ মোটামুটি তিন শ্রেণির হতে পারে—ফেরোম্যাগনেটিক, প্যারাম্যাগনেটিক, ও ডায়াম্যাগনেটিক, যেখানে ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থে চৌম্বক প্রভাব সবচেয়ে বেশি।

0
Updated: 1 day ago
অচৌম্বক পদার্থ নয় কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
অ্যান্টিমনি
B
নিকেল
C
পিতল
D
পারদ
চৌম্বক পদার্থ হলো সেই সকল পদার্থ যেগুলো চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হয় এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণত করা যায়। বেশিরভাগ চৌম্বক পদার্থে লোহা থাকে, তাই এ ধরনের পদার্থকে ফেরোচৌম্বক বা ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ বলা হয়। "ফেরো" শব্দের অর্থ লোহা।
-
উদাহরণ: লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট
অচৌম্বক পদার্থ হলো সেই সকল পদার্থ যেগুলো চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হয় না এবং যেগুলোকে চুম্বকে পরিণত করা যায় না।
-
উদাহরণ: সোনা, রূপা, তামা, পিতল, পারদ, বিসমাথ, অ্যান্টিমনি, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন, কাঠ, কাগজ, প্লাস্টিক, রাবার
সূত্র:

0
Updated: 2 weeks ago
কুরি তাপমাত্রা বলতে কী বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
যে তাপমাত্রায় চৌম্বক পদার্থ তাপ পরিবাহনের ক্ষমতা হারায়
B
যে তাপমাত্রায় চৌম্বক পদার্থ সর্বাধিক চুম্বকায়িত হয়
C
যে তাপমাত্রায় চৌম্বক পদার্থের চুম্বকত্ব সম্পূর্ণ নষ্ট হয়
D
যে তাপমাত্রায় চৌম্বক পদার্থ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গলতে শুরু করে
কুরি তাপমাত্রা (Curie Temperature / Curie Point)
যে তাপমাত্রায় কোনো চৌম্বক পদার্থের চুম্বকত্ব সম্পূর্ণ নষ্ট হয়, তাকে কুরি তাপমাত্রা বা কুরি বিন্দু বলা হয়।
রিমেনেন্স (Remanence)
চুম্বকায়ন বলের প্রভাব সরিয়ে নেওয়ার পর চৌম্বক পদার্থে যে চুম্বকায়ন মাত্রা অবশিষ্ট থাকে, তাকে রিমেনেন্স বলে।
চৌম্বক ধারকত্ব (Magnetic Retentivity)
চুম্বকায়ন বলের প্রভাব সরানো হলেও কোনো চৌম্বক পদার্থে চুম্বকত্ব বজায় রাখার ক্ষমতা।
উদাহরণ: নরম লোহা এবং ইস্পাত সমপরিমাণ চুম্বকায়িত হলে, ইস্পাতের চুম্বকত্ব হ্রাসের পরিমাণ কম, অর্থাৎ চৌম্বক ধারকতা বেশি।
চৌম্বক সহনশীলতা (Magnetic Susceptibility)
চুম্বকত্ব হ্রাসের নিয়ামক থাকা সত্ত্বেও কোনো চৌম্বক পদার্থে চুম্বকত্ব বজায় রাখার ক্ষমতা, তাকে চৌম্বক সহনশীলতা বলে।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
ফেরোচৌম্বক পদার্থের উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
রূপা
B
পানি
C
লোহা
D
অক্সিজেন
চৌম্বক পদার্থগুলোকে তাদের চৌম্বক ক্ষেত্রে আচরণের ধরন অনুযায়ী প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়—প্যারাচৌম্বক, ডায়াচৌম্বক ও ফেরোচৌম্বক পদার্থ। এদের পার্থক্য নির্ভর করে পদার্থের চৌম্বক মোমেন্ট, চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রতিক্রিয়া এবং অণু বা পরমাণুর বিন্যাসের উপর।
প্যারাচৌম্বক পদার্থ:
যে সকল পদার্থকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে পদার্থের মধ্যে দুর্বল চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং তারা চুম্বকের দিকে আকৃষ্ট হয়, তাদেরকে প্যারাচৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: অক্সিজেন, সোডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, টিন ইত্যাদি।
-
এদের অণু, পরমাণু বা আয়নে স্থায়ী চৌম্বক দ্বিপোল মোমেন্ট থাকে।
-
প্রতিটি দ্বিপোল স্বাধীনভাবে কাজ করে, তবে তাপজনিত কম্পনের কারণে এরা এলোমেলোভাবে অবস্থান করে।
-
সাধারণ অবস্থায় পদার্থের কোনো নির্দিষ্ট দিকে নীট চুম্বকায়ন থাকে না।
-
বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্র প্রয়োগ করলে কিছু দ্বিপোল ক্ষেত্রের দিক বরাবর সাজিয়ে নেয়, ফলে পদার্থটি সামান্য চুম্বকায়িত হয়।
ডায়াচৌম্বক পদার্থ:
যে সকল পদার্থকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে পদার্থের মধ্যে দুর্বল চুম্বকত্ব সৃষ্টি হয় কিন্তু তারা চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে সরে যায়, তাদের ডায়াচৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: হাইড্রোজেন, পানি, সোনা, রূপা, তামা, বিসমাথ ইত্যাদি।
-
সৃষ্ট চুম্বকায়নের দিক বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের বিপরীত দিকে হয়।
-
এদের পরমাণুতে স্থায়ী চৌম্বক মোমেন্ট থাকে না।
-
ইলেকট্রনের কক্ষীয় ও স্পিন গতি থেকে সামান্য চৌম্বক মোমেন্ট সৃষ্টি হলেও, বিপরীতমুখী জোড়াগুলোর কারণে সমষ্টিগতভাবে নীট মোমেন্ট শূন্য হয়।
-
এই কারণে ডায়াচৌম্বক পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রে অল্পমাত্রায় বিকর্ষিত হয়।
ফেরোচৌম্বক পদার্থ:
যে সকল পদার্থকে চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখলে পদার্থের মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী চুম্বকত্ব আবিষ্ট হয় এবং আবিষ্ট চুম্বকায়নের দিক বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্রের দিকের সাথে একই, তাদের ফেরোচৌম্বক পদার্থ বলে।
-
উদাহরণ: লোহা, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
-
ফেরোচৌম্বক পদার্থের পরমাণু বা অণুতে নীট চৌম্বক দ্বিপোল মোমেন্ট থাকে।
-
এদের দ্বিপোলগুলো স্বাধীনভাবে কাজ না করে ডোমেইন (Domain) আকারে গোষ্ঠীবদ্ধ থাকে।
-
সাধারণ অবস্থায় বিভিন্ন ডোমেইনের অভিমুখ ভিন্ন হওয়ায় পদার্থের নীট মোমেন্ট শূন্য থাকে।
-
বহিঃচৌম্বক ক্ষেত্র প্রয়োগ করলে ডোমেইনগুলো ক্ষেত্রের দিক বরাবর সজ্জিত হয়, ফলে পদার্থটি দৃঢ়ভাবে চুম্বকায়িত হয়।
-
ফেরোচৌম্বক পদার্থই স্থায়ী চুম্বক তৈরির প্রধান উপাদান, কারণ এগুলোতে চুম্বকত্ব দীর্ঘস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে।

0
Updated: 1 day ago