ISDN-এ H-চ্যানেলের উদ্দেশ্য কী?


A

উচ্চ-গতির ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য


B

সংকেত প্রেরণের জন্য


C

শুধুমাত্র ভিডিও স্ট্রিমিং-এর জন্য


D

শুধুমাত্র ভয়েস যোগাযোগের জন্য


উত্তরের বিবরণ

img

ISDN (Integrated Services Digital Network)-এ H-চ্যানেলের মূল উদ্দেশ্য হলো উচ্চ-গতির ডেটা ট্রান্সমিশন বা বৃহৎ পরিমাণ ডেটা দ্রুত স্থানান্তর করা। সাধারণত ISDN নেটওয়ার্কে B-চ্যানেল ব্যবহার করা হয় ভয়েস ও ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য, এবং D-চ্যানেল ব্যবহৃত হয় সিগন্যালিং ও কন্ট্রোল তথ্য আদান-প্রদানের জন্য। তবে যখন আরও বেশি ব্যান্ডউইথের প্রয়োজন হয়, যেমন ভিডিও কনফারেন্সিং, মাল্টিমিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন বা বৃহৎ ফাইল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে, তখন H-চ্যানেল ব্যবহৃত হয়। H-চ্যানেল বিভিন্ন ধরনের ব্যান্ডউইথে পাওয়া যায়, যেমন— H0 (384 kbps), H11 (1.536 Mbps) এবং H12 (1.920 Mbps), যা সাধারণ ডেটা লাইন অপেক্ষা অনেক দ্রুত। তাই সঠিক উত্তর: ক) উচ্চ-গতির ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য।

ISDN (Integrated Services Digital Network): এটি একটি ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সেবা যা একই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভয়েস, ভিডিও ও ডেটা ট্রান্সমিশন সম্ভব করে।
• এটি সাধারণ টেলিফোন লাইনের তুলনায় অনেক বেশি গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করতে সক্ষম।
• ISDN মূলত সার্কিট-সুইচড ডিজিটাল নেটওয়ার্ক, যা ভয়েস কল, ভিডিও কনফারেন্স এবং ইন্টারনেট সংযোগ—সব একসাথে প্রদান করতে পারে।
• এটি প্রথম চালু হয় ১৯৮০-এর দশকে, যখন এনালগ ফোন সিস্টেমকে ডিজিটাল আকারে রূপান্তর করা শুরু হয়।

ISDN-এর প্রধান চ্যানেলসমূহ:
১. B-চ্যানেল (Bearer Channel): ডেটা বা ভয়েস ট্রান্সমিশনের জন্য ব্যবহৃত হয় (৬৪ kbps ব্যান্ডউইথ)।
২. D-চ্যানেল (Delta Channel): সিগন্যালিং ও কন্ট্রোল তথ্যের জন্য ব্যবহৃত হয় (১৬ বা ৬৪ kbps)।
৩. H-চ্যানেল (High-speed Channel): উচ্চ-গতির ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য ব্যবহৃত হয় (৩৮৪ kbps থেকে ১.৯২ Mbps পর্যন্ত)।

H-চ্যানেলের প্রকারভেদ:
H0 Channel: 384 kbps — সাধারণ ভিডিও কনফারেন্সিং বা ফাইল ট্রান্সফারের জন্য।
H11 Channel: 1.536 Mbps — উত্তর আমেরিকার T1 সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।
H12 Channel: 1.920 Mbps — ইউরোপীয় E1 সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।

ISDN ব্যবহারের ক্ষেত্র:
• বড় প্রতিষ্ঠান যেখানে প্রচুর পরিমাণ ডেটা স্থানান্তর হয়।
• ভিডিও কনফারেন্সিং ও লাইভ টেলিকমিউনিকেশন সেবা।
• নিরাপদ ও স্থিতিশীল কর্পোরেট ডেটা যোগাযোগ।

ইন্টারনেট সংযোগের প্রচলিত পদ্ধতিসমূহ:
১. Dial-up System – প্রথাগত ফোন লাইনের মাধ্যমে সংযোগ।
২. ISDN – ডিজিটাল টেলিফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে উচ্চগতির সংযোগ।
৩. Broadband – সর্বাধিক ব্যবহৃত দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা।
৪. Wi-Fi – বেতার সংযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস।
৫. WiMAX – বৃহৎ পরিসরে বেতার ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে।

• যদিও বর্তমানে ISDN অনেক দেশে ব্রডব্যান্ড ও ফাইবার ইন্টারনেট দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে, তবুও এটি এখনো কিছু কর্পোরেট বা ব্যাকআপ সংযোগে ব্যবহৃত হয়।

Unfavorite

0

Updated: 1 day ago

Related MCQ

Edge Computing বলতে কী বোঝায়?

Created: 1 week ago

A

তথ্যের উৎসের কাছে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ

B

কেন্দ্রীভূত ক্লাউড সার্ভারে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করা

C

অত্যন্ত দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা

D


কোয়ান্টাম অ্যালগরিদমের মাধ্যমে জটিল সমস্যা সমাধান করা

Unfavorite

0

Updated: 1 week ago

Television broadcasting is an example of which data transmission mode?

Created: 1 month ago

A

Half-Duplex

B

Simplex


C

Full-Duplex

D

Multiplex

Unfavorite

0

Updated: 1 month ago

ইন্টারনেটে ডেটা ট্রান্সমিশনের মূল ভিত্তি কি?


Created: 3 weeks ago

A

HTTP


B

TCP/IP


C

FTP


D

SMTP

Unfavorite

0

Updated: 3 weeks ago

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD