কোনটি গুগলের সেবা নয়?
A
Gmail
B
Drive
C
Word
D
Chrome
উত্তরের বিবরণ
গুগল বিভিন্ন অনলাইন সেবা প্রদান করে, যেমন Gmail (ইমেইল প্রেরণ ও গ্রহণ), Google Drive (ফাইল সংরক্ষণ ও শেয়ারিং), এবং Chrome (ওয়েব ব্রাউজার)। এই সেবাগুলো গুগলের নিজস্ব পণ্য হলেও Word হলো Microsoft কর্তৃক নির্মিত একটি সফটওয়্যার, যা Microsoft Office প্যাকেজের অংশ। এটি মূলত ডকুমেন্ট বা লেখার কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং গুগলের কোনো সেবা নয়। তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে গুগলের সেবা নয় — Word।
• Gmail: গুগলের ইমেইল সেবা, যা ব্যবহারকারীদের অনলাইনে মেইল প্রেরণ ও গ্রহণের সুবিধা দেয়।
• Google Drive: অনলাইন স্টোরেজ সেবা, যেখানে ফাইল সংরক্ষণ, শেয়ার এবং একসাথে কাজ করার সুবিধা পাওয়া যায়।
• Google Chrome: গুগলের তৈরি একটি দ্রুত ও নিরাপদ ওয়েব ব্রাউজার, যা বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।
• Microsoft Word: এটি মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার, যা ডকুমেন্ট লেখা, সম্পাদনা এবং ফরম্যাটিং-এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
গুগল সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
• প্রতিষ্ঠাতা: ল্যারি পেইজ এবং সার্জে ব্রেইন
• প্রতিষ্ঠার বছর: ১৯৯৮
• বর্তমান CEO: সুন্দর পিচাই (তথ্য - আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত)
• শব্দের উৎপত্তি: “Google” শব্দটি এসেছে “Googol” থেকে, যা একটি বড় সংখ্যাকে (1 এর পরে 100টি শূন্য) নির্দেশ করে।
• কর্পোরেট সদরদপ্তর: গুগলপ্লেক্স, মাউন্টেইন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
• গুগল ও আলফাবেট ইনকর্পোরেটেড একে অপরের সাথে সম্পর্কিত; Alphabet হলো Google-এর মূল কোম্পানি।
গুগলের জনপ্রিয় সেবাসমূহ:
• Google Maps – মানচিত্র ও নেভিগেশন সেবা
• Google Workspace – অফিস টুলস প্যাকেজ (Docs, Sheets, Slides ইত্যাদি)
• Android – মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম
• Google Assistant – ভয়েস-ভিত্তিক AI সহকারী
• YouTube – ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম
• Google Photos – ছবি সংরক্ষণ ও শেয়ারিং সেবা
• Google Meet – ভিডিও কনফারেন্সিং সেবা
• Google Keep – নোট নেওয়ার অ্যাপ
• Google AdSense – অনলাইন বিজ্ঞাপন সেবা
• Google Nest, Chromebook প্রভৃতি হার্ডওয়্যার ও স্মার্ট হোম পণ্য
Microsoft Word এর বিপরীতে, গুগলের সমজাতীয় সেবা হলো Google Docs, যা অনলাইনে ডকুমেন্ট তৈরি, সম্পাদনা ও শেয়ার করার সুযোগ দেয়।

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি ‘Phishing Attack’-এর সঠিক উদাহরণ?
Created: 2 weeks ago
A
ভুয়া ই-মেইল বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা
B
ভুয়া পরিচয়ে অন্যের কম্পিউটারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া
C
নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদানের সময় তথ্য হাতিয়ে নেওয়া
D
ব্যবহারকারীকে আসল ওয়েবসাইটের পরিবর্তে ভুয়া ওয়েবসাইটে প্রবেশ করানো
ফিশিং হলো একটি সাইবার প্রতারণার কৌশল, যেখানে হ্যাকাররা ভুয়া ইমেইল, মেসেজ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার চেষ্টা করে।
-
ফিশিং (Phishing): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কারো কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, পাসওয়ার্ড, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি সংগ্রহ করা।
-
সাধারণত ই-মেইল বা মেসেজের মাধ্যমে ফিশিং করা হয়। হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ওয়েবসাইটে তথ্য যাচাই বা ভেরিফিকেশন চায়।
-
যদি কেউ এ ফাঁদে পা দেয়, তবে হ্যাকাররা তথ্য সংগ্রহ করে তাকে বিভিন্ন ধরনের সাইবার বিপদে ফেলে দিতে পারে।
-
অন্যান্য সম্পর্কিত সাইবার হুমকি:
-
স্পুফিং (Spoofing): অপরাধীরা নিজের পরিচয় গোপন করে অন্যের পরিচয় বা ভুয়া ওয়েবসাইটের ঠিকানা ব্যবহার করে ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরি করে।
-
স্নিফিং (Sniffing): কমিউনিকেশন লাইনের মধ্য দিয়ে তথ্য আদান-প্রদানের সময় তথ্য ক্যাপচার বা চুরি করার পদ্ধতি।
-
ফার্মিং (Pharming): ব্যবহারকারীকে তার কাঙ্খিত ওয়েবসাইটের পরিবর্তে অন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করানো বা নিয়ে যাওয়ার কৌশল।
-

0
Updated: 2 weeks ago
কম্পিউটার বিজ্ঞানের জনক চার্লস ব্যাবেজ কোন যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
Difference Engine
B
Tabulating Machine
C
Pascaline
D
উপরের সবগুলো
চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage)
-
চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটিং ইতিহাসের অগ্রদূত ও “কম্পিউটারের জনক” বলা হয়।
-
তিনি ছিলেন গণিতবিদ, দার্শনিক, আবিষ্কারক এবং যন্ত্র প্রকৌশলী।
তার দুটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র:
-
ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine):
-
একটি যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর।
-
মূলত গাণিতিক সারণী তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হতো।
-
-
অ্যানালিটিক ইঞ্জিন (Analytical Engine):
-
একটি প্রোগ্রামযোগ্য যন্ত্র, যা আধুনিক কম্পিউটারের ধারণার ভিত্তি তৈরি করে।
-
লজিক্যাল অপারেশন এবং ডেটা প্রসেসিং করতে সক্ষম।
-
অতিরিক্ত তথ্য:
-
প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে তাঁর সময় এই যন্ত্রগুলো সঠিকভাবে কার্যকর হতে পারেনি।
-
১৯৯১ সালে তাঁর ডিজাইন অনুসারে সফলভাবে একটি কার্যক্ষম যন্ত্র তৈরি করা হয়।
-
উভয় যন্ত্রই গণনা করার ক্ষমতা রাখত এবং আধুনিক কম্পিউটারের প্রাথমিক নীতি প্রবর্তন করেছিল।

0
Updated: 2 weeks ago
সাধারণ একটি IMEI নম্বরে কয়টি ডিজিট থাকে?
Created: 1 day ago
A
15
B
12
C
14
D
16
IMEI (International Mobile Equipment Identity) হলো প্রতিটি মোবাইল ডিভাইসের জন্য একটি অনন্য ১৫ সংখ্যার নম্বর যা ডিভাইসকে স্বতন্ত্রভাবে সনাক্ত করে—এর মাধ্যমে ফোনের উৎপত্তি, মডেল ও আসলত্ব যাচাই করা যায় এবং হারানো বা চুরির ক্ষেত্রে ফোন ব্লক/ট্র্যাক করা সম্ভব।
• IMEI নম্বর সাধারণত ১৫ সংখ্যা বিশিষ্ট।
• নম্বরটি সাধারণত চারটি অংশে বিভক্ত: TAC (Type Allocation Code), FAC (Final Assembly Code), SNR (Serial Number) এবং SP (Spare/Check Digit)।
• TAC থেকে ডিভাইসের ধরন ও মডেল সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়; SNR হলো ডিভাইসের সিরিয়াল নম্বর।
• ডিভাইসের হার্ডওয়্যারের সাথে IMEI স্থায়ীভাবে জড়িত থাকে এবং এটি সাধারণত পরিবর্তন করা যায় না (IMEI পরিবর্তন অবৈধ এবং আইনগত জটিলতা থাকতে পারে)।
• IMEI দেখতে বা জানা যায়: ফোন সেটিংসে, ব্যাটারি কম্পার্টমেন্টে মুদ্রিত অবস্থায় অথবা *ডায়াল করে #06# করে।
• মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটররা IMEI ব্যবহার করে ডিভাইস যাচাই, ট্র্যাক ও হারানো/চুরি হওয়া ডিভাইস ব্লক করার কাজ করে।
• IMEI-এর মাধ্যমে ডিভাইসের উৎপাদন দেশ, নির্মাতা ও মডেল সম্পর্কিত অতিরিক্ত মেটাডাটা পাওয়া যেতে পারে।
• IMEI নম্বর নিরাপত্তা ও মালিকানার প্রমাণ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এবং চুরি প্রতিরোধে সহায়তা করে।

0
Updated: 1 day ago