কেন ChatGPT কে “জেনারেটিভ” AI বলা হয়?
A
এটি নতুন লেখা বা কনটেন্ট তৈরি করে
B
এটি শুধু ডেটা সংরক্ষণ করে
C
এটি শুধুমাত্র বিদ্যমান তথ্য সাজায়
D
এটি বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপন্ন করে
উত্তরের বিবরণ
ChatGPT কে “জেনারেটিভ” AI বলা হয় কারণ এটি শুধু তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ বা পুনর্বিন্যাস করে না; বরং ব্যবহারকারীর ইনপুট অনুযায়ী সম্পূর্ণ নতুন লেখা, উত্তর, বিশ্লেষণ বা কনটেন্ট তৈরি করতে সক্ষম। এটি বৃহৎ পরিমাণ তথ্য থেকে শেখে, কিন্তু সেই শেখা তথ্যকে হুবহু পুনরাবৃত্তি না করে নতুনভাবে উপস্থাপন করে। তাই ChatGPT-এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো সৃজনশীল ও মৌলিক কনটেন্ট তৈরি করার ক্ষমতা, যা তাকে অন্যান্য প্রচলিত তথ্যপ্রসেসিং সিস্টেম থেকে আলাদা করে তোলে। সঠিক উত্তর: ক) এটি নতুন লেখা বা কনটেন্ট তৈরি করে।
• ChatGPT (Chat Generative Pre-trained Transformer) ৩০ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে চালু করা হয়।
• এটি OpenAI নামক প্রযুক্তি কোম্পানির উদ্ভাবন।
• ChatGPT Reinforcement Learning from Human Feedback (RLHF) মডেল ব্যবহার করে, যা মানুষের মত প্রতিক্রিয়া বোঝা ও উপযুক্তভাবে উত্তর দিতে সহায়তা করে।
• বর্তমানে এর সর্বশেষ সংস্করণ GPT-5 চালু আছে।
• এটি টেক্সট-ভিত্তিক আলাপচারিতার পাশাপাশি প্রশ্নোত্তর, অনুবাদ, কোড লেখা, প্রবন্ধ তৈরি, সারাংশ তৈরি এবং শিক্ষামূলক ব্যাখ্যা প্রদান করতে সক্ষম।
ChatGPT-এর বৈশিষ্ট্য:
• এটি মানুষের সাথে স্বাভাবিকভাবে কথোপকথন করতে পারে।
• বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা বা স্ক্রিপ্ট লিখতে পারে।
• কম্পিউটার কোড বা প্রোগ্রাম তৈরি করতে সক্ষম।
• সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট, ব্লগ বা আর্টিকেল লিখতে পারে।
• শিক্ষার্থী, গবেষক ও পেশাজীবীদের জন্য এটি তথ্য সংগ্রহ ও ব্যাখ্যা প্রদানে সহায়ক একটি টুল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
• এর উত্তর প্রদান প্রক্রিয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (NLP) প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে।
• এটি সময়ের সাথে উন্নত হচ্ছে, ফলে ভাষা বোঝা ও প্রাসঙ্গিক উত্তর দেওয়ার দক্ষতা ক্রমাগত বাড়ছে।

0
Updated: 1 day ago
ChatGPT প্রথম কবে চালু হয়?
Created: 1 month ago
A
২০২১
B
২০২২
C
২০২৩
D
২০২০
ChatGPT
১. সংজ্ঞা
-
ChatGPT হলো একটি সফটওয়্যার, যা মানুষের স্বাভাবিক ভাষায় প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম।
-
এটি OpenAI নামে একটি আমেরিকান প্রতিষ্ঠান দ্বারা ৩০ নভেম্বর ২০২২ সালে চালু করা হয়।
২. প্রযুক্তি ও কাজ
-
ChatGPT GPT (Generative Pre-training Transformer) আর্কিটেকচারে তৈরি একটি নিউরাল নেটওয়ার্ক।
-
এর কাজ হলো মানুষের মতো লেখা তৈরি করা, যেমন:
-
চ্যাটবট
-
কন্টেন্ট তৈরি
-
ভাষা অনুবাদ
-
-
এটি শব্দের সম্ভাবনা হিসাব করে টেক্সট তৈরি করে, পূর্ববর্তী শব্দগুলোর ওপর নির্ভর করে।
-
প্রায় ৪৫ টেরাবাইট ইন্টারনেটের লেখা দিয়ে প্রশিক্ষিত GPT-3 মডেলের ওপর ভিত্তি করে।
৩. সীমাবদ্ধতা
-
ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য তৈরি করতে পারে (হ্যালুসিনেশন)।
-
ChatGPT নিজে একমাত্র নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র নয়; তথ্য যাচাই প্রয়োজন।
৪. গুরুত্ব
-
শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশায় দ্রুত আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, কারণ মানুষের লেখা ও ChatGPT-এর লেখা আলাদা করা কঠিন।

0
Updated: 1 month ago
'ডিপফেক (Deepfake)' বলতে কী বোঝায়?
Created: 3 weeks ago
A
সাইবার নিরাপত্তা সফটওয়্যার
B
অনলাইন শিক্ষার জন্য ভিডিও বানানো
C
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা
D
ডিপফেক (Deepfake) হলো এমন কৃত্রিমভাবে তৈরি ছবি বা ভিডিও যা খুবই গভীরভাবে নকল করা।
-
শব্দের অর্থ: ‘ডিপ’ মানে গভীর, ‘ফেক’ মানে নকল
-
প্রযুক্তি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করে ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা হয়
-
প্রবর্তন: শব্দটি প্রথম ২০১৭ সালের শেষ দিকে একজন রেডিট ব্যবহারকারীর মাধ্যমে অনলাইনে পরিচিতি পায়
-
মূল প্রযুক্তি: মেশিন লার্নিং; বিশেষত জেনারেটিভ অ্যাডভারসেরিয়াল নেটওয়ার্ক (GAN)
-
প্রক্রিয়া:
-
একজন ব্যক্তির বিভিন্ন অভিব্যক্তির হাজারখানেক ছবি সংগ্রহ করা হয়
-
মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে মুখের সব ধরনের অভিব্যক্তির সিমুলেশন তৈরি করা হয়
-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নতির ফলে গলার আওয়াজও হুবহু নকল করা সম্ভব
-
-
ফলাফল: তৈরি হওয়া ভিডিও ও অডিও এতটা বাস্তবসম্মত হয় যে খালি চোখে শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব
অতিরিক্তভাবে বলা যায়, ডিপফেক প্রযুক্তি মাধ্যমিক সৃজনশীল কাজে যেমন সিনেমা ও বিনোদন শিল্পে ব্যবহারযোগ্য, তবে মিথ্যা তথ্য, প্রোপাগান্ডা এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিও বৃদ্ধি করতে পারে।

0
Updated: 3 weeks ago
Which technology is used to create Deepfakes?
Created: 2 weeks ago
A
Blockchain
B
Artificial intelligence
C
Cloud computing
D
Machine coding
Deepfakes হলো কৃত্রিমভাবে তৈরি মিডিয়া (ছবি, ভিডিও ও অডিও), যা Artificial Intelligence (AI) দ্বারা তৈরি হয় এবং এমন কিছু প্রদর্শন করে যা বাস্তবে নেই বা কখনো ঘটেনি।
-
শব্দটি এসেছে দুই অংশ থেকে: “deep” (AI-এর deep-learning প্রযুক্তি থেকে) এবং “fake” (যা মিথ্যা বোঝায়)।
-
Deepfakes তৈরিতে সাধারণত দুটি ধরনের AI deep-learning algorithm ব্যবহৃত হয়:
১. একটি অ্যালগরিদম আসল ছবি বা ভিডিওর সর্বোত্তম অনুকরণ তৈরি করে।
২. আরেকটি অ্যালগরিদম সেই অনুকরণ আসল নাকি নকল তা শনাক্ত করে এবং পার্থক্য রিপোর্ট করে। -
প্রথম অ্যালগরিদম একটি কৃত্রিম ছবি তৈরি করে এবং দ্বিতীয় অ্যালগরিদম থেকে পাওয়া প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে সেটি আরও বাস্তবসম্মত করে তোলে।
-
এই প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে যতক্ষণ না দ্বিতীয় অ্যালগরিদম কোনো ভুয়া অংশ শনাক্ত করতে পারে।
-
অনেক সময় বিদ্যমান ফুটেজের উপর নতুন AI-তৈরি অডিও বসিয়ে deepfake ভিডিও বানানো হয়।
Deepfakes-এর ব্যবহার:
-
ইতিবাচক ব্যবহার:
-
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি (যেমন ডেভিড বেকহ্যামের ম্যালেরিয়া সচেতনতা প্রচারাভিযান)
-
শিল্প জগতে ব্যবহার (যেমন Dalí Lives প্রদর্শনীতে সালভাদর দালির ভার্চুয়াল রূপ)
-
শিক্ষা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে সহায়ক প্রযুক্তি হিসেবে সম্ভাবনা
-
-
নেতিবাচক ব্যবহার:
-
মিথ্যা তথ্য ছড়ানো
-
রাজনৈতিক বিভ্রান্তি তৈরি
-
সেলিব্রিটি, রাজনীতিবিদ বা ব্যবসায়ীকে হয়রানি করা
-

0
Updated: 2 weeks ago