কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ কোনটি?
A
প
B
হ
C
ত
D
ন
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষার ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভ, ঠোঁট, দাঁত বা কণ্ঠনালীর কোন অংশ ব্যবহার হয় তার ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। উচ্চারণের অঙ্গ এবং বায়ুর গতিপথ অনুসারে এই শ্রেণিবিভাগ নির্ধারিত হয়।
১. কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জন: উচ্চারণের সময় ধ্বনিদ্বার থেকে বায়ু সরাসরি কণ্ঠনালি হয়ে বেরিয়ে আসে। “হ” এই শ্রেণির উদাহরণ।
২. ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন: উচ্চারণের সময় ঠোঁট দুটি কাছাকাছি এসে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে। এগুলোকে দ্বি-ওষ্ঠ্য ধ্বনিও বলা হয়। উদাহরণ: প, ফ, ব, ভ, ম।
৩. দন্ত্য ব্যঞ্জন: জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করলে যে ধ্বনি হয়, তাকে দন্ত্য ব্যঞ্জন বলে। উদাহরণ: ত, থ, দ, ধ।
৪. দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন: জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের গোড়ায় লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করলে এই ধ্বনি উৎপন্ন হয়। উদাহরণ: ন, র, ল, স।
৫. মূর্ধন্য ব্যঞ্জন: দন্তমূল ও তালুর মাঝের উঁচু অংশকে মূর্ধা বলা হয়। জিভের ডগা মূর্ধার সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করলে এই ধ্বনি হয়। উদাহরণ: ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ়।
৬. তালব্য ব্যঞ্জন: উচ্চারণের সময় জিভের ডগা খানিকটা প্রসারিত হয়ে শক্ত তালুর কাছে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে। উদাহরণ: চ, ছ, জ, ঝ, শ।
৭. কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন: জিভের পিছনের অংশ উঁচু হয়ে আলজিভের কাছাকাছি নরম তালুর কাছে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করলে এই ধ্বনি তৈরি হয়। উদাহরণ: ক, খ, গ, ঘ, ঙ।

0
Updated: 2 days ago
’মনসাবিজয়’ কাব্যগ্রন্থের লেখক কে?
Created: 3 weeks ago
A
বিপ্রদাস পিপিলাই
B
কবি দ্বিজমাধব
C
বিজয়গুপ্ত
D
কেতকা দাস
বিপ্রদাস পিপিলাই ছিলেন ১৫শ শতকের মনসামঙ্গল কাব্যধারার একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি। তিনি ১৪১৭ শকাব্দে (১৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দে) তাঁর মনসাবিজয় কাব্য রচনা করেন, যা মনসামঙ্গল ধারার উল্লেখযোগ্য কাব্য।
-
তাঁর মনসাবিজয় কাব্যের প্রাপ্ত পুথিগুলির মধ্যে দুটি কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিতে, একটি বর্ধমান সাহিত্যসভায় এবং একটি বিশ্বভারতীর পুথিশালায় সংরক্ষিত আছে।
-
কাব্যে কবির আত্মপরিচয় থেকে জানা যায় যে তিনি পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বাদুড়্যা-বটগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
-
তাঁর পিতার নাম ছিল মুকুন্দ পণ্ডিত।
-
বিপ্রদাসের কাব্যে মনসা দেবীর চরিত্রকে তুলনামূলকভাবে নমনীয়, স্নেহময়ী ও করুণারসসম্পৃক্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
তাঁর কাব্যের আখ্যানধারা সরল, ভাষা সাবলীল এবং চরিত্রচিত্রণে সংযম ও পরিচ্ছন্ন রুচির প্রকাশ ঘটেছে।
-
এই কাব্যে চাঁদ সওদাগরের বাণিজ্যযাত্রার প্রসঙ্গে সপ্তগ্রামের একটি বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
'উড়নপেকে' বাগ্ধারার অর্থ কী?
Created: 2 weeks ago
A
অপব্যয়ী
B
অবাধ্য
C
অসৎ
D
অকালপক্ক
বাংলা ভাষায় বাগ্ধারার ব্যবহার অর্থকে প্রাণবন্ত করে তোলে এবং গভীর তাৎপর্য প্রকাশ করে। প্রতিটি বাগ্ধারার নির্দিষ্ট অর্থ রয়েছে, যা কথোপকথন ও লেখায় বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাগ্ধারা তুলে ধরা হলো।
-
উড়নপেকে : অপব্যয়ী
-
আকাশের চাঁদ : দুর্লভ বস্তু
-
দফা নিকেশ : সমূহ সর্বনাশ
-
নয় ছয় : অপব্যয়
-
ডিমে রোগা : সর্বদা রুগ্ণ
-
রাশভারী : গম্ভীর প্রকৃতি
-
তিলেতিলে : ধীরে ধীরে
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago
অশুদ্ধ বানান নির্ণয় করুন-
Created: 2 weeks ago
A
কৃষিজীবী
B
সমীচীন
C
ভাগীরথি
D
বিভীষিকা
বাংলা একাডেমির আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে শুদ্ধ ও অশুদ্ধ বানানের পার্থক্য জানা ভাষার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো।
-
অশুদ্ধ বানান: ভাগীরথি
-
শুদ্ধ বানান: ভাগীরথী
-
এটি একটি বিশেষ্য পদ
-
শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে
-
অর্থ: গঙ্গা নদীর অন্য নাম; গঙ্গার একটি শাখা নদী বিশেষ
-
শুদ্ধ বানানের উদাহরণ: বিভীষিকা, কৃষিজীবী, সমীচীন
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago