বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হয়?
A
৭ মার্চ ১৯৭৩
B
৫ মার্চ ১৯৭৩
C
৬ এপ্রিল ১৯৭৩
D
১১ এপ্রিল ১৯৭৩
উত্তরের বিবরণ
প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
-
১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
এই নির্বাচন হয় ৭ই মার্চ, ১৯৭৩ সালে।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে গঠিত মুজিবনগর সরকার দেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলো। এরপরই সরকার গঠনের জন্য এই নির্বাচন করা হয়।
-
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন শুরু করেন।
-
দেশের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়নের গুরুত্ব তখন বিশেষ হয়ে উঠে।
-
মাত্র নয় মাসের মধ্যে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে দেশের সংবিধান গৃহীত হয়।
-
বিচারপতি এম ইদ্রিসকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়।
-
এরপর নতুন সংবিধানের আলোকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়।
নির্বাচন পরিচালনা
-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ৭ই মার্চ, ১৯৭৩ তারিখে দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
মোট ৩০০ আসনের জন্য ১৪টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।
-
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ১০৮৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া, পৌরনীতি ও সুশাসন, দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
সংসদ কর্তৃক গৃহীত কোন বিলে কে সম্মতি দান করলে বিলটি আইনে পরিণত হয়?
Created: 1 month ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
স্পিকার
D
ডেপুটি স্পিকার
সংসদ কর্তৃৎ গৃহীত বিলের প্রক্রিয়া বাংলাদেশের সংবিধানের ৮০ নং অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়। সংসদ যখন কোনো বিল প্রণীত করে তা রাষ্ট্রপতির নিকট প্রেরণ করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতি দেবেন বা সংসদের পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠাবেন। যদি রাষ্ট্রপতি ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতি প্রদান না করেন, তবে বিলটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাষ্ট্রপতির সম্মতি রয়েছে বলে গণ্য করা হয়। রাষ্ট্রপতি যদি বিলটি সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতীত ফেরত পাঠান, তবে সংসদ তা পুনর্বিবেচনা করে এবং পুনরায় বিলটি রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপন করলে রাষ্ট্রপতি ৭ দিনের মধ্যে বিলটিতে সম্মতি প্রদান করবেন; না করলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইনে পরিণত হয়। সংসদ কর্তৃক গৃহীত বিলটি রাষ্ট্রপতির সম্মতিদান প্রাপ্ত বা গণ্য হলে তা আইনে রূপান্তরিত হয় এবং সংসদের আইন হিসেবে পরিচিত হয়।
-
সংসদ কর্তৃৎ গৃহীত বিলের জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন আবশ্যক।
-
বিলটি রাষ্ট্রপতির নিকট ১৫ দিনের মধ্যে সম্মতির জন্য প্রেরণ করা হয়।
-
১৫ দিনের মধ্যে যদি রাষ্ট্রপতি সম্মতি দেন না, তবে বিলটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্মতি ধরা হয়।
-
রাষ্ট্রপতি যদি বিল ফেরত পাঠান, সংসদ তা পুনর্বিবেচনা করে সংশোধনীসহ বা ব্যতীত পুনরায় প্রেরণ করবে।
-
পুনরায় প্রেরণের ৭ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি সম্মতি প্রদান করবেন; না করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্মতিদান ধরা হবে।
-
রাষ্ট্রপতির সম্মতিদান প্রাপ্ত বা গণ্য হলে বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হয় এবং সংসদের আইন হিসেবে স্বীকৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
জাতীয় সংসদে কোরাম হতে হলে কতজন সংসদ সদস্যের উপস্থিত থাকতে হবে?
Created: 1 month ago
A
মোট সংসদ সদস্যের ১/৫ ভাগ
B
মোট সংসদ সদস্যের ১/১০ ভাগ
C
মোট সংসদ সদস্যের ১/৩ ভাগ
D
মোট সংসদ সদস্যের অর্ধেক
কোরাম হলো জাতীয় সংসদের বৈধ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম সদস্য সংখ্যা। বাংলাদেশের সংবিধানের ৭৫নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের বৈঠক পরিচালনার জন্য কমপক্ষে ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকতে হবে, যা মোট সংসদ সদস্যের প্রায় এক-পঞ্চম অংশের সমান।
জাতীয় সংসদের বৈঠক চলাকালীন যদি কোনো সময়ে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা ৬০ এর কম হয় এবং সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়, তাহলে তিনি বৈঠক স্থগিত বা মুলতবি করতে পারবেন যতক্ষণ না ন্যূনতম ৬০ জন সদস্য উপস্থিত হন।
কোরামের সাধারণ অর্থ হলো একটি বৈধ সভার জন্য ন্যূনতম সংখ্যক ভোটদানের অধিকারী সদস্য বা প্রতিনিধি উপস্থিত থাকা, যা সংস্থার আইন ও নিয়ম অনুযায়ী পূর্বনির্ধারিত থাকে।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা কত?
Created: 2 months ago
A
৩০০টি
B
৩৩০টি
C
৩৪৫টি
D
৩৫০টি
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
-
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫০।
-
প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারের সরাসরি ভোটের ভিত্তিতে প্রতি আসন থেকে একজন করে সাংসদ নির্বাচিত হন।
-
সাধারণত, প্রতি ৫ বছর অন্তর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
-
৩ জুলাই, ২০১১ তারিখে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে ৫০ করা হয়।
-
বাংলাদেশের সংবিধানে সর্বোচ্চ আইন পরিষদকে বাংলায় ‘জাতীয় সংসদ’ এবং ইংরেজিতে ‘House of the Nation’ বলা হয়েছে।
সূত্র: জাতীয় সংসদ ও বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago