GATT-এর পূর্ণরূপ কী?
A
General Agreement on Taxes and Tariffs
B
General Agreement on Tariffs and Trade
C
Global Agreement on Tariffs and Trade
D
Global Arrangement on Trade and Tariffs
উত্তরের বিবরণ
জেনারেল অ্যাগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফস অ্যান্ড ট্রেড (GATT – General Agreement on Tariffs and Trade) হলো একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি, যা মূলত বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং মুক্তবাজার অর্থনীতি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রণীত হয়।
-
প্রতিষ্ঠিত হয়: ১৯৪৭
-
কার্যকর হয়: ১৯৪৮
-
উদ্দেশ্য: বিশ্ব বাণিজ্য পুনর্গঠন, নতুন বাণিজ্য কর্মসূচি প্রণয়ন এবং মুক্তবাজার অর্থনীতিকে গতিশীল করা
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
১৯৪৭ সালের ৩০ অক্টোবর, মোট ২৩টি দেশ GATT-এ স্বাক্ষর করে।
-
চুক্তি প্রণয়নের মূল উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা।
-
চুক্তিটি ১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।

0
Updated: 3 days ago
কোথায় ঐতিহাসিক ট্রয় নগর অবস্থিত?
Created: 6 days ago
A
ইটালি
B
গ্রীস
C
তুরস্ক
D
ফ্রান্স
ট্রয় (Troy) হলো একটি প্রাচীন নগরী যা ইতিহাস এবং সাহিত্যে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। হোমারের মহাকাব্য ইলিয়াড (Iliad)-এ এর বর্ণনা পাওয়া যায়।
-
ঐতিহাসিক ট্রয় নগরীর বর্ণনা পাওয়া যায় হোমারের Iliad-এ, যেখানে নগরী এবং ট্রোজানদের জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে।
-
মহাকাব্য অনুসারে, ট্রোজান রাজপুত্র প্যারিস (Paris) স্পার্টার রানি হেলেন (Helen) কে নাকি নিয়ে ট্রয় পালিয়ে যায়। হেলেন ছিলেন স্পার্টার রাজা মেনেলাউস (Menelaus) এর স্ত্রী।
-
প্যারিসের এ কার্যকলাপে ক্রোধান্বিত হয়ে মেনেলাউস তার ভাই আগামেমনন (Agamemnon) এর সহায়তায় ট্রয় আক্রমণ করেন।
-
গ্রিক ও ট্রোজানদের মধ্যে যুদ্ধ চলে দশ বছর (ten years) ধরে। কথিত আছে, স্বর্গের দেবতারা (gods) এই যুদ্ধের সময় দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে যুদ্ধের দিকে সমর্থন দিয়েছেন।
-
পরবর্তীতে গ্রিকদের দ্বারা ট্রয় নগরী সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
ইতিহাস অনুযায়ী:
-
ট্রয় নগরী বর্তমান তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, হেসারলিক বা আনাতোলিয়া অঞ্চলে অবস্থিত।
-
১৯শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক ফ্র্যাঙ্ক কালভার্ট (Frank Calvert) এবং জার্মান প্রত্নতাত্ত্বিক হেনরিক শ্লিম্যান (Heinrich Schliemann) এর প্রচেষ্টায় ট্রয় নগরীর সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়।
-
ট্রয় নগরী এশিয়া ও ইউরোপের বাণিজ্যিক পথের (trade route) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
১৯৯৮ সালে ট্রয় ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য (UNESCO World Heritage) তালিকায় স্থান পায়।

0
Updated: 6 days ago
কোথায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবস্থিত?
Created: 6 days ago
A
লন্ডন
B
প্যারিস
C
ব্রাসেলস
D
ফ্রাঙ্কফুর্ট
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) হল ইউরো মুদ্রার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক এবং এটি মূলত ইউরোজোনের আর্থিক নীতি পরিচালনা করে। এর উদ্ভব এবং কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নিম্নরূপ:
-
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক ধারণা এসেছে ১৯৮৮ সালে, যখন Economic and Monetary Union (EMU) গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
-
১৯৯৪ সালে European Monetary Institute (EMI) প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ECB-এর পূর্বসূরী হিসেবে কাজ করে।
-
১ জুন, ১৯৯৮ সালে আমস্টারডাম চুক্তির মাধ্যমে ECB আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, EMI-এর উত্তরসূরী হিসেবে।
-
১ জানুয়ারি ১৯৯৯ সালে EU অঞ্চলে একক মুদ্রা 'ইউরো' চালু করা হয়।
-
ECB-এর সদরদপ্তর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অবস্থিত।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল কার্যাবলী হলো:
-
EU অঞ্চলে একটি স্থিতিশীল ব্যাংকিং পরিবেশ নিশ্চিত করা।
-
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
-
নিরাপদ ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
-
ইউরো নোট ইস্যু ও সরবরাহ করা।
-
ইউরো মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করা।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কিত তথ্য:
-
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদরদপ্তর স্ট্রাসবার্গ, ব্রাসেলস এবং লুক্সেমবার্গে অবস্থিত।
-
EU-এর সদর দপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে।
-
বর্তমানে EU-এর সদস্য দেশ সংখ্যা ২৭টি।

0
Updated: 6 days ago
নিম্নের কোন মতবাদে 'রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের কথা বলা হয়েছে?
Created: 3 days ago
A
মার্ক্সবাদ
B
নব্য-উদারতাবাদ
C
বাস্তববাদ
D
গঠনবাদ
বাস্তববাদ (Realism) হলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের তত্ত্ব যা রাষ্ট্র, জাতীয় স্বার্থ এবং ক্ষমতার ভূমিকা উপর জোর দেয়। এটি বোঝায় যে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রাষ্ট্রগুলো প্রধান খেলোয়াড় এবং তাদের লক্ষ্য হলো নিজেদের নিরাপত্তা ও প্রভাব বিস্তার।
-
এই তত্ত্ব অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহ তাদের শক্তি ও স্বার্থ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়।
-
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ধারা হলো ক্ষমতা ভারসাম্য (balance of power) এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
মার্ক্সবাদ (Marxism) হলো একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক দর্শন যা কার্ল মার্কস এবং ফ্রিডরিখ এঙ্গেলসের মধ্য-19শ শতাব্দীর কাজের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
-
এটি তিনটি মূল ধারণার সমষ্টি: দর্শনীয় মানবতত্ত্ব (philosophical anthropology), ইতিহাসের তত্ত্ব (theory of history), এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি (economic and political program)।
-
মার্ক্সবাদ মূলত ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ, উদ্বৃত্ত মূল্যতত্ত্ব ও শ্রেণিসংগ্রামকে কেন্দ্র করে বিকশিত হয়েছে।
-
সমাজ ও রাজনীতিকে বোঝার জন্য এটি শ্রেণি সংঘাতকে কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে দেখায়।
নব্য-উদারতাবাদ (Neoliberalism) হলো এমন একটি নীতি ও ভাবধারা যা মুক্ত বাজার প্রতিযোগিতা (free market competition) এর মূল্যকে গুরুত্ব দেয়।
-
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে রবার্ট কোহেন এই তত্ত্বের পরিচয় দেন।
-
নব্য উদারতাবাদ মনে করে যে রাষ্ট্রসমূহের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা (international organizations) অপরিহার্য।
-
এটি বিশ্বাস করে যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও নিয়মের মাধ্যমে রাষ্ট্রগুলো পারস্পরিক সুবিধা পেতে পারে।
গঠনবাদ (Constructivism) অনুসারে মানুষের আচরণ নির্ধারিত হয় তাদের পরিচয় (identity) দ্বারা, যা সমাজের মূল্যবোধ, ইতিহাস, প্রথা এবং প্রতিষ্ঠান দ্বারা গঠিত।
-
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো বিভিন্ন আদর্শ ও সামাজিক কাঠামো।
-
মানুষের আচরণ পারিপার্শ্বিক উপাদান যেমন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব দ্বারা প্রভাবিত হয়।
-
সরাসরি বলা না হলেও এই তত্ত্ব শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিকে সামগ্রিক কল্যাণকর মনে করে।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অন্যান্য তত্ত্বের মধ্যে Regime Theory, Functionalism উল্লেখযোগ্য।

0
Updated: 3 days ago