ঐতিহাসিক ২১-দফা দাবীর প্রথম দাবীটি কী ছিল?
A
বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা
B
প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন
C
পূর্ববাংলার অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ
D
বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারী উচ্ছেদ
উত্তরের বিবরণ
যুক্তফ্রন্টের ইশতেহার
-
বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিই ছিলো ঐতিহাসিক ২১ দফার প্রথম দাবি।
-
১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট তাদের নির্বাচনি ইশতেহার হিসেবে ‘একুশ দফা’ ঘোষণা করেছিলো।
-
একুশ দফা তৈরি করার ক্ষেত্রে আবুল মনসুর আহমদ ছিলেন প্রধান ভূমিকা পালনকারী।
-
একুশ দফার প্রথম দাবি ছিলো বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দাবি
-
প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন চালু করা,
-
জমিদারী প্রথা বিনা ক্ষতিপূরণে বিলুপ্ত করা,
-
অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা, ইত্যাদি।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
ঐতিহাসিক ২১ দফা দাবির প্রথম দাবি কী ছিল?
Created: 2 months ago
A
প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন
B
বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা
C
পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ
D
বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি স্বত্বের উচ্ছেদ সাধন
যুক্তফ্রন্ট তাদের ঐতিহাসিক ২১ দফার মাধ্যমে পূর্ববাংলার সাধারণ মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছিল। এই ২১ দফা ছিল পূর্ববাংলার মানুষের অধিকার সংরক্ষণের এক প্রামাণ্য দলিল, যা দ্রুত জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার মূল দাবিসমূহ:
১. বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
২. জমিদারি প্রথা বিনা ক্ষতিপূরণে বিলুপ্ত করা।
৩. পাটের বাণিজ্য সম্পূর্ণরূপে জাতীয়করণ করা।
৪. সমবায় ভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থার প্রচলন।
৫. পূর্ব পাকিস্তানে লবণ শিল্প গড়ে তোলা।
৬. কারিগর ও মুহাজিরদের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৭. বন্যা ও দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে খাল খনন ও সেচের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ।
৮. পূর্ব পাকিস্তানে শিল্প ও কারখানা প্রতিষ্ঠা করা।
৯. অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
১০. শিক্ষা ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনা।
১১. ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা।
১২. শাসনের ব্যয় কমিয়ে মন্ত্রিপরিষদের বেতন এক হাজার টাকার বেশি না করার বিধান রাখা।
১৩. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
১৪. জননিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য অর্ডিন্যান্স বাতিল করা।
১৫. বিচার বিভাগ ও প্রশাসন সম্পূর্ণ পৃথক করা।
১৬. বাংলা ভাষার উন্নয়নে বর্ধমান হাউজে বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠা।
১৭. ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতিতে স্মারক মিনার নির্মাণ।
১৮. ২১ ফেব্রুয়ারি (একুশে ফেব্রুয়ারি) শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা।
১৯. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা।
২০. আইন পরিষদের মেয়াদ কোন অবস্থাতেই বৃদ্ধি না করার ব্যবস্থা।
২১. সংসদ সদস্য পদ শূন্য হলে তিন মাসের মধ্যে উপ-নির্বাচন কার্যকর করার বিধান।
উপরোক্ত ২১ দফা ছিল পূর্ববাংলার মানুষের স্বপ্ন ও আশা পূরণের এক গুরুত্বপূর্ণ পথপ্রদর্শক। যুক্তফ্রন্টের এই দাবিগুলো পরবর্তীতে বাংলাদেশ আন্দোলনের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
উৎস: ইতিহাস ২য় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
২১ দফা কর্মসূচির মুখ্য রচয়িতা ছিলেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
আবুল মনসুর আহমদ
B
আবুল কালাম শামসুদ্দিন
C
মাওলানা আতাহার আলী
D
আবুল কাশেম
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
২১ দফা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
যুক্তফ্রন্ট
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
যুক্তফ্রন্ট ও ২১ দফা কর্মসূচি
-
গঠন: ১৯৫৩ সালে।
-
নির্বাচনী প্রতীক: নৌকা।
-
ইশতেহার: ২১ দফা কর্মসূচি, মুখ্য রচয়িতা: আবুল মনসুর আহমদ।
-
উদ্দেশ্য: গণমানুষের অধিকার নিশ্চিত করা ও পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি।
২১ দফার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
১. বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি।
২. বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি উচ্ছেদ ও ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে জমি বিতরণ।
৩. পাটের ব্যবসায় জাতীয়করণ।
৪. সমবায় কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন।
৫. পূর্ব পাকিস্তানে লবণ শিল্প প্রতিষ্ঠা।
৬. কারিগর মুহাজিরদের কাজের ব্যবস্থা।
৭. বন্যা ও দুর্ভিক্ষ রোধে খাল খনন ও সেচের ব্যবস্থা।
৮. শিল্প ও খাদ্যে স্বাবলম্বিতা।
৯. অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা।
১০. শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার।
১১. ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত করা।
১২. শাসন ব্যয় হ্রাস ও মন্ত্রীদের বেতন সীমিত করা।
১৩. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা।
১৪. জন নিরাপত্তা আইন ও অর্ডিন্যান্স বাতিল।
১৫. বিচার ও প্রশাসন বিভাগ পৃথকীকরণ।
১৬. মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ‘বর্ধমান হাউস’কে বাংলা ভাষা গবেষণাগারে পরিণত।
১৭. শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহীদ মিনার নির্মাণ।
১৮. একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ঘোষণা ও সরকারি ছুটি।
১৯. লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন।
২০. আইন পরিষদের মেয়াদ বৃদ্ধি না করা।
২১. শূন্য আসন পূরণের জন্য তিন মাসের মধ্যে উপনির্বাচন।
তথ্যসূত্র: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago
যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা কর্মসূচির মুখ্য রচয়িতা ছিলেন কে?
Created: 1 week ago
A
আবুল মনসুর আহমদ
B
শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক
C
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
D
শামসুল হক
যুক্তফ্রন্ট (১৯৫৩)
গঠনকাল: ১৯৫৩ সালে পূর্ববাংলার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে।
প্রতীক: নৌকা।
ইশতেহার: ২১ ফেব্রুয়ারির স্মৃতিকে অমর রাখতে যুক্তফ্রন্ট তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করে ঐতিহাসিক ২১ দফা কর্মসূচি।
মূল রচয়িতা: আবুল মনসুর আহমদ।
২১ দফা কর্মসূচির মূল দাবি:
বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি।
বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ ও ভূমিহীন কৃষকদের জমি বণ্টন।
পাট ব্যবসার জাতীয়করণ।
সমবায় কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন।
পূর্ব পাকিস্তানে লবণ শিল্প প্রতিষ্ঠা।
কারিগর মুহাজিরদের কর্মসংস্থান।
বন্যা ও দুর্ভিক্ষ রোধে খাল খনন ও সেচ ব্যবস্থা।
শিল্প ও খাদ্যে স্বাবলম্বিতা অর্জন।
অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা।
শিক্ষা ব্যবস্থার মৌলিক সংস্কার।
ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন।
শাসন ব্যয় হ্রাস ও মন্ত্রীদের বেতন সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা নির্ধারণ।
দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা।
জননিরাপত্তা আইন ও অর্ডিন্যান্স বাতিল।
বিচার বিভাগ ও শাসন বিভাগের পৃথকীকরণ।
মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন "বর্ধমান হাউস"কে বাংলা ভাষা গবেষণাগারে রূপান্তর।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মাণ।
একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ঘোষণা ও সরকারি ছুটি।
লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন।
আইন পরিষদের মেয়াদ বৃদ্ধি না করা।
আইন পরিষদের শূন্য আসন তিন মাসের মধ্যে উপনির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ।
তথ্যসূত্র: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago