৩য় আরব ইসরাইল যুদ্ধ সংঘটিত হয় কত সালে?
A
১৯৬৫ সালে
B
১৯৬৬ সালে
C
১৯৬৭ সালে
D
১৯৬৮ সালে
উত্তরের বিবরণ
আরব-ইসরাইল যুদ্ধের ইতিহাস জটিল এবং বিভিন্ন সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল। মোট ৪টি প্রধান আরব-ইসরাইল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, যা নিম্নরূপ:
-
১ম আরব-ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৪৮): এই যুদ্ধ ইসরায়েল ও বিভিন্ন আরব রাষ্ট্র এবং ফিলিস্তিনি আরব বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়। আরবিতে এটি নাকবা (বিপর্যয়) নামে পরিচিত, আর হিব্রুতে বলা হয় মিলখেমেত হাতজমাউত (স্বাধীনতা যুদ্ধ)। এটি ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই শুরু হয়।
-
২য় আরব-ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৫৬): সংঘটিত হয় ১৯৫৬ সালে, যা মূলত সুয়েজ নদের নিয়ন্ত্রণ ও ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে উদ্ভূত।
-
৩য় আরব-ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৬৭): এটি ১৯৬৭ সালে সংঘটিত হয় এবং মাত্র ৬ দিন স্থায়ী ছিল। যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং অঞ্চলটির ভূ-রাজনৈতিক মানচিত্রে বড় পরিবর্তন আসে।
-
৪র্থ আরব-ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৭৩): Yom Kippur War নামে পরিচিত। ইহুদিদের পবিত্র দিন ইয়ম কিপুরের সময় আরব জোট ইসরায়েল-অধিকৃত অঞ্চলে হঠাৎ হামলা চালায়। মিশরীয় ও সিরিয়ান সেনারা যথাক্রমে সিনাই উপদ্বীপ ও গোলান মালভূমিতে ঢুকে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন তখন তাদের মিত্রদের সহায়তা করে, যা দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে বৈশ্বিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

0
Updated: 3 days ago
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
বাণিজ্যিক
B
পারমানবিক শক্তি
C
অর্থনৈতিক
D
কোনটিই নয়
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের মূল কারণ
ইরান ও ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনার প্রধান কারণ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি। ইসরায়েলের দাবি, ইরান গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে চায়, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। এই কারণেই ইসরায়েল একতরফাভাবে ইরানের উপর হামলা চালায়।
যুদ্ধের শুরু ও পরিস্থিতি
-
২০২৫ সালের ১৩ জুন, ইসরায়েল হঠাৎ করেই ইরানের বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের হামলা চালায়।
-
এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানও ইসরায়েলের উপর পাল্টা হামলা শুরু করে।
-
এভাবে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হয়।
-
এরপর ২১ জুন, যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
-
অবশেষে ২৩ জুন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। ওই দিনই উভয় দেশ যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
বিশেষ অভিযান
-
ইসরায়েলের হামলার নাম ছিল ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’, যার লক্ষ্য ছিল ইরানের রাজধানী তেহরানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র ধ্বংস করা।
-
ইরানের পাল্টা হামলার নাম ছিল ‘ট্রু প্রমিজ ৩’, যেখানে তারা ইসরায়েলের কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়।
তথ্যসূত্র: CSIS ওয়েবসাইট ও The Economic Times

0
Updated: 2 months ago
ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা কোনটি?
Created: 5 days ago
A
মোসাদ
B
আমান
C
শিন বেট
D
সাভাক
ইসরায়েলের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিভিন্ন কাজ ও দায়িত্বের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
-
আমান: ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা, যা প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাধারণ সদর দপ্তরের অধীনে কাজ করে। এর মূল কাজ হলো তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে সামরিক কমান্ডকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার ইতিহাস দেশের অস্তিত্বের চেয়ে পুরনো।
-
মোসাদ: ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার প্রায় দেড় বছর পর, ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর মাসে গঠিত। এটি মূলত ইসরায়েলকে বাইরের হুমকি থেকে রক্ষা করা এবং দেশের অস্তিত্ব নিরাপদ রাখা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
-
শাবাক বা শিন বেট: গঠিত হয় ১৯৪৯ সালে, এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এ সংস্থার প্রধান দায়িত্ব। শিন বেট দাবি করে, তারা পশ্চিম তীর ও গাজা থেকে আসা হুমকির বিরুদ্ধে ‘অদৃশ্য ঢাল’ হিসেবে কাজ করে।
অন্যদিকে, ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা হলো সাভাক।

0
Updated: 5 days ago
'অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম' কোন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
ভিয়েতনাম যুদ্ধ
B
উপসাগরীয় যুদ্ধ
C
ইরাক যুদ্ধ
D
আফগান যুদ্ধ
অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম
-
‘অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম’ সংঘটিত হয় ইরাক ও ৩৪টি দেশের যৌথ বাহিনীর মধ্যে।
-
১৯৯০ সালের ২ আগস্ট ইরাক বিপুল সেনাবাহিনী নিয়ে কুয়েত আক্রমণ করে।
-
৮ আগস্ট কুয়েতকে ইরাকের ১৯তম প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
-
১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন বাহিনী।
-
উদ্দেশ্য ছিল ইরাকের আগ্রাসন থেকে কুয়েতকে মুক্ত করা।
-
২৮ ফেব্রুয়ারি ইরাকি বাহিনী পরাজয় বরণ করে।
-
এটি প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ নামেও পরিচিত।
সূত্র: প্রথম আলো ও Britannica।

0
Updated: 1 month ago