গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স- ২০২৫ অনুযায়ী, বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষ দেশ?
A
জেনেভা
B
মেলবোর্ন
C
জুরিখ
D
কোপেনহেগেন
উত্তরের বিবরণ
গ্লোবাল লিভেবিলিটি ইনডেক্স ২০২৫ প্রতি বছর ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (EIU) দ্বারা প্রকাশিত হয়, যা বিশ্বের বসবাসযোগ্য শহরগুলোর অবস্থান মূল্যায়ন করে। এই তালিকায় মোট ১৭৩টি শহরের পাঁচটি মূল মানদণ্ডের ভিত্তিতে বিচার করা হয়, যা হলো স্থিতিশীলতা (Stability), স্বাস্থ্যসেবা (Healthcare), সংস্কৃতি ও পরিবেশ (Culture & Environment), শিক্ষা (Education) এবং অবকাঠামো (Infrastructure)। ১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে ইআইইউ ২০২৫ সালের তালিকা প্রকাশ করেছে।
• শীর্ষ শহরগুলো হলো: কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক (Copenhagen, Denmark), ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া (Vienna, Austria), জুরিখ, সুইজারল্যান্ড (Zurich, Switzerland), মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া (Melbourne, Australia) এবং জেনেভা, সুইজারল্যান্ড (Geneva, Switzerland)।
• বাংলাদেশের অবস্থান ১৭১ তম।

0
Updated: 3 days ago
কোথায় ঐতিহাসিক ট্রয় নগর অবস্থিত?
Created: 6 days ago
A
ইটালি
B
গ্রীস
C
তুরস্ক
D
ফ্রান্স
ট্রয় (Troy) হলো একটি প্রাচীন নগরী যা ইতিহাস এবং সাহিত্যে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। হোমারের মহাকাব্য ইলিয়াড (Iliad)-এ এর বর্ণনা পাওয়া যায়।
-
ঐতিহাসিক ট্রয় নগরীর বর্ণনা পাওয়া যায় হোমারের Iliad-এ, যেখানে নগরী এবং ট্রোজানদের জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে।
-
মহাকাব্য অনুসারে, ট্রোজান রাজপুত্র প্যারিস (Paris) স্পার্টার রানি হেলেন (Helen) কে নাকি নিয়ে ট্রয় পালিয়ে যায়। হেলেন ছিলেন স্পার্টার রাজা মেনেলাউস (Menelaus) এর স্ত্রী।
-
প্যারিসের এ কার্যকলাপে ক্রোধান্বিত হয়ে মেনেলাউস তার ভাই আগামেমনন (Agamemnon) এর সহায়তায় ট্রয় আক্রমণ করেন।
-
গ্রিক ও ট্রোজানদের মধ্যে যুদ্ধ চলে দশ বছর (ten years) ধরে। কথিত আছে, স্বর্গের দেবতারা (gods) এই যুদ্ধের সময় দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে যুদ্ধের দিকে সমর্থন দিয়েছেন।
-
পরবর্তীতে গ্রিকদের দ্বারা ট্রয় নগরী সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
ইতিহাস অনুযায়ী:
-
ট্রয় নগরী বর্তমান তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, হেসারলিক বা আনাতোলিয়া অঞ্চলে অবস্থিত।
-
১৯শ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক ফ্র্যাঙ্ক কালভার্ট (Frank Calvert) এবং জার্মান প্রত্নতাত্ত্বিক হেনরিক শ্লিম্যান (Heinrich Schliemann) এর প্রচেষ্টায় ট্রয় নগরীর সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়।
-
ট্রয় নগরী এশিয়া ও ইউরোপের বাণিজ্যিক পথের (trade route) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
১৯৯৮ সালে ট্রয় ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য (UNESCO World Heritage) তালিকায় স্থান পায়।

0
Updated: 6 days ago
'অ্যাডামস পিক' কোন দেশে অবস্থিত?
Created: 3 days ago
A
ইসরায়েল
B
জর্ডান
C
শ্রীলঙ্কা
D
নেপাল
অ্যাডামস পিক শ্রীলঙ্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও প্রাকৃতিক স্থান, যা দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এবং বহু ধর্মাবলম্বীর কাছে পবিত্র হিসেবে বিবেচিত। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্বের কারণে পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের আকর্ষণ করে।
-
অবস্থান: অ্যাডামস পিক শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিমে, রত্নাপুরা শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।
-
উচ্চতা: এর উচ্চতা ৭,৫৫৯ ফুট (২,৩০৪ মিটার)।
-
পদচিহ্ন (Sri Pada): শীর্ষে অবস্থিত শ্রী পাদা পদচিহ্ন, যা বিভিন্ন ধর্মে ভিন্নভাবে পবিত্র মনে করা হয়। বৌদ্ধরা এটিকে বুদ্ধের, হিন্দুরা শিবের, মুসলমানরা আদমের, এবং খ্রিস্টানরা সেন্ট থমাসের পদচিহ্ন মনে করে।
-
তীর্থযাত্রা: প্রতি বছর হাজারো তীর্থযাত্রী এই শিখরে আরোহণ করে, যা ধর্মীয় এবং আত্মিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
-
প্রাকৃতিক পরিবেশ: এর চারপাশে ঘন বৃষ্টি অরণ্য রয়েছে, যা ১৯৪০ সালে পিক উইল্ডারনেস স্যাংচুয়ারি হিসেবে সংরক্ষিত হয়।
-
নদী উৎস: এই পর্বত থেকে কেলানি, কালু এবং ওয়ালাভে, শ্রীলঙ্কার তিনটি প্রধান নদী উৎপন্ন হয়।
-
ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য: পর্বতটি মূলত গ্নেইস পাথর দ্বারা গঠিত এবং এতে মূল্যবান রত্ন যেমন রুবি ও স্যাফায়ার পাওয়া যায়।
-
ঐতিহাসিক নির্মাণ: প্রাচীন রাজারা তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে রাস্তা, বিশ্রামাগার এবং লোহার শিকল নির্মাণ করেছিলেন।
-
ভ্রমণকারীর উল্লেখ: অ্যাডামস পিকের উল্লেখ আছে মার্কো পোলো, ইবনে বতুতা, মা হুয়ানসহ বহু ভ্রমণকারীর ভ্রমণবৃত্তান্তে।

0
Updated: 3 days ago
নিম্নের কোন মতবাদে 'রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের কথা বলা হয়েছে?
Created: 3 days ago
A
মার্ক্সবাদ
B
নব্য-উদারতাবাদ
C
বাস্তববাদ
D
গঠনবাদ
বাস্তববাদ (Realism) হলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের তত্ত্ব যা রাষ্ট্র, জাতীয় স্বার্থ এবং ক্ষমতার ভূমিকা উপর জোর দেয়। এটি বোঝায় যে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রাষ্ট্রগুলো প্রধান খেলোয়াড় এবং তাদের লক্ষ্য হলো নিজেদের নিরাপত্তা ও প্রভাব বিস্তার।
-
এই তত্ত্ব অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহ তাদের শক্তি ও স্বার্থ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়।
-
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ধারা হলো ক্ষমতা ভারসাম্য (balance of power) এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
মার্ক্সবাদ (Marxism) হলো একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক দর্শন যা কার্ল মার্কস এবং ফ্রিডরিখ এঙ্গেলসের মধ্য-19শ শতাব্দীর কাজের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
-
এটি তিনটি মূল ধারণার সমষ্টি: দর্শনীয় মানবতত্ত্ব (philosophical anthropology), ইতিহাসের তত্ত্ব (theory of history), এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি (economic and political program)।
-
মার্ক্সবাদ মূলত ঐতিহাসিক বস্তুবাদ, দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ, উদ্বৃত্ত মূল্যতত্ত্ব ও শ্রেণিসংগ্রামকে কেন্দ্র করে বিকশিত হয়েছে।
-
সমাজ ও রাজনীতিকে বোঝার জন্য এটি শ্রেণি সংঘাতকে কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে দেখায়।
নব্য-উদারতাবাদ (Neoliberalism) হলো এমন একটি নীতি ও ভাবধারা যা মুক্ত বাজার প্রতিযোগিতা (free market competition) এর মূল্যকে গুরুত্ব দেয়।
-
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে রবার্ট কোহেন এই তত্ত্বের পরিচয় দেন।
-
নব্য উদারতাবাদ মনে করে যে রাষ্ট্রসমূহের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা (international organizations) অপরিহার্য।
-
এটি বিশ্বাস করে যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও নিয়মের মাধ্যমে রাষ্ট্রগুলো পারস্পরিক সুবিধা পেতে পারে।
গঠনবাদ (Constructivism) অনুসারে মানুষের আচরণ নির্ধারিত হয় তাদের পরিচয় (identity) দ্বারা, যা সমাজের মূল্যবোধ, ইতিহাস, প্রথা এবং প্রতিষ্ঠান দ্বারা গঠিত।
-
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো বিভিন্ন আদর্শ ও সামাজিক কাঠামো।
-
মানুষের আচরণ পারিপার্শ্বিক উপাদান যেমন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব দ্বারা প্রভাবিত হয়।
-
সরাসরি বলা না হলেও এই তত্ত্ব শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিকে সামগ্রিক কল্যাণকর মনে করে।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অন্যান্য তত্ত্বের মধ্যে Regime Theory, Functionalism উল্লেখযোগ্য।

0
Updated: 3 days ago