কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ড্রাগন ফল উৎপাদনে বর্তমানে শীর্ষ জেলা কোনটি? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
A
ঝিনাইদহ
B
কুষ্টিয়া
C
রাজশাহী
D
যশোর
উত্তরের বিবরণ
ড্রাগন ফল উৎপাদন বিষয়ক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের উৎপাদন সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি বেশ জনপ্রিয় ফল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ড্রাগন ফল মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল, যা ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে বিভিন্ন জাত আনা হয়। এটি একটি ক্যাকটাস জাতীয় গাছ, যার কোন পাতা নেই এবং সাধারণত ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে।
• কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদনের শীর্ষে ঝিনাইদহ জেলা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এখানে উৎপাদন হয়েছে ৩২,৭৬৮ মেট্রিক টন ড্রাগন।
• উৎপাদনের দ্বিতীয় স্থানে যশোর। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এখানে উৎপাদন হয়েছে ১২,৫৫৩ মেট্রিক টন ড্রাগন।
• তৃতীয় স্থানে রাজশাহী, যেখানে উৎপাদন হয়েছে ৪,৪৭৭ মেট্রিক টন।
• বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সিটিউট (বারি) নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে, যার নাম বারি ড্রাগন ফল-১। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে জনপ্রিয়।
• এ জাতের ফলের আকার বড়, পাকলে খোসার রং লাল হয়, শাঁস গাঢ় গোলাপী রঙের, এবং ফলের প্রকৃতি রসালো।
• বীজগুলো ছোট, কালো এবং নরম।
• একটি ফলের ওজন ১৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে।

0
Updated: 3 days ago
আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি?
Created: 6 days ago
A
রাঙ্গামাটি
B
বরিশাল
C
চট্টগ্রাম
D
ময়মনসিংহ
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা বাংলাদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের একটি কেন্দ্রবিন্দু। এই জেলা পাহাড়, হ্রদ এবং বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর মিলনস্থল হিসেবে পরিচিত, যা ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়।
-
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা ২২°-২৭'' থেকে ২৩°-৪৪'' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°-৫৬'' থেকে ৯২°-৩৩'' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।
-
উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা ও মিজোরাম, দক্ষিণে বান্দরবান, পূর্বে মিজোরাম, এবং পশ্চিমে চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলা দ্বারা পরিবেষ্টিত।
-
আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ জেলা।
-
রাঙ্গামাটি দেশের একমাত্র রিক্সা বিহীন শহর, যা একটি হ্রদ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত।
-
এই জেলায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীসমূহ: চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, মুরং, বোম, খুমি, খেয়াং, চাক্, পাংখোয়া, লুসাই, সুজেসাওতাল, রাখাইন এবং বাঙালি—মোট ১৪টি জনগোষ্ঠী।
-
ইতিহাস অনুযায়ী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই তিন পার্বত্য জেলা মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠিত হয়েছিল। এই এলাকার প্রাচীন নাম ছিল কার্পাস মহল।
-
১৯৮১ সালে বান্দরবান এবং ১৯৮৩ সালে খাগড়াছড়ি পৃথক জেলা হিসেবে গঠিত হওয়ার পর, পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল অংশ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
-
প্রথাগত রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থায় এখানে চাক্মা সার্কেল চীফ দায়িত্বে থাকেন।
-
চাক্মা রাজা হলেন নিয়মতান্ত্রিক চাক্মা সার্কেল চীফ।

0
Updated: 6 days ago
বোরো ধান উৎপাদনে শীর্ষ জেলা কোনটি?
Created: 4 days ago
A
কুমিল্লা
B
দিনাজপুর
C
পাবনা
D
ময়মনসিংহ
বাংলাদেশে ধান উৎপাদন দেশের কৃষির মূল ভিত্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের অধিকাংশ জমিই ধান চাষের আওতাভুক্ত, যা খাদ্যনিরাপত্তা ও অর্থনীতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। নিচে ধান উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো—
-
বাংলাদেশের মোট আবাদযোগ্য জমির প্রায় ৮০-৮৫ ভাগ অংশে ধান চাষ করা হয়।
-
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, জেলাভিত্তিক উৎপাদনে ময়মনসিংহ জেলা সর্বাধিক ধান উৎপন্ন করে।
-
বিভাগীয়ভাবে ধান উৎপাদনে রংপুর বিভাগ দেশের শীর্ষে অবস্থান করছে।
-
আউশ ধান উৎপাদনে শীর্ষ জেলা হলো কুমিল্লা।
-
আমন ধান উৎপাদনে সর্বাধিক অবদান রাখে দিনাজপুর জেলা।
-
বোরো ধান উৎপাদনে আবারও শীর্ষস্থানে রয়েছে ময়মনসিংহ জেলা।

0
Updated: 4 days ago
দেশের মোট রপ্তানিকৃত আলুর বেশিরভাগ কোন দেশে রপ্তানি হয়? [অক্টোবর, ২০২৫]
Created: 3 days ago
A
সিঙ্গাপুর
B
ভুটান
C
শ্রীলঙ্কা
D
মালয়েশিয়া
বাংলাদেশ দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে আলু রপ্তানি করছে এবং দেশের মোট রপ্তানিকৃত আলুর বড় অংশ মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাজারে আলুর চাহিদা রয়েছে এবং এটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
-
রপ্তানি প্রধান দেশ: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের আলুর প্রায় ৮০ শতাংশ মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হয়।
-
অন্যান্য গন্তব্য: সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন এবং মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে আলু রপ্তানি করা হচ্ছে। পূর্বে রাশিয়াতেও রপ্তানি হতো, কিন্তু বর্তমানে সেখানে আলুর চাহিদা কমেছে। এখন পর্যন্ত মোট ১৪টি দেশে বাংলাদেশের আলু পৌঁছেছে।
-
রপ্তানির পরিমাণ: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে মোট ৬২,১৩৫ টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে।
-
চাষের এলাকা: একই অর্থবছরে আলু চাষ হয়েছে রেকর্ড ৫.২৪ লাখ হেক্টর জমিতে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।
-
রপ্তানিযোগ্য জাত: রপ্তানির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত আলুর জাত হলো ‘গ্রানোলা’, ‘ডায়মন্ড-৭’ এবং ‘ম্যাজেস্টিক’।

0
Updated: 3 days ago