বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু হয় কত সালে?
A
১৯৯১ সালে
B
১৯৯২ সালে
C
১৯৯৫ সালে
D
১৯৯৬ সালে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলো একটি বিশেষ শাসন ব্যবস্থা, যা নির্বাচিত দুইটি সরকারের মধ্যে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য স্থাপন করা হয়। এই সময়কালে, অনির্বাচিত উপদেষ্টা বা ব্যক্তিবর্গ দেশ শাসনভার গ্রহণ করে, যাতে নির্বাচনের সুবিচার ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।
-
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রথমবার ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনের মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়, বিএনপি সরকারের পদত্যাগের পর।
-
১৯৯৬ সালে সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হয়।
-
প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
-
উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্য ছিলেন: ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অধ্যাপক মো. শামসুল হক, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, শেগুফতা বখত চৌধুরী, এ জেড এম নাছিরুদ্দিন, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, অধ্যাপক নাজমা চৌধুরী এবং মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রহমান খান।
-
এই সরকার মোট ৮৬ দিন ক্ষমতায় ছিল এবং ১৯৯৬ সালের ১২ জুন জাতীয় সংসদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে।
-
অবশেষে, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখযোগ্য:
-
১৯৯০ সালে সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর, নির্দলীয় প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব পালনের জন্য।
-
সেই সরকারের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
পরবর্তীতে, ৩০ জুন ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’ সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা হয়।

0
Updated: 3 days ago
প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় 'বিকল্প সরকার' বলতে কী বোঝায়?
Created: 3 weeks ago
A
বিরোধী দল
B
সুশীল সমাজ
C
সরকারি দল
D
লোকপ্রশাসন বিভাগ
বিরোধী দল
প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে বিরোধী দলকে প্রায়শই ‘বিকল্প সরকার’ বলা হয়। উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিরোধী দল কেবল সমালোচনার ভূমিকায় সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং সরকারি দলের মতোই একটি ছায়া মন্ত্রিসভা গঠন করে।
বিরোধী দলের ভূমিকা
-
সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রয়োজনে সমালোচনা করে।
-
সরকারের সিদ্ধান্ত যেন স্বৈরাচারী বা দুর্নীতিপরায়ণ না হয়, সেজন্য বিকল্প নীতি ও মতামত প্রদান করে।
-
ছায়া সরকার বা বিকল্প সরকারের ভূমিকায় থেকে জনগণের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর চাপ সৃষ্টি করে।
-
এভাবে বিরোধী দল গণতন্ত্রকে সক্রিয় ও জবাবদিহিমূলক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে বর্তমান সময়ে অনেক দেশে গণতন্ত্রকে প্রায়ই দলীয় শাসন হিসেবেই দেখা যায়, যেখানে বিরোধী দলের কার্যকর ভূমিকা সীমিত হতে পারে।

0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা -
Created: 4 days ago
A
প্রধান বিচারপতি
B
আইনমন্ত্রী
C
আইন সচিব
D
অ্যাটর্নি জেনারেল
বাংলাদেশের সংবিধানে অ্যাটর্নি জেনারেল পদের গুরুত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তিনি রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে সরকারের পক্ষে আদালতে আইনগত বিষয় উপস্থাপন করেন। এই পদ সংবিধানের চতুর্থ ভাগের নির্বাহী বিভাগের ৫ম পরিচ্ছেদে, অনুচ্ছেদ ৬৪-এ বর্ণিত হয়েছে। নিচে অ্যাটর্নি জেনারেল সম্পর্কিত মূল তথ্য ও তাঁর ক্ষমতা ও দায়িত্বের বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো—
-
বাংলাদেশে গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের একজন অ্যাটর্নি জেনারেল থাকবেন।
-
তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা (Chief Legal Officer) হিসেবে রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষে court proceedings-এ আইনগত দিক উপস্থাপন করেন।
-
রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্য কোনো ব্যক্তিকে Attorney General পদে নিয়োগ দেন।
-
তিনি রাষ্ট্রপতির satisfaction অনুযায়ী সময় পর্যন্ত দায়িত্বে বহাল থাকেন এবং রাষ্ট্রপতি নির্ধারিত remuneration বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করেন।
-
Attorney General রাষ্ট্রপতির কাছে written and signed resignation letter জমা দিয়ে পদত্যাগ করতে পারেন।
-
তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকের মতোই status and privileges ভোগের অধিকারী হন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি:
-
তিনি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত সকল duties and responsibilities পালন করেন।
-
তাঁর অধিকার আছে বাংলাদেশের সকল courts of law-এ বক্তব্য উপস্থাপন করার।
-
তিনি legal advisor to the Government of Bangladesh হিসেবে কাজ করেন এবং রাষ্ট্র ও সরকারের আইনগত বিষয়সমূহে পরামর্শ প্রদান করেন।

0
Updated: 4 days ago
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কতজন নারী উপদেষ্টা রয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
২ জন
B
৩ জন
C
৪ জন
D
৫ জন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (২০২৪)
-
গঠন: ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, ৮ আগস্ট ২০২৪ সালে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
-
নেতৃত্ব: নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে।
-
শপথ গ্রহণ: রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন কর্তৃক বঙ্গভবনে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।
-
উপদেষ্টা সংখ্যা: মোট ২৩ জন।
-
নারী উপদেষ্টা: ৪ জন — ফরিদা আখতার, নূরজাহান বেগম, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শারমীন এস মুরশিদ।

0
Updated: 2 weeks ago