বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোন দিনটিকে 'জাতীয় চা দিবস' হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে?
A
৪ মে
B
২১ মে
C
২২ জুন
D
২৪ জুন
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় চা দিবস সম্পর্কে তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এই দিবসের তারিখ ও প্রেক্ষাপট সম্প্রতি পরিবর্তিত হয়েছে। পূর্বে দেশের মধ্যে জাতীয় চা দিবস প্রতি বছর ৪ জুন পালন করা হতো, কিন্তু বর্তমানে এটি আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তন করা হয়েছে।
-
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ২১ মে 'জাতীয় চা দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেছে।
-
১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জাতীয় চা পুরস্কার নীতিমালা, ২০২২ সংশোধনের মাধ্যমে এই দিবসের তারিখ পরিবর্তন করেছে।
-
এতদিন ৪ জুন জাতীয় চা দিবস পালন করা হতো।
-
নতুন তারিখটি আন্তর্জাতিক চা দিবসের সঙ্গে মিলিয়ে পরিবর্তন করা হয়েছে।
-
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ২১ মে International Tea Day হিসেবে পালন করছে।
-
চা উৎপাদনকারী দেশগুলোও ২১ মে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করে থাকে। বিশ্বের অন্যান্য চা উৎপাদনকারী দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশও এই দিনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করেছে।

0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য কয়টি?
Created: 6 days ago
A
৯ (নয়) টি
B
১০ (দশ) টি
C
১১ (এগার) টি
D
১২ (বার) টি
জিআই (GI) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হলো এমন একটি স্বীকৃতি যা কোনো পণ্যকে তার উৎপাদনভূমি বা ভৌগোলিক এলাকার সাথে সংযুক্ত করে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে। এটি পণ্যের মান, স্বাতন্ত্র্য এবং উৎস নিশ্চিত করে।
WIPO (World Intellectual Property Organization) হলো সেই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
জিআই এর পূর্ণরূপ হলো Geographical Indication।
-
বাংলাদেশের একাদশ GI পণ্য হলো ফজলি আম, যা দেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত আমের মধ্যে অন্যতম।
-
ফজলি আমের বৈশিষ্ট্য: এটি বাংলাদেশের উৎপাদিত আমের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির। ফল গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালে এই আমটি জিআই নিবন্ধন পায়। একক ফজলি আম লম্বায় ১২ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থে ৫ সেন্টিমিটারের বেশি হয়।
-
এর আগে, বাগদা চিংড়ি ২০১৯ সালে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে অন্য কোনো দেশ বাগদা চিংড়িকে তাদের পণ্য হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর সম্প্রতি এই স্বীকৃতি প্রদান করেছে। জিআই স্বীকৃতির জন্য মৎস্য অধিদফতর মে ২০১৯-এ আবেদন করেছিল।
-
বাংলাদেশের GI পণ্য সমূহ:
১. জামদানি
২. ইলিশ
৩. চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম
৪. বিজয়পুরের সাদা মাটি
৫. দিনাজপুরের কাটারীভোগ
৬. কালিজিরা
৭. রংপুরের শতরঞ্জি
৮. রাজশাহী সিল্ক
৯. ঢাকাই মসলিন
১০. বাগদা চিংড়ি
১১. ফজলি আম

0
Updated: 6 days ago
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ড্রাগন ফল উৎপাদনে বর্তমানে শীর্ষ জেলা কোনটি? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 3 days ago
A
ঝিনাইদহ
B
কুষ্টিয়া
C
রাজশাহী
D
যশোর
ড্রাগন ফল উৎপাদন বিষয়ক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের উৎপাদন সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি বেশ জনপ্রিয় ফল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ড্রাগন ফল মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল, যা ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে বিভিন্ন জাত আনা হয়। এটি একটি ক্যাকটাস জাতীয় গাছ, যার কোন পাতা নেই এবং সাধারণত ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে।
• কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদনের শীর্ষে ঝিনাইদহ জেলা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এখানে উৎপাদন হয়েছে ৩২,৭৬৮ মেট্রিক টন ড্রাগন।
• উৎপাদনের দ্বিতীয় স্থানে যশোর। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এখানে উৎপাদন হয়েছে ১২,৫৫৩ মেট্রিক টন ড্রাগন।
• তৃতীয় স্থানে রাজশাহী, যেখানে উৎপাদন হয়েছে ৪,৪৭৭ মেট্রিক টন।
• বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সিটিউট (বারি) নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে, যার নাম বারি ড্রাগন ফল-১। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে জনপ্রিয়।
• এ জাতের ফলের আকার বড়, পাকলে খোসার রং লাল হয়, শাঁস গাঢ় গোলাপী রঙের, এবং ফলের প্রকৃতি রসালো।
• বীজগুলো ছোট, কালো এবং নরম।
• একটি ফলের ওজন ১৫০ থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে।

0
Updated: 3 days ago
দেশের কোন জেলায় সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত?
Created: 6 days ago
A
চট্টগ্রাম
B
ফেনী
C
নরসিংদী
D
ময়মনসিংহ
দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ময়মনসিংহে অবস্থিত এবং এটি দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎস হিসেবে কাজ করছে।
এই কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
-
দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সুতিয়াখালীতে অবস্থিত।
-
বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে এইচ ডি এফ সি সিন পাওয়ার লিমিটেড ১৭৪ একর জমির ওপর ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশ বান্ধব সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
-
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান Huawei Smart Photovoltaic (PV) Install এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র যুক্ত হয়েছে।
-
এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ৭৩ মেগাওয়াট, যা দেশের পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 6 days ago