দেশের মোট রপ্তানিকৃত আলুর বেশিরভাগ কোন দেশে রপ্তানি হয়? [অক্টোবর, ২০২৫]
A
সিঙ্গাপুর
B
ভুটান
C
শ্রীলঙ্কা
D
মালয়েশিয়া
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে আলু রপ্তানি করছে এবং দেশের মোট রপ্তানিকৃত আলুর বড় অংশ মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাজারে আলুর চাহিদা রয়েছে এবং এটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
-
রপ্তানি প্রধান দেশ: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের আলুর প্রায় ৮০ শতাংশ মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হয়।
-
অন্যান্য গন্তব্য: সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন এবং মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে আলু রপ্তানি করা হচ্ছে। পূর্বে রাশিয়াতেও রপ্তানি হতো, কিন্তু বর্তমানে সেখানে আলুর চাহিদা কমেছে। এখন পর্যন্ত মোট ১৪টি দেশে বাংলাদেশের আলু পৌঁছেছে।
-
রপ্তানির পরিমাণ: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে মোট ৬২,১৩৫ টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে।
-
চাষের এলাকা: একই অর্থবছরে আলু চাষ হয়েছে রেকর্ড ৫.২৪ লাখ হেক্টর জমিতে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।
-
রপ্তানিযোগ্য জাত: রপ্তানির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত আলুর জাত হলো ‘গ্রানোলা’, ‘ডায়মন্ড-৭’ এবং ‘ম্যাজেস্টিক’।

0
Updated: 3 days ago
দেশের কোন জেলায় সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত?
Created: 6 days ago
A
চট্টগ্রাম
B
ফেনী
C
নরসিংদী
D
ময়মনসিংহ
দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ময়মনসিংহে অবস্থিত এবং এটি দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎস হিসেবে কাজ করছে।
এই কেন্দ্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
-
দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সুতিয়াখালীতে অবস্থিত।
-
বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে এইচ ডি এফ সি সিন পাওয়ার লিমিটেড ১৭৪ একর জমির ওপর ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পরিবেশ বান্ধব সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
-
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান Huawei Smart Photovoltaic (PV) Install এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র যুক্ত হয়েছে।
-
এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ৭৩ মেগাওয়াট, যা দেশের পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 6 days ago
বাংলাদেশের একমাত্র পোস্টাল একাডেমি কোথায় অবস্থিত?
Created: 3 days ago
A
কুমিল্লা
B
গাজীপুর
C
মুন্সীগঞ্জ
D
রাজশাহী
বাংলাদেশের একমাত্র Postal Academy অবস্থিত রাজশাহীতে, যা দেশের ডাক বিভাগের মানব সম্পদ উন্নয়ন ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। জাতীয় পর্যায়ে ডাক বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই একাডেমির প্রতিষ্ঠা করা হয়।
-
প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস: ১৯৮২ সালে Postal Academy, Rajshahi-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে। ১৯৮৬ সালে এটি বর্তমান রূপে পুনঃগঠিত ও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। তবে একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয় স্বাধীনতার পরপরই, এবং ১৯৭৪ সালে এর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
-
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম: প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত একাডেমি প্রায় ৬০০টি প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করেছে, যেখানে ৬,০০০-এরও বেশি প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এসব কোর্সের মধ্যে রয়েছে Induction Course, Postal Management Course, Human Resource Management, Financial Management, Marketing এবং Public Relations সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ।
-
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কম্পিউটার বিষয়ে কিছু Basic Training Courses চালু হয়েছে। এছাড়া এখন একাডেমির প্রশিক্ষণ সূচিতে BCS Cadre Officers-দের জন্য Foundation Training Course সংযোজিত হয়েছে।
-
Vision: “জনস্বার্থে নিবেদিত, দেশপ্রেমিক, যোগ্য ও পেশাদার সুশীল সেবক তৈরির একটি আদর্শ কেন্দ্র হয়ে উঠা।”
-
Mission:
১। গুণগত মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করা।
২। জনগণকে সেবা প্রদানের পদ্ধতিতে উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে গবেষণা পরিচালনা, প্রকাশনা কার্যক্রম এবং পরামর্শ সেবা প্রদান করা।

0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য কয়টি?
Created: 6 days ago
A
৯ (নয়) টি
B
১০ (দশ) টি
C
১১ (এগার) টি
D
১২ (বার) টি
জিআই (GI) বা ভৌগোলিক নির্দেশক হলো এমন একটি স্বীকৃতি যা কোনো পণ্যকে তার উৎপাদনভূমি বা ভৌগোলিক এলাকার সাথে সংযুক্ত করে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে। এটি পণ্যের মান, স্বাতন্ত্র্য এবং উৎস নিশ্চিত করে।
WIPO (World Intellectual Property Organization) হলো সেই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
জিআই এর পূর্ণরূপ হলো Geographical Indication।
-
বাংলাদেশের একাদশ GI পণ্য হলো ফজলি আম, যা দেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত আমের মধ্যে অন্যতম।
-
ফজলি আমের বৈশিষ্ট্য: এটি বাংলাদেশের উৎপাদিত আমের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকৃতির। ফল গবেষণা ইনস্টিটিউট, রাজশাহীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালে এই আমটি জিআই নিবন্ধন পায়। একক ফজলি আম লম্বায় ১২ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থে ৫ সেন্টিমিটারের বেশি হয়।
-
এর আগে, বাগদা চিংড়ি ২০১৯ সালে জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। এর মাধ্যমে অন্য কোনো দেশ বাগদা চিংড়িকে তাদের পণ্য হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর সম্প্রতি এই স্বীকৃতি প্রদান করেছে। জিআই স্বীকৃতির জন্য মৎস্য অধিদফতর মে ২০১৯-এ আবেদন করেছিল।
-
বাংলাদেশের GI পণ্য সমূহ:
১. জামদানি
২. ইলিশ
৩. চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম
৪. বিজয়পুরের সাদা মাটি
৫. দিনাজপুরের কাটারীভোগ
৬. কালিজিরা
৭. রংপুরের শতরঞ্জি
৮. রাজশাহী সিল্ক
৯. ঢাকাই মসলিন
১০. বাগদা চিংড়ি
১১. ফজলি আম

0
Updated: 6 days ago