কত তারিখে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়?
A
৪ আগস্ট, ২০২৪
B
৫ আগস্ট, ২০২৪
C
৪ আগস্ট, ২০২৫
D
৫ আগস্ট, ২০২৫
উত্তরের বিবরণ
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ হলো ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঐতিহাসিক দলিল, যার মাধ্যমে এই অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করা হয়েছে।
এটি দেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের দলিল হিসেবে বিবেচিত।
-
এই ঘোষণাপত্রের উদ্দেশ্য হলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে শুধু একটি রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, বরং রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত একটি গণআন্দোলন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
-
অন্যদিকে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ হচ্ছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের প্রতীকস্বরূপ একটি দলিল।
-
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
-
ঘোষণাপত্রে মোট ২৮টি ধারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
-
এই ২৮ দফায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, “বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।”

0
Updated: 3 days ago
কতজন নারীকে 'জুলাই কন্যা অ্যাওয়ার্ড-২০২৫' প্রদান করা হয়?
Created: 1 month ago
A
২২ জন
B
৭৬ জন
C
৮৮ জন
D
১০০ জন
জুলাই কন্যা অ্যাওয়ার্ড ২০২৫
-
সম্মাননা প্রদান: জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ১০০ জন নারী ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে "জুলাই কন্যা অ্যাওয়ার্ড ২০২৫" তুলে দেওয়া হয়।
-
তারিখ ও স্থান: ৮ আগস্ট ২০২৫, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তন।
-
আয়োজক: জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশন।
-
সভাপতি: অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি জান্নাতুন নাঈম প্রমী।
-
অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য:
-
নির্বাচিত ১০০ নারীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
-
তাদের জীবন ও কর্মভিত্তিক সাফল্যের গল্প শ্রোতাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়, যাতে অন্য নারীরা অনুপ্রাণিত হতে পারেন।
-
উৎস: প্রথম আলো

0
Updated: 1 month ago
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয় কোন দাবিতে?
Created: 3 weeks ago
A
দ্রব্যমূল্য হ্রাস
B
তত্ত্বাবধায়ক সরকার
C
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার
D
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল
২০২৪ সালে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহারের বিরোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়।
-
আন্দোলনের শুরু হয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ২০২৪ সালের জুনের রায়ের পর, যখন পুরনো ৫৬% কোটা পুনর্বহাল করা হয়।
-
শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সিদ্ধান্তে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং তা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রূপ নেয়।
-
সরকার আন্দোলন দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডার ব্যবহার করলে জনরোষ আরও তীব্র হয়।
-
আন্দোলনকারীরা “জুলাই বিপ্লব” নামে গণজাগরণ শুরু করে, যা পরবর্তীতে “মার্চ টু ঢাকা” কর্মসূচিতে রূপান্তরিত হয়।
-
৫ আগস্ট ২০২৪ এই আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয় এবং শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করে।
-
এই অভ্যুত্থানের ফলে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার প্রধান হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সূত্র:

0
Updated: 3 weeks ago
দেশের প্রথম 'জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ' কোথায় উদ্বোধন করা হয়েছে?
Created: 3 days ago
A
রাজশাহী
B
নারায়ণগঞ্জ
C
কুমিল্লা
D
ঢাকা
দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ অবস্থিত নারায়ণগঞ্জে। এটি নির্মিত হয়েছে ২১ জন শহীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে, যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন। এই স্মৃতিস্তম্ভটি বাংলাদেশের ইতিহাসে জুলাই আন্দোলনের স্মরণে গৃহীত প্রথম জাতীয় স্থাপনা হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
-
১৪ জুলাই ২০২৫ সালে নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভটির উদ্বোধন করা হয়।
-
উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা—
১. আইন উপদেষ্টা: ড. আসিফ নজরুল
২. শিল্প উপদেষ্টা: আদিলুর রহমান খান
৩. শিক্ষা উপদেষ্টা: অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার
৪. রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা: ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান
৫. পরিবেশ উপদেষ্টা: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান -
বৈষম্যের বিরুদ্ধে টানা ৩৬ দিনের আন্দোলনে, অর্থাৎ ৩৬ জুলাই পর্যন্ত, নারায়ণগঞ্জে ৫৬ জন শহীদ ও ৩৭০ জন আহত হন।
-
নিহতদের মধ্যে ২১ জন ছিলেন নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা, যাদের নামেই এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত।
-
শহীদদের স্মরণে এই স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণে উদ্যোগ নেয় সরকার, যার বাস্তবায়ন করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
-
স্থাপত্য নকশায় দেশের জাতীয় সংগ্রামের প্রতীক ও আন্দোলনের চেতনা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
-
স্মৃতিস্তম্ভটি এখন নারায়ণগঞ্জবাসীসহ সারাদেশের মানুষের শ্রদ্ধা ও স্মৃতিচারণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
-
এটি শুধু একটি স্মারক নয়, বরং ন্যায়, সমতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য জনগণের ত্যাগের চিরস্থায়ী সাক্ষ্য বহন করছে।

0
Updated: 3 days ago