বাংলাদেশের একমাত্র পোস্টাল একাডেমি কোথায় অবস্থিত?
A
কুমিল্লা
B
গাজীপুর
C
মুন্সীগঞ্জ
D
রাজশাহী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের একমাত্র Postal Academy অবস্থিত রাজশাহীতে, যা দেশের ডাক বিভাগের মানব সম্পদ উন্নয়ন ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে। জাতীয় পর্যায়ে ডাক বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই একাডেমির প্রতিষ্ঠা করা হয়।
-
প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস: ১৯৮২ সালে Postal Academy, Rajshahi-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে। ১৯৮৬ সালে এটি বর্তমান রূপে পুনঃগঠিত ও পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। তবে একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয় স্বাধীনতার পরপরই, এবং ১৯৭৪ সালে এর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
-
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম: প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত একাডেমি প্রায় ৬০০টি প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করেছে, যেখানে ৬,০০০-এরও বেশি প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এসব কোর্সের মধ্যে রয়েছে Induction Course, Postal Management Course, Human Resource Management, Financial Management, Marketing এবং Public Relations সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ।
-
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কম্পিউটার বিষয়ে কিছু Basic Training Courses চালু হয়েছে। এছাড়া এখন একাডেমির প্রশিক্ষণ সূচিতে BCS Cadre Officers-দের জন্য Foundation Training Course সংযোজিত হয়েছে।
-
Vision: “জনস্বার্থে নিবেদিত, দেশপ্রেমিক, যোগ্য ও পেশাদার সুশীল সেবক তৈরির একটি আদর্শ কেন্দ্র হয়ে উঠা।”
-
Mission:
১। গুণগত মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করা।
২। জনগণকে সেবা প্রদানের পদ্ধতিতে উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে গবেষণা পরিচালনা, প্রকাশনা কার্যক্রম এবং পরামর্শ সেবা প্রদান করা।

0
Updated: 3 days ago
ট্যারিফ কমিশন কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
Created: 4 days ago
A
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
B
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
C
শিল্প মন্ত্রণালয়
D
অর্থ মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা দেশের শিল্পখাতকে সুরক্ষা প্রদান ও বাণিজ্যিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিচে এর কার্যক্রম ও কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো—
-
ট্যারিফ কমিশন প্রথমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি দপ্তর হিসেবে কাজ শুরু করে ২৮ জুলাই ১৯৭৩ তারিখে, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।
-
পরবর্তীতে, ১৯৯২ সালের নভেম্বরে, এটি বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন ১৯৯২ (আইন নং ৪৩, ১৯৯২) অনুসারে পূর্ণাঙ্গভাবে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন নামে পুনর্গঠিত হয়।
-
বর্তমানে এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত বিধিবদ্ধ সংস্থা, যা দেশের স্থানীয় শিল্পকে unfair competition বা অসম প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করা এবং তাদের যথাযথ protection and preservation নিশ্চিত করার কাজ করে।
-
সংস্থাটির পূর্ণ নাম বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট।
-
এর প্রধান একজন চেয়ারম্যান, যিনি সরকারের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা।
-
কমিশনটি মূলত তিনটি শাখায় বিভক্ত—
-
বাণিজ্য নীতিমালা (Trade Policy)
-
বাণিজ্য প্রতিকার (Trade Remedies)
-
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা শাখা (International Cooperation Division)
-
-
প্রতিটি শাখা একজন সদস্য (Member) দ্বারা পরিচালিত হয়।
-
এছাড়াও একটি প্রশাসনিক শাখা (Administrative Division) রয়েছে, যা কমিশনের সচিব (Secretary) দ্বারা পরিচালিত হয়।

0
Updated: 4 days ago
জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬ অনুযায়ী, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (ADP) জিডিপির কত শতাংশ?
Created: 4 days ago
A
৩.১%
B
৩.৭%
C
৪.৩%
D
৫.৮%
জাতীয় বাজেট ২০২৫–২৬ অর্থবছরের সামগ্রিক চিত্রটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দিকনির্দেশনা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দেয়। এই বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো একটি বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। নিচে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো—
-
বাজেটের ক্রম: এটি বাংলাদেশের ৫৪তম জাতীয় বাজেট, অন্তবর্তীকালীন বাজেটসহ এটি ৫৫তম।
-
বাজেটের শিরোনাম: ‘বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়’।
-
বাজেট উত্থাপনকারী: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেটটি উপস্থাপন করেন।
-
বাজেট উত্থাপনের তারিখ: ২ জুন, ২০২৫।
-
বাজেট অনুমোদনের তারিখ: ২২ জুন, ২০২৫।
-
বাজেট কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১ জুলাই, ২০২৫।
-
জিডিপির আকার: ৬২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উৎপাদনক্ষমতাকে নির্দেশ করে।
-
জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৫%, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
-
বাজেটের মোট আকার: ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
-
অনুদান ব্যতীত বাজেট ঘাটতি: ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা।
-
অনুদানসহ বাজেট ঘাটতি: ২ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা।
-
সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রাপ্ত খাত (পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট): জনপ্রশাসন খাত।
-
উন্নয়ন বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ: পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে, যা অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতি সরকারের গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।
-
অনুন্নয়ন (পরিচালন) বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ: সুদ খাতে, যা ঋণ পরিশোধের ব্যয় বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
-
মাথাপিছু আয়: ২,৮২০ মার্কিন ডলার, যা দেশের মানুষের গড় আয় নির্দেশ করে।
-
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (ADP): ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির প্রায় ৩.৭%।
-
উন্নয়ন বাজেটে মোট বরাদ্দ: ২,৪৫,৬০৯ কোটি টাকা।
-
অনুমিত মুদ্রাস্ফীতির হার: ৬.৫%, যা মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্য নির্দেশ করে।

0
Updated: 4 days ago
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ক্যাডার সংখ্যা কয়টি?(অক্টোবর, ২০২৫)
Created: 4 days ago
A
২৬টি
B
২৭টি
C
২৮টি
D
২৯টি
বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিস ক্যাডার দেশের প্রশাসনিক কাঠামো পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি জাতীয় মানব সম্পদ পরিকল্পনা ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। এই ক্যাডার সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো হলো—
-
বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন হলো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যা প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন সরকারি পদে নিযুক্তির জন্য যোগ্য এবং উপযুক্ত ব্যক্তি নির্বাচন করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
-
প্রতিষ্ঠানটি দেশের জনপ্রশাসন ব্যবস্থায় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এবং মানব সম্পদ পরিকল্পনায় উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যেমন অন্যান্য দেশের প্রতিরূপ সংস্থাসমূহ।
-
কর্ম কমিশন দেশব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা আয়োজন করে, যার মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের সরকারি চাকরিতে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হয়।
-
বাংলাদেশে মোট ২৬টি সিভিল সার্ভিস ক্যাডার রয়েছে।

0
Updated: 4 days ago