কোন বংশের শাসনামলে 'অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা' রচিত হয়?
A
পাল
B
সেন
C
গুপ্ত
D
কুষাণ
উত্তরের বিবরণ
পাল বংশের শাসনামলে ‘অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা’ রচিত হয়, যা বাংলা ও ভারতীয় শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত। এই সময়েই পাল চিত্রকলার সূচনা ও বিকাশ ঘটে, যা আজও বাংলার প্রাচীন শিল্পরীতির এক মূল্যবান নিদর্শন।
মূল তথ্যগুলো নিচে তুলে ধরা হলো—
-
পাল রাজা প্রথম মহীপালের (খ্রিস্টীয় ৯৮৩) ষষ্ঠ রাজ্যাঙ্কে তালপাতার উপর অঙ্কিত বৌদ্ধ গ্রন্থ ‘অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা’ পান্ডুলিপির বারোটি রঙিন চিত্র পাওয়া যায়। এগুলোকে বঙ্গীয় চিত্রকলার প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়।
-
বর্তমানে এই দুর্লভ পান্ডুলিপিটি কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটিতে সংরক্ষিত আছে।
-
প্রথম মহীপালের রাজত্বকাল থেকেই আরও দুটি চিত্রায়িত পান্ডুলিপি পাওয়া যায়, যদিও সেগুলো পরবর্তী সময়ের রচনা।
-
এর পরবর্তী প্রায় দুই শতাব্দীতে আরও বহু চিত্রসম্বলিত পান্ডুলিপি রচিত হয়।
-
যেহেতু এসব পান্ডুলিপি পাল রাজাদের সময়কালে চিত্রাঙ্কিত হয়েছে, তাই এগুলিকে ‘Pala Miniature Paintings’ বলা হয়।
-
এ চিত্রগুলোর শিল্পরীতি ও আঁকার দক্ষতা এতই উন্নত ছিল যে, এগুলোকে বাংলার প্রাচীন শিল্পরূপের প্রথম দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরা কঠিন। এটি বোঝায় যে, এর পেছনে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও শিল্প ঐতিহ্যের প্রভাব কাজ করেছে।
-
চিত্রকলা সহজেই নষ্ট হয়ে যায় বলে পাল-পূর্ব যুগের কোনো চিত্রালঙ্কৃত পান্ডুলিপি পূর্ব ভারতে এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য—
-
এই গ্রন্থটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার ও অনুকরণীয়।
-
এটি একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীতে রচিত বলে ধারণা করা হয়।
-
এতে ৮,০০০ লাইন বা Eight Thousand Lines এ লেখা রয়েছে, যার প্রতিটি পৃষ্ঠায় দেব-দেবীর রঙিন চিত্র অঙ্কিত। এক পাণ্ডুলিপিতে ৬টি পৃষ্ঠা, আরেকটিতে ৪৯টি পৃষ্ঠা রয়েছে, যেখানে ৪৯টি দেবদেবীর রঙিন প্রতিকৃতি দেখা যায়।
-
ইংরেজিতে এর অনুবাদ হলো “Perfection of Wisdom in Eight Thousand Lines”, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘পরিপূর্ণ জ্ঞানের আট হাজার পঙ্ক্তি’।
-
শব্দার্থ অনুযায়ী—
-
‘অষ্ট’ মানে আট
-
‘সাহস্রিকা’ মানে হাজার
-
‘প্রজ্ঞা’ মানে জ্ঞান
-
‘পারমিতা’ মানে কর্তব্য বা নৈতিক পরিপূর্ণতা
অর্থাৎ ‘অষ্টসাহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা’ শব্দটির সারমর্ম দাঁড়ায় “আট হাজার জ্ঞানের পরিপূর্ণ শিক্ষা বা বোধ।”
-

0
Updated: 3 days ago
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 3 weeks ago
A
ধর্মপাল
B
দেবপাল
C
গোপাল
D
মহীপাল
বাংলায় ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত অরাজক পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে জনগণ গোপালকে রাজা হিসেবে নির্বাচিত করে।
পাল বংশ:
-
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল।
-
পাল রাজারা বাংলা ও বিহার অঞ্চলে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশ বছর শাসন করেন।
-
নৈরাজ্য ও চরম অরাজকতার হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করে গোপাল এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর সপ্তম শতকের মাঝামাঝি থেকে অষ্টম শতক পর্যন্ত বাংলায় এক অন্ধকার যুগ বিরাজ করছিল।
-
বাংলার ইতিহাসে এই সময়কালকে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে খ্যাত।
-
‘মাৎস্যন্যায়’ একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ অরাজক পরিস্থিতি।
-
অরাজকতা ও রাষ্ট্রহীনতার অবসান ঘটিয়ে বাংলায় পাল বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
শত বছরের হানাহানির অবসান ঘটে যখন গোপাল রাজা হন।
সূত্র:

0
Updated: 3 weeks ago
পাল রাজারা প্রায় কত বছর রাজত্ব করেন?
Created: 2 weeks ago
A
পঞ্চাশ বছর
B
একশ বছর
C
দুইশ বছর
D
চারশ বছর
পাল রাজবংশ প্রাচীন বাংলার অন্যতম বিখ্যাত এবং দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ হিসেবে পরিচিত। বাংলায় প্রায় চারশ বছর রাজত্ব করা এই বংশের প্রতিষ্ঠা এবং পতনের বিবরণ নিম্নরূপ:
-
প্রাচীন বাংলার রাজবংশসমূহের মধ্যে পালবংশ বিশেষভাবে বিখ্যাত।
-
পাল রাজারা প্রায় চারশ বছর রাজত্ব করেন।
-
৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজা গোপাল বাংলায় পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
-
অরাজকতাপূর্ণ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সামন্তরা গোপালকে ক্ষমতায় বসান।
-
রাজা গোপালের প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ ইতিহাসে পাল বংশ নামে প্রসিদ্ধ হয়।
-
-
পাল বংশের পতন:
-
রাজা রামপালের মৃত্যুর পর পাল সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।
-
অল্পদিনের মধ্যেই পাল রাজবংশ বিলুপ্ত হয় এবং চারশ বছরের পাল শাসন সমাপ্ত হয়।
-
পাল বংশের পতনের পর বাংলায় সেন বংশের উত্থান ঘটে।
-
উৎস:

0
Updated: 2 weeks ago